চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

জুনে নতুন প্রকল্প চালু ওয়াসার

মোহাম্মদ আলী

১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ | ১২:৩৫ অপরাহ্ণ

আগামী জুনে পরীক্ষামূলক পানি উৎপাদন শুরু হবে ভাণ্ডালজুড়ি পানি সরবরাহ প্রকল্পের। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে এরপর গ্রাহক পর্যায়ে পানি সরবরাহ করবে চট্টগ্রাম ওয়াসা। বর্তমানে পুরোদমে চলছে প্রকল্পের কাজ। ইতোমধ্যে প্রকল্পের তিন-চতুর্থাংশ কাজ শেষ হয়েছে।

 

ওয়াসা সূত্র জানায়, কর্ণফুলীর নদীর বাম তীরে গড়ে ওঠা বিভিন্ন আবাসিক এলাকা, সরকারি ও বেসরকারি শিল্প প্রতিষ্ঠান, কোরিয়ান ইপিজেডসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় পানি সরবরাহের জন্য এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। বোয়ালখালীর শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়নের জ্যৈষ্ঠপুরা গ্রামে কর্ণফুলী নদীর পাড়ে এই প্রকল্পের জন্য পানি শোধনাগার তৈরি করা হচ্ছে। সেখান থেকে কর্ণফুলী নদীর বাম তীরে অবস্থিত শিল্পকারখানা ও আবাসিক এলাকায় পানি সরবরাহ করা হবে।

 

সূত্র জানায়, বর্তমানে প্রকল্পের মূল স্থাপনা তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। একই সাথে বোয়ালখালী, পটিয়া ও আনোয়ারা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পাইপলাইনও বসানো হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান তাইইয়ং ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড এ প্রকল্পের কাজ করছে। প্রায় এক হাজার ৯৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পটি দক্ষিণ কোরিয়ার এক্সিম ব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকার যৌথ অর্থায়নে বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পের কাজ শেষ হলে ওয়াসার পানি উৎপাদন বাড়বে দৈনিক আরো ৬ কোটি লিটার। যা সরবরাহ হবে কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ে। প্রকল্পের আওতায় ৬ কোটি লিটার ক্ষমতা সম্পন্ন একটি পানি শোধনাগার, প্রায় ১৩৩ কিলোমিটার ট্রান্সমিশন, কনভয়েন্স ও ডিস্ট্রিবিউশন পাইপলাইন এবং কোরিয়ান ইপিজেড ও পটিয়ায় ২টি পানির রিজার্ভার নির্মাণ করা হচ্ছে।

 

এ প্রসঙ্গে প্রকল্প পরিচালক ও ওয়াসার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মুহম্মদ মাহবুবুল আলম দৈনিক পূর্বকোণকে বলেন, ‘ভাণ্ডালজুড়ি পানি সরবরাহ প্রকল্পের নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। তাইইয়ং ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড নামে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এ প্রকল্পের কাজ করছে। প্রকল্পের অধীনে বোয়ালখালী, পটিয়া ও আনোয়ারায় ইতোমধ্যে ১৩০ কিলোমিটার পাইপলাইন বসানো হয়েছে। অবশিষ্ট তিন কিলোমিটার পাইপলাইন বসানোর কাজ চলছে। আগামী জুনের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে। ইতোমধ্যে প্রকল্পের ৭৪ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। প্রকল্পটি থেকে গ্রাহক পর্যায়ে পানি সংযোগ দিতে চলতি মাসের শেষের দিকে প্রক্রিয়া শুরু হবে। শেখ হাসিনা পানি সরবরাহ প্রকল্প ১ ও ২ এবং শেখ রাসেল পানি সরবরাহ প্রকল্পের পর নতুন এ প্রকল্পটি উৎপাদনে যাবে।’

 

চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মাকসুদ আলম দৈনিক পূর্বকোণকে বলেন, ‘চলতি বছরে জুনে ভাণ্ডালজুড়ি পানি সরবরাহ প্রকল্পটি পরীক্ষামূলক উৎপাদনে যাবে। এরপর সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে প্রকল্প থেকে গ্রাহক পর্যায়ে পানি সরবরাহ করা হবে।’

 

চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহ দৈনিক পূর্বকোণকে বলেন, ‘ভাণ্ডালজুড়ি পানি সরবরাহ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন শেষ হলে নদীর ওপারে শিল্প মালিক ও গ্রাহকরা ব্যাপক উপকৃত হবে। এছাড়া কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণ শেষ হলে নদীর ওপারে ব্যাপক শিল্পায়ন হবে। বাড়বে বসতিও। তাই সেখানে পানির চাহিদাও বাড়বে। ভবিষ্যতে পানির চাহিদা মাথায় রেখে ওয়াসা নদীর ওপারে আরো নতুন প্রকল্প বাস্তবায়নে নতুন পরিকল্পনা নিয়ে এগুবে।’

 

 

পূর্বকোণ/জেইউ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট