চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

ওসি প্রদীপের সব রাষ্ট্রীয় পুরস্কার বাতিলের আবেদন রাষ্ট্রপক্ষের

অনলাইন ডেস্ক

৯ জানুয়ারি, ২০২২ | ৪:২৫ অপরাহ্ণ

মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ওসি প্রদীপের যাবতীয় রাষ্ট্রীয় পুরস্কার ও পদক বাতিলের ব্যবস্থা নিতে আবেদন জানিয়েছেন কক্সবাজার জেলা জজ আদালতের রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী ফরিদুল আলম।

রবিবার (৯ জানুয়ারি) সোয়া ১০ টার দিকে যুক্তিতর্ক শুরু হয় জেলা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে। সেখানে সিনহা হত্যা মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপনকালে ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে ২০৪ জনের অধিক নিরীহ লোককে বিচারবহির্ভুত হত্যার অভিযোগ তুলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আদালতে বিচারকের কাছে মৌখিক এ দাবি জানান বলে উল্লেখ করেছে আদালত উপস্থিত একাধিক আইনজীবী।

ফরিদুল আলম আদালতকে জানান, ওসি থাকাকালীন নরপিশাচের মতো আচরণ করেছেন প্রদীপ কুমার দাশ। তার অপরাধ কর্ম নিয়ে কেউ কথা বলতে পারেনি। ফরিদুল মোস্তফা খান নামে এক সাংবাদিক সংবাদ পরিবেশনের করায় তাকে চরম ভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। এটাই তার অপেশাদারী আচরণের জলন্ত প্রমাণ। নির্যাতিত সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা খান আদালতে সাক্ষীও দিয়েছেন। ক্ষমতার অপব্যবহার করে ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধের অভিযোগও উঠেছে সাবেক ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে। এসব কারণে ওসি থাকাকালীন পাওয়া রাষ্ট্রীয় পুরস্কার ও পদক বাতিল করার দাবি জানাচ্ছি।

এর আগে, পৌনে ১০টার দিকে কঠোর নিরাপত্তায় সাবেক ওসি প্রদীপসহ ১৫ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয় আদালতে। সোয়া ১০টায় শুরু হয় রাষ্ট্র পক্ষের যুক্তি।

পিপি জানান, ৮৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ৬৫ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। তাদের জেরা শেষ হবার পর ৬ ডিসেম্বর (সোমবার) কার্যবিধি ৩৪২ ধারায় ১৪ জন আসামি আদালতে তাদের লিখিত বক্তব্য দেন। পরদিন (মঙ্গলবার) অপর আসামি নন্দ দুলাল তার লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন।

পরে আসামিদের বক্তব্য নিয়ে আদালত পর্যালোচনাও করে বিচারক আদালতে উপস্থিত সব আসামিকে পৃথকভাবে তাদের বক্তব্য নিয়ে সরাসরি সওয়াল-জবাব করেন। বিচারক আসামিদের প্রত্যেককে নিজেদের অপরাধের বিষয়ে সরাসরি জানতে চান। লিখিত বক্তব্যের পাশাপাশি ওসি প্রদীপসহ আসামিরা মৌখিকভাবে বিচারকের প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন। এরপর ৯ থেকে ১২ জানুয়ারি ধার্য তারিখে মামলার যুক্তিতর্ক শুরু হয়েছে সোয়া ১০টায়।

এদিকে গত ২৩ আগস্ট থেকে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাঈলের আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ এবং জেরা শুরু হয়ে ১ ডিসেম্বর শেষ হয়। যেখানে ৬৫ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট