চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৪

সিঙ্গাপুরের আদলে সেজে আন্তর্জাতিক হাব হবে মাতারবাড়ি : নৌ-প্রতিমন্ত্রী

মহেশখালী সংবাদদাতা

৯ নভেম্বর, ২০২৩ | ৬:১০ অপরাহ্ণ

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর দক্ষিণ এশিয়ার জন্য মাইলফলক হয়ে থাকবে। দক্ষিণ এশিয়ার সিঙ্গাপুর হবে কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ি। আন্তর্জাতিক হাব হবে মাতারবাড়ি। এখানে সড়ক যোগাযোগ আছে। ভবিষ্যতে রেল যোগাযোগ হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বহুমাত্রিক যোগাযোগ ব্যবস্থা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। আগামীতে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবেন।

বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর চ্যানেল উদ্বোধন এবং প্রথম টার্মিনাল নির্মাণকাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

শনিবার (১১ নভেম্বর) এই বন্দর চ্যানেলের উদ্বোধন এবং প্রথম টার্মিনাল নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরের আবিষ্কারক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই বন্দরের মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশকে সারাবিশ্বে পরিচয় করে দিয়েছেন। গভীর সমুদ্রবন্দর এখন দৃশ্যমান। এর ফলে দেশের অর্থনীতি আরও বেশি শক্তিশালী হবে। মহেশখালীর মাতারবাড়ি শহর হবে। এখানে বিপুলসংখ্যক শিল্পপ্রতিষ্ঠান হবে। ব্যাপক কর্মসংস্থান হবে।

এ সময় অন্যদের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল ও প্রকল্প পরিচালক মো. জাহিদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, উপজেলার মাতারবাড়িতে শুরু হয়েছে দেশের প্রথম গভীর সমুদ্রবন্দর টার্মিনালের নির্মাণ কাজ। দেশের প্রথম ও একমাত্র গভীর সমুদ্রবন্দর স্থাপনের জন্য ১৭ হাজার ৭৭৭ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে মাতারবাড়ি বন্দর উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। মাতারবাড়ি টার্মিনাল বাস্তবায়িত হলে ১৬ মিটার বা তার চেয়ে বেশি গভীরতা সম্পন্ন বাণিজ্যিক জাহাজ হ্যান্ডলিং করতে সক্ষম হবে, যা দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে মাইলস্টোন হিসেবে কাজ করবে। এই বন্দরে ভিড়তে পারবে বড় ধরনের ফিডার ভেসেল। এতে বাঁচবে অর্থ ও সময়। যার প্রভাব পড়বে অর্থনীতিতে।

গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের লক্ষ্যে ৩৫০ মিটার প্রশস্ত ও ১৬ মিটার গভীরতা সম্পন্ন ১৪ দশমিক ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ অ্যাপ্রোচ চ্যানেলের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া অ্যাপ্রোচ চ্যানেলের উত্তর পার্শ্বে ২১৫০ মিটার দীর্ঘ ও দক্ষিণ পার্শ্বে ৬৭০ মিটার দীর্ঘ ব্রেক ওয়াটার (ঢেউ নিরোধক বাঁধ) নির্মাণকাজ সমাপ্ত হয়েছে। বর্তমানে ৪৬০ মিটার দীর্ঘ কন্টেইনার জেটি ও ৩০০ মিটার দীর্ঘ মাল্টিপারপাস জেটি নির্মাণ এবং কন্টেইনার ইয়ার্ডসহ বন্দর সুবিধাদি নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে।

২০২৬ সালের মধ্যে আনুমানিক ০.৬ থেকে ১.১ মিলিয়ন টিইইউস (বিশ ফুট দৈর্ঘ্যের কন্টেইনার) এবং ২০৪১ সালের মধ্যে আনুমানিক ২.২ থেকে ২.৬ মিলিয়ন টিইইউস কন্টেইনার কার্গো হ্যান্ডেল করা সম্ভব হবে। প্রকল্পের সড়ক ও জনপথ অংশে ২৭.৭ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের মাধ্যমে মাতারবাড়ি বন্দরের সঙ্গে ন্যাশনাল হাইওয়ের সংযোগ স্থাপন করার কাজ চলমান রয়েছে।

স্থানীয় সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক বলেন, উক্ত প্রকল্পগুলো পুরোদমে চালু হলে স্থানীয়দের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর অবদান মাতারবাড়িসহ পুরো জেলার মানুষ আজীবন শ্রদ্ধার সাথে মনে রাখবে।

পূর্বকোণ/পিআর/এএইচ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট