চট্টগ্রাম রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

২১ ডিসেম্বর, ২০১৯ | ৪:৪৫ পূর্বাহ্ণ

বঙ্গবন্ধু বিপিএলে গতকাল জয় পেয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও খুলনা টাইগার্স। প্রথম ম্যাচে রংপুর রেঞ্জার্সের বিপক্ষে খুলনা টাইগার্সের ৮ উইকেটের বড় জয়ের পর দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে চট্টগ্রামের ব্যাটিং প্রলয়ে ১৬ রানে হেরেছে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। শুরুতে আবিস্কা ফার্নান্দো ঝড়, মাঝে ইমরুল কায়েস ও শেষ দিকে চ্যাডউইক ওয়ালটনের প্রলয়ে ২০ ওভারে চট্টগ্রাম সংগ্রহ করে ২৩৮ রান। চলতি টুর্নামেন্টে এটি সর্বোচ্চ দলীয় রানের রেকর্ড। বিপিএলের ইতিহাসে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ। গত আসরে চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে রংপুর রাইডার্সের করা ২৩৯ রান বিপিএলের সর্বোচ্চ সংগ্রহ। জবাবে ডেভিড মালানের ব্যাটে আশা জাগিয়েছিল কুমিল্লা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটে ২২২ রানের বেশি এগুতে পারেনি তারা। জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের নিজ ভেন্যুতে বড় রান তোলাকে অভ্যাস বানিয়ে ফেলেছে চ্যালেঞ্জার্সরা। সেই ধারাবাহিকতা রাখল তারা কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের বিরুদ্ধেও। ওপেনার লিন্ডল সিমন্স ম্যাচের তৃতীয় ওভারেই ফিরে

গেলেন ১০ রানে। চট্টগ্রামের পরের তিন ব্যাটসম্যান যা করলেন তাতেই দল চড়ল রান পাহাড়ে। আবিস্কা ফার্নান্দো করলেন ২৭ বলে ৪৮। ৩ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় আবিস্কা এই হাফ-সেঞ্চুরি ছুঁই ছুঁই রান করেন। টুর্নামেন্টে দারুণ ফর্মে থাকা ইমরুল কায়েসের ব্যাট হাসল ৪১ বলে ৬২ রানে।

ইমরুল যখন ফিরলেন তখন ১৩.৩ ওভারে দলের স্কোর ৩ উইকেটে ১৩৪ রান। ব্যাটে ঝড় তোলার পরের দায়িত্ব কাঁধে নেন চ্যাডউইক ওয়ালটন। ২২ বলে নিজের হাফসেঞ্চুরি পুরো করেন তিনি। ৪ ছক্কা ও ৩ বাউন্ডারিতে আসে তার এই হাফসেঞ্চুরি। ইনিংসের ১৯ নম্বর ওভারে সৌম্য সরকারকে নিয়ে ওয়ালটন যা করলেন তাকে বলে ছেলেখেলা! ৩ ছক্কা ও ২ বাউন্ডারিতে সৌম্য সরকারের সেই ওভার থেকে ওয়ালটন তুলে নিলেন ২৯ রান। চলতি টুর্নামেন্টে সবচেয়ে খরুচে ওভার এটাই। মাত্র ২৭ বলে ৭১ রানে অপরাজিত থাকলেন ওয়ালটন। ছয় নম্বরে ব্যাট করতে নামা নুরুল হাসান সোহানও ব্যাট হাতে কম যাননি। ২ ছক্কা ও ২ বাউন্ডারিতে ১৫ বলে হার না মানা ২৯ রান করেন সোহান। শেষ ৫ ওভারে চট্টগ্রাম করল ৯২ রান। যার ৫৪ রানই আবার শেষ দুই ওভারে। জবাব দিতে নেমে ডেভিড মালান একাই লড়েছেন চট্টগ্রাম বোলারদের বিপক্ষে। তাঁর ৩৮ বলে ৭ চার ও ৫ ছক্কায় ৮৪ রানের ইনিংসেও পরাজয় এড়াতে পারেনি কুমিল্লা। শেষ দিকে আবুল হাসানের ১০ বলে ২৮ রানের ইনিংসে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২২২ রানে থামে কুমিল্লা। দলের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৭ রান আসে শানাকার ব্যাট থেকে।

এর আগে দিনের প্রথম ম্যাচে আট উইকেটের বড় জয় পেয়েছে মুশফিকুর রহিমের খুলনা টাইগার্স। রংপুর রেঞ্জার্সের করা ১৩৭ রানে জবাবে রুশোর অপরাজিত ৬৬ রানের অনবদ্য ইনিংসের উপর ভর করে ৪৫ বল হাতে রেখেই নিজেদের তৃতীয় জয় তুলে নেয় খুলনা। তিন ম্যাচের তিনটিতেই জিতেছে মুশফিকের খুলনা টাইগার্স। এদিকে, চার ম্যাচের কোনোটিতেই জেতেনি মোহাম্মদ নবীর রংপুর রেঞ্জার্স। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে মোহাম্মদ নবীর রংপুর ৯ উইকেট হারিয়ে তোলে ১৩৭ রান। দলের হয়ে মোহাম্মদ নাঈম ৪৯ এবং ফজলে মাহমুদ ৪২ রান করেন। জবাবে খুলনা ১২.৩ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে। রুশো ৩১ বলে অপরাজিত ৬৬ রান এবং রহমানউল্লাহ গুরবাজ ৩৭ রান করেন।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট