দ্বিতীয় পর্ব। ভারতের বিরোধীদলেরই দাবি, ওয়াক্ফ আইনের এই সংশোধন ওয়াক্ফ বোর্ডের ক্ষমতাকে বেনজিরভাবে খর্ব করে দিচ্ছে। নতুন আইন অনুযায়ী, শুধুমাত্র নিষ্ঠার সঙ্গে ধর্ম পালনকারী মুসলিমরাই তাদের সম্পত্তি ওয়াক্ফ করতে পারবেন। সেইসঙ্গে ওয়াকফ সম্পত্তি রেজিস্ট্রেশন করার পদ্ধতিতেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। ওয়াকফ বোর্ডের কমিটিতে কমপক্ষে দুই জন হিন্দুকে রাখতে হবে। মুসলিম হওয়ার পর ৫ বছর অতিবাহিত না হলে সম্পত্তি ওয়াক্ফ করতে পারবে না। অকাট্য দলিলের অভাবে ওয়াক্ফ সম্পত্তি ও প্রতিষ্ঠান সরকার বাজেয়াপ্ত করতে পারবে। আবার কোনো সরকারি সম্পত্তি যদি কেউ ওয়াক্ফ বলে দাবি করেন, তাহলে তার তদন্ত করতে পারবেন কালেক্টরের ওপরের র্যাঙ্কের কোনো অফিসার।
ওয়াকফ সম্পত্তির আয় যদি ১ লাখ টাকার ওপরে হয়, তাহলে সেই আয়ের অডিট করাতে হবে। আবার ওই অডিট করবেন রাজ্যের অডিটররা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওয়াক্ফ আইনে সবচেয়ে বিতর্কিত পরিবর্তনগুলোর একটি হলো মালিকানাসংক্রান্ত নিয়মে পরিবর্তন। এর ফলে বহু পুরোনো মসজিদ, দরগাহ বা কবরস্থানের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। কারণ, বহু সম্পত্তিই একসময় মৌখিকভাবে বা কাগজপত্র ছাড়াই ওয়াক্ফ হিসেবে দান করা হয়েছিল। এসবের অনেকেরই কোনো আইনি নথি নেই, যেগুলো কয়েক দশক বা এমনকি শত শত বছর আগের। সংগতকারণে নতুন আইনের অন্য পরিবর্তনগুলো শত শত বছর আগে প্রতিষ্ঠিত ওয়াক্ফ জমির ওপর গড়া মসজিদগুলোর ভবিষ্যৎও অনিশ্চিত করে তুলতে পারে। এমনিতেই চরমপন্থী হিন্দুসংগঠনগুলো বছরকয়েক ধরে ভারতের নানাপ্রান্তে বেশকিছু মসজিদের ওপর তাদের মন্দির আছে বলে দাবি জানিয়ে আসছে। তাদের দাবি, এসব মসজিদ পুরোনো হিন্দুমন্দির ভেঙে তৈরি। এ ধরনের অনেক মামলা আদালতে বিচারাধীন। এই আইন তাদের উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার পথ সুগম করে দেবে, সন্দেহ নেই।
নতুন আইন অনুযায়ী, এখন থেকে ওয়াক্ফ বোর্ডকে তাদের জমির মালিকানা প্রমাণ করতে জেলাপর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তার অনুমোদন নিতে হবে। এটি মুসলমানদের জমি কেড়ে নেওয়ার পথ তৈরি করবে। বিরোধীদের অভিযোগ, নতুন আইন ওয়াকফ বোর্ডের একচ্ছত্র ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে মুসলিমদের অধিকার হরণ করেছে। এতে পুরোনো মসজিদসহ বহু ঐতিহাসিক সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার পথ মসৃণ হবে। বিরোধীদল কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধী এক্সে লিখেছেন, ‘ওয়াক্ফ (সংশোধনী) বিল মুসলিমদের কোণঠাসা করার এবং তাঁদের ব্যক্তিগত আইন ও সম্পত্তির অধিকার কেড়ে নেওয়ার হাতিয়ার।’
তিনি এটিকে সংবিধানের ওপর ‘আক্রমণ’ হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, ‘বিজেপি এবং তাদের মিত্ররা এখন মুসলিমদের নিশানা করছে। কিন্তু ভবিষ্যতে এটি অন্যসম্প্রদায়ের বিরুদ্ধেও ব্যবহৃত হতে পারে।’ পার্লামেন্টে ওয়াকফ বিল নিয়ে আলোচনার সময় শিখ সংসদসদস্য হাসমিত কাউর যুক্তিতর্কে নাস্তানাবুদ করতে করতে শাসকশিবিরের দিকে আঙুল তুলে বলছিলেন- ‘আপনারাই টুকরে টুকরে গ্যাং। ভারতকে ভেঙে দিতে চাইছেন। তিনি আরও বলছিলেন, এখন আপনারা ওয়াকফ সম্পত্তির নামে মুসলিম জমি লুট করতে চাইছেন। এরপর শিখ, খ্রিষ্টান, কোনো সংখ্যালঘু স¤প্রদায় আপনাদের লোভের হাত থেকে নিস্তার পাবে না।’
মুসলমানরা আশঙ্কা করছেন, নতুন আইনের ফলে ভারতের হিন্দুত্ববাদী সরকার মুসলিমদের সম্পত্তির ওপর আরও বেশি নিয়ন্ত্রণ নিতে পারবে। আর এখন তো ভারতে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ও বৈষম্য দিন দিন বাড়ছে। নরেন্দ্র মোদির শাসনে মুসলমানরা প্রায়ই টার্গেট হচ্ছেন। তাঁদের খাবার, পোশাক, এমনকি হিন্দু-মুসলিম বৈবাহিক সম্পর্ক নিয়েও আক্রমণের শিকার হচ্ছেন তাঁরা। গত মার্চ (২০২৫) মাসে যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা কমিশন (ইউএস কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলেজিয়াস ফ্রিডম) তাদের বার্ষিক প্রতিবেদনে জানায়, ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতার অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, গত নির্বাচনের সময় মোদি ও তাঁর দল মুসলমান ও অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুর বিরুদ্ধে ‘ঘৃণা ছড়ানো বক্তব্য’ ও ‘ভুল তথ্য’ ছড়িয়েছে।
‘ওয়াক্ফ বাই ইউজার’ এমন একটি ব্যবস্থা, যেখানে দীর্ঘদিন ধরে ধর্মীয় বা দানের কাজে ব্যবহৃত সম্পত্তি ওয়াক্ফ হিসেবে গণ্য হয়। এসব সম্পত্তির কাগজপত্র না থাকলেও ‘ওয়াক্ফ বাই ইউজার’ আইনে মুসলমানদের বলে গণ্য হয়। তবে নতুন আইনে বলা হয়েছে, বিরোধপূর্ণ বা সরকারি জমি, অর্থাৎ কাগজপত্র আছে এমন জমিতে এটি প্রযোজ্য হবে না। পিটিশন আবেদনকারীদের পক্ষে ‘কপিল সিবাল’ নামে এক আইনজীবী বলেছেন,‘ওয়াক্ফ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কয়েক শতবছর আগে ওয়াক্ফ তৈরি হলেও এখন কাগজপত্র চাওয়া হচ্ছে। এটি বড় সমস্যা ও ভারতীয় সংবিধানের ২৬ নম্বর ধারা লঙ্ঘন করছে। তিনি আরও বলেন, ‘ওয়াক্ফ বোর্ডে জেলাপ্রশাসককে রাখা হয়েছে। তিনি সরকারের অংশ। তিনি ওয়াক্ফ সম্পত্তি নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিলে তা অসাংবিধানিক হবে।’
পিটিশন আবেদনকারীদের আরেক আইনজীবী ‘অভিষেক সিংভি’ বলেছেন, ভারতের ১০ লাখ একর ওয়াক্ফ সম্পত্তির মধ্যে ৪ লাখই ‘ওয়াক্ফ বাই ইউজার’। এটা অনেক পুরনো ও এসব সম্পত্তির ক্ষেত্রে কারও কাছে কোনো কাগজপত্র নেই। নতুন আইনে এসব সম্পত্তির বৈধ কাগজ চাওয়া হবে। আর কেউ কাগজ দিতে না পারলে তাতে রাষ্ট্রের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে। এ সময় ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমরা শুনেছি, দিল্লি হাইকোর্টও ওয়াক্ফ জমির ওপর তৈরি। অর্থাৎ, সব ওয়াক্ফ বাই ইউজার, বা ব্যবহারভিত্তিক ওয়াক্ফ ভুল নয়। এই জমি ওয়াক্ফ সম্পত্তির অংশ, এই জমির কোনো কাগজপত্র নেই। যেহেতু আদালত এই জমি ব্যবহার করছে, সেহেতু আদালত এই জমির মালিক।’ ১৩, ১৪ বা ১৫ শতাব্দীতে তৈরি মসজিদের কাগজপত্র পাওয়া অসম্ভব বলেও জানান প্রধান বিচারপতি। আশা করা হচ্ছে, এখন এসব প্রশ্নের জবাব দেবে রাষ্ট্র। তারপরই আদালত বিতর্কিত বিষয়গুলোতে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবেন।
প্রসঙ্গত, তুমুল বিতর্কের পর লোকসভা ও রাজ্যসভায় এই বিল পাস হতো না, যদি না তথাকথিত মুসলিম-সমর্থক রাজনীতিবিদ চন্দ্রবাবু নাইডু, নীতীশ কুমার ও জয়ন্ত চৌধুরীর মতো নেতারা সমর্থন দিতেন। ফলে এটা স্পষ্ট, বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতন্ত্রের দেশ ভারতে জনসংখ্যার ১৪ শতাংশ হয়েও কোনো নির্ভরযোগ্য রাজনৈতিক শক্তি মুসলমানদের পাশে নেই। তারা রাজনৈতিকভাবে পুরোপুরি অনাথ। যেসব দল নিজেদের ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ বলে দাবি করে, তারাও অনেক সময় হিন্দুত্ববাদী রাজনীতিকে পরোক্ষভাবে এগিয়ে দিয়েছে এবং দিচ্ছে। এর ফলে ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্যকে আইনের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত করার পথ সুগম হয়েছে। এটি ভারতের সংবিধানিক অভিযাত্রার পথে এক অন্ধকার অধ্যায় বলতে হবে।
উল্লেখ্য, ওয়াক্ফ হলো ইসলামি দানের একটি প্রাচীন ব্যবস্থা। ওয়াক্ফের মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি স্থায়ীভাবে সাধারণত জমির মতো কোনো সম্পত্তি ধর্মীয় বা জনহিতকর কাজে ব্যবহারের জন্য দান করেন। এ ধরনের ওয়াক্ফ সম্পত্তি বিক্রি করা বা কারও নামে হস্তান্তর করা যায় না। সাধারণত ধর্মানুরাগী ধনী ব্যক্তিরা তাদের সম্পত্তি বা আয়ের একটা অংশ জনগণের এবং বিশেষত দরিদ্রদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থান ইত্যাদি মৌলিক চাহিদা মেটানোর জন্য দান করে থাকেন। দানকৃত সম্পত্তি ব্যক্তিগত মালিকানায় থাকে না। এই সম্পত্তির মাধ্যমে মসজিদ, মাদ্রাসা, কবরস্থান, স্কুল, হাসপাতাল ইত্যাদি জনকল্যাণকর প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হয়। এভাবে দান করা সম্পত্তিই হল ওয়াক্ফ। এই সম্পত্তির আয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ছাত্রাবাস, লাইব্রেরি, স্কলারশিপ, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, মুসাফিরখানা, মসজিদ ও দরগা নির্মাণ এবং দরিদ্র বিধবাদের ভরণপোষণ ইত্যাদির জন্য ব্যয় করা হয়। ইংরেজ রাজত্বের আগে ওয়াক্ফ সম্পত্তি নিষ্কর ছিল। কিন্তু ভারতের এককালের শাসকগোষ্ঠী মুসলমানদের চাপে রাখার অস্ত্র হিসেবে ইংরেজ সরকার সেগুলোকে করের আওতায় নিয়ে আসে। ইতিহাস বলছে, শুধু বাংলাতেই আগে নিষ্কর ছিল এমন সম্পত্তির উপর তৎকালে ১১ লক্ষ পাউণ্ড কর চাপানো হয়।
একইসঙ্গে ওয়াক্ফ দ্বারা পরিচালিত অসংখ্য প্রতিষ্ঠানও বন্ধ করে দেওয়া হয়। ওয়াক্ফ সম্পত্তির একটি বড় অংশও দখলে নেয় ইংরেজ সরকার। ব্রিটিশ শাসনামলে ওয়াক্ফ সম্পত্তিগুলো এভাবে ধ্বংস করার পরও ভারতের স্বাধীনতা লাভের সময় বহু ওয়াক্ফ সম্পত্তি রয়ে যায়। এক হিসেবে দেখা যায়, ভারতে ওয়াক্ফ বোর্ডগুলোর অধীন প্রায় ৮ লাখ ৭২ হাজারটি সম্পত্তি আছে। এগুলোর মোট আয়তন প্রায় ১০ লাখ একর। এসবের মোট মূল্য প্রায় ১৪ দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলার বলে ধারণা করা হয়। এসব সম্পত্তির অনেকগুলোর ইতিহাস শত শত বছর পুরোনো। অধিকাংশই ব্যবহার করা হয় মসজিদ, মাদ্রাসা, কবরস্থান ও এতিমখানার মতো জনকল্যাণমূলক কাজে। প্রাপত তথ্যানুযায়ী, শুধু ৪ লক্ষ ৯০ হাজার রেজিষ্ট্রীকৃত ওয়াক্ফ সম্পত্তি রয়েছে। তার মধ্যে পশ্চিমবাংলায় রয়েছে ১,৪৮,২০০টি এবং উত্তরপ্রদেশে ১,২২,৮৩৯টি। বলা হচ্ছে, এসব সম্পত্তির বাজারমূল্য কম করে হলেও ১৫ বিলিয়ন ডলার হবে। শুধুমাত্র দিল্লীর সম্পত্তির মূল্যই ৬০০০ কোটি রুপির বেশি। এই বিপুল সম্পত্তি থেকে যে আয় হয়, তার ৭ শতাংশ ওয়াক্ফ বোর্ডগুলোর জন্য খরচ হয়, বাকি টাকা খরচ হয় বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক খাতে। আবার বহু ওয়াক্ফ সম্পত্তি জবর দখল হয়ে গেছে। জবরদখলকারীদের মধ্যে শুধু ব্যক্তিবিশেষ নয়, সরকারি সংস্থাও রয়েছে। বহু সম্পত্তি নিয়ে মামলা চলছে।
১৯৯৬-২০০০ সময়কালে ওয়াক্ফ সম্পত্তির উপর যৌথ সংসদীয় কমিটি জবরদখল সম্পত্তি উদ্ধারের জন্য কতগুলো সুপারিশ করেছিল। কিন্তু দুঃখজনকভাবে সেগুলো কার্যকর হয়নি। এখন নতুনভাবে ওয়াক্ফ সংশোধনী বিল এনে ক্রমান্বয়ে প্রায় সব সম্পত্তি জবরদখলের পায়তারা করছে সরকার। নতুন আইন অনুযায়ী, কোনো ওয়াক্ফ সম্পত্তির দলিল দেখাতে ব্যর্থ হলে তাতে সরকারের মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাবে। ইতোমধ্যে ওয়াক্ফ সম্পত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত অসংখ্য মসজিদ, মাদ্রাসা বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কারণ এসব সম্পত্তির দানের দলিল সংরক্ষণ করা হয়নি। আল জাজিরার এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, দীর্ঘদিন ধরেই ভারতে মুসলিমদের ওয়াক্ফ সম্পত্তি ব্যাপকভাবে লুট হচ্ছে এবং এতে খোদ ভারত সরকারও যুক্ত বলে অভিযোগ উঠেছে। চলতিবছরের জানুয়ারিতে ভারতের মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনী শহরে প্রায় ২৫০টি বাড়ি, দোকান এবং একটি শতাব্দী প্রাচীন মসজিদসহ বেশ কিছু অবকাঠামো স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়। এর ফলে ২.১ হেক্টর (৫.২৭ একর) জমি উজাড় হয়ে যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উজ্জয়িনী শহরে একটি হিন্দুমন্দিরের সম্প্রসারণের জন্য বিজেপি সরকার মুসলিমদের ‘ওয়াকফ’ জমি অধিগ্রহণের মাধ্যমে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে ১৫.২২ বিলিয়ন ডলারের মূল্যমানের ওয়াক্ফ সম্পত্তি লুণ্ঠনের একটি বৃহত্তর প্রক্রিয়া বাস্তবায়িত করছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, উজ্জয়িনী শহরের ওয়াকফ জমি ছিল মধ্যপ্রদেশের ওয়াক্ফ বোর্ডের অধীনে। ওই জমি ‘মহাকাল করিডোর’ নামে এক সরকারি প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে, যা শহরের বিখ্যাত মহাকালেশ্বর মন্দিরকে কেন্দ্র করে এক বিলিয়ন ডলারের উন্নয়ন প্রকল্প। এভাবে সারা ভারতে নানাকায়দায় ওয়াক্ফ সম্পত্তি দখলে নিচ্ছে সরকার। প্রসঙ্গত, ভারতে ২০ কোটির বেশি মুসলিমের আবাসস্থলে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ওয়াক্ফ সম্পদ রয়েছে। প্রতিটি রাজ্য ও ফেডারেল অঞ্চলে ওয়াকফ বোর্ড এসব সম্পত্তি পরিচালনা করে, যা সেনাবাহিনী ও রেলওয়ের পর তৃতীয় বৃহত্তম। (চলবে)
পূর্বকোণ/ইবনুর