চট্টগ্রাম রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪

কাজে ধীরগতি অর্থসংকটে

মোহাম্মদ আলী

২৪ জানুয়ারি, ২০২৪ | ১১:৫৭ পূর্বাহ্ণ

হ্যাচারি সংস্কারসহ ৬টি খাতে কাজ করবে হালদা প্রকল্প। প্রকল্প পরিচালক যোগদানের পর বর্তমানে প্রেষণে জনবল নিয়োগের কাজ চলছে। তবে এখনো মন্ত্রণালয় থেকে অর্থছাড় না হওয়ায় প্রকল্পের কাজ চলছে ধীরগতিতে।

 

নদী সংশ্লিষ্ট সুবিধাভোগীদের নানামুখী সমস্যা দূরীকরণ ও সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘হালদা নদী প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প দ্বিতীয় পর্যায়’ নামে প্রকল্পটি গ্রহণ করে সরকার। ৪৬ কোটি ৩৭ লাখ ৭২ হাজার টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটির অধীনে হালদা পাড়ে রাউজান ও   হাটহাজারীর ৬টি পুরাতন হ্যাচারি সংস্কার করে সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি, হ্যাচারির পুকুর সংস্কার, বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজের ম্যুরাল নির্মাণ, ডিমসংগ্রহকারী ও মৎস্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণ প্রদান, হালদা রক্ষায় অভিযান পরিচালনা ও আইন বাস্তবায়ন, দরিদ্র জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থান এবং ওয়ার্কশপ, সেমিনার ও গবেষণা করা হবে। চলমান এ প্রকল্পে কাজ শুরু হয়েছে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর থেকে এবং তা শেষ হবে ২০২৭ সালের জুনে।

 

অভিযোগ উঠেছে, নতুন প্রকল্পটি প্রণয়নের সময়ে হালদা পাড়ে হ্যাচারি কমপ্লেক্স নির্মাণের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তাতে নদীর রুই জাতীয় মাছের প্রজনন নিয়ে গবেষণা ও ডিমসংগ্রহের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত বিভিন্ন প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয়েছিল। মৎস্য অধিদপ্তর বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পটিতে ৪টি সার্ভেল্যান্স চেকপোস্ট কাম ওয়াচ টাওয়ার ও ঘাট নির্মাণসহ বেশ কিছু সুযোগ-সুবিধাও ছিল। তাতে ব্যয় ধরা হয়েছিল ১৫৯ কোটি টাকা। কিন্তু সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এটি নিয়ে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বাদ দিয়ে দেয়। তাতে বিভিন্ন কাজ কাটছাঁট করে প্রকল্পের ব্যয় এক-তৃতীয়াংশেরও কমে চলে আসে।

 

সূত্র জানায়, দুই দশক আগে ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নদীর পাড়ে রাউজানের বিনাজুরীর কাগতিয়া, গহিরার মোবারকখীল ও পশ্চিম গহিরা এবং   হাটহাজারীর উত্তর মাদার্শার মাছুয়াঘোনা, শাহ মাদারি ও মদুনাঘাট বড়–য়াপাড়ায় ৬টি হ্যাচারি নির্মাণ করা হয়। কিন্তু নির্মাণগত ত্রুটি, সময় মতো সংস্কার, তদারকি ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে হ্যাচারিগুলো থেকে প্রকৃত সুফল পায়নি ডিম সংগ্রহকারীরা। এর মধ্যে সংস্কারের অভাবে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে রাউজানের বিনাজুরী ইউনিয়নের কাগতিয়া হ্যাচারি। ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে পশ্চিম গহিরা হ্যাচারিও। এ নিয়ে অসন্তোষ রয়েছে ডিম সংগ্রহকারীদের। বর্তমানে রাউজানের গহিরার       মোবারকখীল, হাটহাজারীর উত্তর মাদার্শার মাছুয়াঘোনা, শাহ মাদারি ও মদুনাঘাট বড়–য়াপাড়ার হ্যাচারি চালু থাকলেও নিয়মিত সংস্কারের অভাব এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা না থাকায় সবগুলো হ্যাচারি থেকে প্রকৃত সুফল পাচ্ছে না ডিম আহরণকারীরা। তাতে বিভিন্ন সময়ে মারা যায় রেণু। চলমান এ প্রকল্পের অধীনে ৬টি হ্যাচারি সংস্কার করা হবে।

 

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক মিজানুর রহমান দৈনিক পূর্বকোণকে বলেন, ‘প্রকল্পের জন্য প্রেষণে জনবল নিয়োগের কাজ চলছে। মন্ত্রণালয় থেকে অর্থছাড়ের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অর্থ প্রাপ্তির পর প্রকল্পের অন্যান্য খাতে কাজ শুরু হবে।’

পূর্বকোণ/পিআর 

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট