চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

নিজেদের মাঠে প্রথম হার চিটাগাং’র

টানা চার হারের পর জয় পেল সিলেট ও রংপুর

নিজস্ব ক্রীড়া প্রতিবেদক

২২ ডিসেম্বর, ২০১৯ | ৫:০৬ পূর্বাহ্ণ

নিজেদের মাঠে টানা ৩ জয়ের পর বিপিএল’এ প্রথম পরাজয়ের স্বাদ পেল স্বাগতিক চিটাগাং চ্যালেঞ্জার্র্স। গতকাল জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ফ্লাডলাইটে অনুষ্ঠিত খেলায় চিটাগাং-কে ৬ উইকেটে হারিয়ে দেয় রংপুর রেঞ্জার্স। একই মাঠে অনুষ্ঠিত দিনের প্রথম খেলায় সিলেট থান্ডার্স ফ্লেচারের সেঞ্চুরিতে ৮০ রানে খুলনা টাইগার্সকে হারিয়েছে। উল্লেখ্য এবারের আসরে এটাই প্রথম কোন সেঞ্চুরি। তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচ হন। এদিকে গতকাল টানা চার হারের পর জয় পেল সিলেট ও রংপুর। অন্যদিকে টানা তিন জয়ের পর টুর্নামেন্টে প্রথম হারের তেতো স্বাদ পেল খুলনা টাইগার্স। সংক্ষিপ্ত স্কোর: চিটাগাং: ১৬৩/৭/২০ ওভার ও রংপুর রেঞ্জার্স: ১৬৭/৪/১৮.৪ ওভার এবং সিলেট: ২৩২/৫/২০ ওভার ও খুলনা ১৫২/১০/১৮.৩ ওভার।

রংপুরের বিরুদ্ধে চিটাগাং’র শুরুটা ভালো হয়নি। প্রথম ওভারেই দলীয় শূণ্য (০) রানে নির্ভরশীল সিমন্স সাজঘরে ফেরেন। দলীয় ২২ রানে সিমন্সকে অনুসরণ করেন মাহামুদুল্লার আহত জনিত কারণে অধিনায়কের ভার নেয়া ইমরুল কায়েস (১০)। নাসির হোসেনও ৯ রানে আউট হয়ে নিজেকে মেলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছেন। প্রথম সারির ৩ জনের আসা-যাওয়ার ভিড়ে দলকে নির্ভরতা দেয়ার চেষ্টা করেছেন শ্রীলংকান অভিস্কা ফার্নান্ডো। দলীয় ৯৪ রানে তিনি সঞ্জিত সাহা’র বলে বোল্ড হওয়ার পর বাকিদের মধ্যে কেউই চিটাগাং-ও ইনিংসকে টেনে তুলতে পারেননি। আউট হওয়ার আগে আভিস্কা ফার্নান্ডো ৪০ বলে ৮ চার ও ৪ ছক্কায় ৭২ রান করেছিলেন। বাকিদের মধ্যে ওয়ালটন ১৬, নুরুল হাসান ২০, মুক্তার আলি ১২ এবং প্লাংকেট অপরাজিত ১৭ রান করলে ১৬৩ রানের মেটামুটি একটা লড়াকু ইনিংস গড়ে চিটাগাং। রংপুরের মুস্তাফিজ ২৩ ও গ্রেগোরি ২৭ রানে ২টি করে এবং সঞ্জিত ২৫, নবি ৩৩ রানে ও মুকিদুল ৪২ রানে ১টি করে উইকেট নেন।

১৬৪ রানে লক্ষে খেলতে নামা রংপুর দলীয় ৪ রানে ওপেনার নাইম (৪) এবং ১৯ রানে অপর ওপেনার দেলপত (৪) কে হারায়। ৩৬ রান ফিরে যান দলীয় অধিনায়ক আবেল (২৪)। ৪র্থ উইকেটে সাদমান ইসলাম ও গ্রেগরি ইনিংসকে টেনে তোলার চেষ্টা করেন। কিন্তু দলীয় ৭৬ রানে সাদমান ইসলাম ১৬ রান করে আউট হলে খেলায় ফিরে আসে চিটাগাং। কিন্তু ৫ম উইকেট ফজলে মাহামুদ এসে গ্রেগরি’র সাথে যা করলেন তা রীতিমতো অবিশ^াস্য। এ দুজন চাপের মুখে ইনিংসে অপরাজিত ৯১ রান যোগ করলে ১ ওভার ২ বল আগে রংপুরের জয় নিশ্চিত হয়ে যায়। এতে গ্রেগরি ৩৭ বলে ৬ চার ও ৫ ছক্কায় ৭৬ এবং ফজলে মাহামুদ ২১ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৩৮ রানে অপরাজিত ছিলেন। গ্রেগরি ম্যান অব দ্য ম্যাচ হন। চিটাগাং-এর রুবেল হোসেন ৩৭ রানে ২টি এবং মেহেদি রানা ১৬ ও প্লুংকেট ৪৬ রানে ১টি করে উইকেট নেন।

দিনের প্রথম ম্যাচে আসরের প্রথম সেঞ্চুরিটা নিজের করে নিলেন সিলেটের ক্যারাবীয়ান ওপেনার আন্দ্রে ফ্লেচার (অপ: ১০৩)। আরেক ক্যারিবিয়ান জনসন চার্লসও সেঞ্চুরি পেতে পারতেন। কিন্তু তাকে থামতে হয়েছে ৯০ রানে। মুলত এই দুই ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যানের দৃঢ়তায় ২৩২ রান পর্যন্ত পৌঁছেছিলো সিলেটের ইনিংস। এ দুজন ১১ রানে ১ম উইকেট পতনের পর ২য় উইকেট জুটিতে ১৫০ রান ইনিংসে যোগ করেন। আন্দ্রে ফ্লেচার ৫৭ বলে ১১ চার ও ৫ ছক্কায় অপ: ১০৩ এবং জনসন চার্লস ৩৮ বলে ১১ চার ও ৫ ছক্কায় ৯০ রান করেন। অন্যান্যের মধ্যে নাজমুল ১১ ও মোসাদ্দেক ১১ রান করেন। খুলনার ফ্রাইলিঙ্ক ৩৭ রানে ২টি, শফিউল ৪৪, রবিউল ৪৪ এবং শহিদুল ৪৮ রানে প্রত্যেকে ১টি করে উইকেট লাভ করেন।

২৩৩ রানে লক্ষে খেলতে নামা খুলনার ইনিংসে রুশো ৫২ (৩২ বলে ৪চার ও ৪ছক্কা) এবং ফ্রাইলিঙ্ক ৪৪ (২০ বলে ৬চার ও ৪ছক্কা) ছাড়া বাকিদের মধ্যে কেউই সুবিধে করতে পারেননি। আগের ম্যাচে টি-২০ তে ক্যারিয়ার সেরা ৯৬ রান করা মুশফিকুর রহিম গতকাল আউট হয়েছেন ১২ রান করে। আসরে প্রথমবারের মতো খেলতে নামা সাইফ হাসান (২০) বেশিদুর যেতে পারেননি। বাকিদের রান ছিল এক অংকের। এছাড়া আহত জনিত কারণে ব্যাট করতে পারেননি শফিউল। সিলেটের সান্টোকি ৩৭ রানে ৩টি, ইবাদত ১৭ ও মনির ৩১ রানে ২টি করে এবং নাভিন ২১ রানে ১ উইকেট নেন।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট