চট্টগ্রাম বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

৮০ কিমি মেরিন ড্রাইভ সড়ক নীল সমুদ্র ছুঁয়ে সবুজ সুন্দরে অবগাহ

আরফাতুল মজিদ হ কক্সবাজার

২০ অক্টোবর, ২০১৯ | ১:১০ পূর্বাহ্ণ

দেশের সবচেয়ে সুন্দর সড়ক ‘কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ’ প্রকল্প। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে আসা পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে এই সড়কটি। এখানকার সৌন্দর্য উপভোগে বিমোহিত দেশি-বিদেশি পর্যটকরা। তাছাড়া এই সড়কটি চালু হওয়ায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে যোগাযোগ, পর্যটন শিল্প ও অর্থনৈতিক কর্মকা-ে।

কক্সবাজার ভ্রমণের সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থান হলো- পৃথিবীর দীর্ঘতম মেরিন ড্রাইভ রোড। ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রোড পর্যটন শহর কক্সবাজারের কলাতলী থেকে শুরু হয়ে টেকনাফ পর্যন্ত বিস্তৃত। মেরিন ড্রাইভ রোডের এক দিকে রয়েছে উত্তাল সমুদ্র সৈকত আর অন্যদিকে রয়েছে সবুজের ঢাকা ছোট বড় পাহাড়। আবার কোথাও কোথাও পাহাড়ের গা বেয়ে ঝর্ণা ধারার দেখা মিলে। মেরিন ড্রাইভ রোড দিয়ে যেতে যেতে বিস্তৃত সাগরের সমস্ত সৌন্দর্য আহরণ ও জেলেদের সাগরে মাছ ধরার দৃশ্য উপভোগ করা যায়। সেই সাথে সমুদ্র সৈকতে দেখা মিলবে টেকনাফ গর্জন ফরেস্ট খ্যাত চিরহরিৎ বন। পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত ছুঁয়ে ১ হাজার ৪৯ কোটি টাকা ব্যয়ে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই মেরিন ড্রাইভটি ২০১৭ সালের ৬ মে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

কক্সবাজারের কলাতলী বা সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে খোলা জিপ, মাইক্রোবাস, সিএনজিচালিত ট্যাক্সি কিংবা অটোরিকশায় মেরিন ড্রাইভ রোড দিয়ে হিমছড়ি ও ইনানী সমুদ্র সৈকত যাওয়া যায়। কলাতলী থেকে মেরিনড্রাইভের শুরু তারপর-হিমছড়ি-ইনানী-শামলাপুর হয়ে সাবরাং বেড়িবাঁধে গিয়ে শেষ হয়েছে। এই ৮০ কিলোমিটার কোনভাবেই আপনার বিরক্ত লাগবে না। কেউ চাঁদেরগাড়ি নিয়ে ঘুরে পুরো মেরিনড্রাইভ, কেউ যায় বাইক চালাতে, কেউ যায় সাইক্লিং করতে, কেউ যায় পুরো মেরিন ড্রাইভ হাঁটতে।

মেরিন ড্রাইভ রোড সম্পূর্ণ ঘুরে আসতে প্রায় ৫ ঘন্টার মতো সময় লাগবে। যদি সম্পূর্ণ মেরিন ড্রাইভ রোড দেখতে চান তবে গাড়ি ঠিক করার সময় ড্রাইভারকে সেটা জানিয়ে রাখবেন। তা না হলে হয়তো আশেপাশের একটু জায়গা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে নিয়ে আসবে। অথবা আপনার হাতে যদি অল্প সময় থাকে তাহলে হিমছড়ি কিংবা ইনানী বিচ পর্যন্ত গিয়ে ফিরে আসতে পারেন। সেই ক্ষেত্রে অটোরিকশা/ইজিবাইক অথবা সিএনজি রিজার্ভ করে নিতে পারেন।

মেরিন ড্রাইভ রোডের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন মানের রেস্টুরেন্ট গড়ে উঠেছে। চাইলে এসব রেস্টুরেন্টের একটাতে উদরপূর্তি করে ফেলতে পারেন। আবার কক্সবাজারে সব ধরণ ও মানের রেস্টুরেন্ট আছে। এছাড়া জেনে রাখা ভাল, পথে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কয়েকটি চেকপোস্ট পড়বে। সেখানে বিনা সংকোচে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সহায়তা নিতে পারেন। তবে ঝামেলা এড়াতে জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি সঙ্গে রাখা ভালো।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট