টেকসই উন্নয়নলক্ষ্য মাত্রা (এসডিজি) হলো ২০১৫ সালে জাতিসংঘ ঘোষিত বিশ্বব্যাপী লক্ষ্যমাত্রা, যা ২০৩০ সালের মধ্যে পৃথিবীজুড়ে শান্তি, সমৃদ্ধি, এবং পরিবেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে গ্রহণ করা হয়। এগুলো মূলত দারিদ্র্য দূরীকরণ, বৈষম্য হ্রাস, এবং সবার জন্য সমতাভিত্তিক উন্নয়ননিশ্চিত করার উপর জোর দেয়। বাংলাদেশ এসডিজি অর্জনে ইতোমধ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। আজকের প্রবন্ধের উদ্দেশ্য হল এসডিজি অর্জনে তিন শূন্যের ধারণা ও সামাজিক ব্যবসার ভূমিকা মূল্যায়ন করা। প্রথমেই দেখা যাক, ‘তিনশূন্য’ এবং সামাজিক ব্যবসা বলতে আসলে কী বুঝায়?
‘তিনশূন্য’ কী? ড. মুহাম্মদ ইউনূস তাঁর ‘‘এ ওয়ার্ল্ড অব থ্রি জিরু’স”বইতে বর্তমান মুনাফামূখী পুঁজিবাদী অর্থনৈতিক ব্যবস্থার সমালোচনা করে একটি নতুন মডেল প্রস্তাব করেছেন। এই নতুন মডেলে তিনি তিনটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য অর্জনের কথা বলেছেন, যা ‘তিন শূন্য’ নামে পরিচিত- ‘শূন্য দারিদ্র’, ‘শূন্য বেকারত্ব’, এবং ‘শূন্য কার্বননিঃসরণ’, যা দারিদ্র্য দূরীকরণ, বৈষম্য হ্রাস, এবং সবার জন্য সমতাভিত্তিক উন্নয়ন নিশ্চিত করবে। ড. ইউনূস এর মতে, দারিদ্র্য মানুষের স্বাভাবিক অবস্থা নয়। বরং এটি এমন একটি অর্থনৈতিক ব্যবস্থা, যা দরিদ্র মানুষকে সুযোগ থেকে বঞ্চিত করে। দরিদ্র মানুষও সঠিক সুযোগ পেলে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারে। তাই সঠিক সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে দারিদ্রকে শূন্যের কোটায় নিয়ে আসতে আমাদের সকলের কাজ করা উচিৎ। অধ্যাপক ইউনূস মনে করেন, আমাদের প্রচলিত অর্থনৈতিক ব্যবস্থা শুধুমাত্র বৃহৎ প্রতিষ্ঠান তৈরির মাধ্যমে চাকরি সৃষ্টির দিকে মনোযোগ দেয়, যা সমাজে সম্পদের অসম বণ্টন তৈরি করে। প্রতিটি মানুষের মধ্যেই উদ্যোক্তা হওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। তাই চাকরি সৃষ্টির পরিবর্তে আমাদের উদ্যোক্তা তৈরির দিকে মনোযোগ দিতে হবে। যদি আমরা সফল উদ্যোক্তা তৈরি করে সকলের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারি তবে বেকারত্বের হার শূন্যের কোঠায় চলে আসবে। অন্যদিকে, অতিরিক্ত কার্বন নিঃসরণ আমাদের পরিবেশকে মারাত্মকভাবে ক্ষতি করে। যার কারণে আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার। অধ্যাপক ইউনূস পরিবেশগত সমস্যার সমাধানের জন্য টেকসই ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন, যা কার্বন নিঃসরণ হ্রাস করতে পারে। আমরা যদি পৃথিবীতে কার্বন নিঃসরণের হার শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসতে পারি তবে আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা হবে, আমাদের পৃথিবী বাসযোগ্য থাকবে।
সামাজিক ব্যবসা কী? “এ ওয়ার্ল্ড অব থ্রি জিরু’স”বইতে অধ্যাপক ইউনূস সামাজিক ব্যবসার ধারণাও তুলে ধরেছেন, যা মূলত লাভের চেয়ে সামাজিক সমস্যাগুলো সমাধান করার উপর বেশী জোর প্রদান করে। অধ্যাপক ইউনূস বিভিন্ন উদাহরণের মাধ্যমে দেখিয়েছেন কীভাবে এই মডেলটি দারিদ্র্য, বেকারত্ব এবং কার্বন নিঃসরণের মাধ্যমে পরিবেশ ধ্বংসের মতো বৈশ্বিক সমস্যাগুলোর সমাধান করতে পারে। তিনি বলেন, প্রচলিত পুঁজিবাদভিত্তিক ব্যবসা মূলত মুনাফা বৃদ্ধির দিকে নজর দেয় এবং সামাজিক ও পরিবেশগত বিষয়গুলিকে উপেক্ষা করে। তিনি তার পরিবর্তে একটি নতুন মডেলের প্রস্তাব দেন যেখানে ব্যবসাগুলো শুধুমাত্র মুনাফা অর্জন করবে না, বরং সমাজের বৃহত্তর কল্যাণে কাজ করবে। তিনি মনে করেন, ব্যবসাকে এমনভাবে সাজানো উচিত যাতে লাভের পাশাপাশি উদোক্তারা সামাজিক সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসবেন এবং উৎপাদন প্রক্রিয়ায় বর্জ্যের পুনঃব্যবহার নিশ্চিত করে সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করেন। তিনি এর নাম দিয়েছেন ‘সামাজিক ব্যবসা’। তার মতে, একমাত্র সামাজিক ব্যবসাই দীর্ঘমেয়াদী টেকসই উন্নয়নের পথে সমাজকে এগিয়ে নিতে পারে। কারণ, এই মডেলটিপরিবেশ এবং সমাজ উভয়ের জন্যই উপকারী। এই ধারণার উপর ভিত্তি করে বিশ্বে বেশ কিছু সফল সামাজিক ব্যবসা চালু রয়েছে। যেমন যুক্তরাষ্ট্রের পাটাগোনিয়া একটি পরিবেশ বান্ধব ক্লথিং ব্র্যান্ড, যা পরিবেশ সুরক্ষা এবং টেকসই উৎপাদনের প্রতি গুরুত্ব দেয়। ভারতের সেলকো ইন্ডিয়া ভারতীয় কৃষকদের জন্য সৌরবিদ্যুৎ সলিউশন প্রদান করে। তারা দরিদ্র মানুষকে সাশ্রয়ী মূল্যে সৌরবিদ্যুৎ সরবরাহ করে, যা তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করে এবং পরিবেশের প্রতি দায়িত্বশীলতা বজায় রাখে। মোটকথা, সামাজিক ব্যবসা মানুষের কল্যাণে কাজ করে, যা এসডিজি অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
‘তিনশূন্য’ এবং ‘সামাজিক ব্যবসা’র ধারণার মধ্যে সম্পর্ক : ড. ইউনূসের তিন শূন্যের ধারণা এবং সামাজিক ব্যবসা একে অপরের সাথে গভীরভাবে সম্পর্কযুক্ত। কারণ, সামাজিক উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে ব্যবসা করলে, তা কেবল দারিদ্র্য নয়, বরং অন্যান্য সামাজিক সমস্যারও সমাধান করতে পারে। এই বিশ্বাস থেকেই ১৯৭৬ সালে অধ্যাপক ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন, যা ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে দরিদ্র, বিশেষ করে নারীদের আত্ম কর্মসংস্থান তৈরীর মাধ্যমে স্বাবলম্বী করে তুলতে সহায়তা করে। উদাহরণ স্বরূপ, গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণগ্রহীতারা ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে ছোট ছোট দোকান, সেলাই কাজ কিংবা কৃষিকাজ শুরু করে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছে। অন্যদিকে ‘গ্রামীণ টেলিকম’, যা প্রথম দিকে ‘টেলিফোন লেডিস’ উদ্যোগের মাধ্যমে গ্রামীণ নারীদের মোবাইল ফোন কিনতে ঋণ দিয়ে ব্যবসা শুরু করার সুযোগ করে দেয়। ইতোমধ্যে লক্ষ লক্ষ মানুষ এই ব্যাংকের মাধ্যমে ঋণ গ্রহণ করে দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পেয়েছে, যার মধ্যে ৯৭% ঋণগ্রহীতা নারী। বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, এখানে ঋণ পরিশোধের হার ৯৮% এর বেশি। ড. ইউনূসের মতে, মানুষকে উদ্যোক্তা হওয়ার উপকরণ সরবরাহ করতে পারলে খুব সহজেই আমাদের বিশ্বে বেকারত্ব দূর করা সম্ভব। তাছাড়া সামাজিক ব্যবসা মানুষের জীবনমানও উন্নত করতে সহায়তা করতে পারে। উদাহরণ হিসেবে ‘গ্রামীণ শক্তি’র কথা বলা যায়, যা গ্রামীণ বাংলাদেশে সাশ্রয়ী মূল্যে সৌরশক্তি সরবরাহ করার মাধ্যমে গ্রামীণ এলাকায় টেকসই ও সহজলভ্য শক্তির উৎস হিসাবে কাজ করছে। উল্লেখ্য, এটি পুনঃব্যবহারযোগ্য জালানী ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে, ফলে এর মাধ্যমে কার্বন নিঃসরণ হ্রাস করা যায়, অন্যদিকে স্থানীয় চাহিদাও পূরণ করা যায়। এসব উদ্যোগ প্রমাণ করে যে, শূন্য দারিদ্র্য, ও শূন্য বেকারত্ব এ দুটি উদ্দেশ্য অর্জনের মাধ্যমে মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন এবং শূন্য কার্বন নিঃসরণ উদ্দেশ্য অর্জনের মাধ্যমে পরিবেশ সুরক্ষা করতে সামাজিক ব্যবসা কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে। সেদিক থেকে আমরা বলতে পারি যে, ‘তিনশূন্য’ এবং ‘সামাজিক ব্যবসা’র ধারণা পরস্পর সম্পর্কযুক্ত।
‘তিনশূন্য’, ‘সামাজিক ব্যবসা’ এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) : তিন শূন্যের ধারণা এসডিজি অর্জনের জন্য একটি প্রধান অনুঘটক হিসাবে কাজ করতে পারে। কেননা এটি সামাজিকভাবে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক পদ্ধতি, যা মানুষের জন্য অর্থনৈতিক, সামাজিক ও পরিবেশগত সমৃদ্ধি নিশ্চিত করার মাধ্যমে টেকসই ভবিষ্যৎ নির্মাণ করে। অন্যদিকে, এসডিজি এমন একটি কর্মপরিকল্পনা, যা দারিদ্র্য ও ক্ষুধা দূরীকরণ, মানবাধিকার নিশ্চিতকরণ, লিঙ্গ সমতা অর্জন, নারীর ক্ষমতায়ন, এবং পৃথিবীতে প্রাকৃতিক সম্পদের স্থায়ী সুরক্ষার উপর জোর প্রদান করে। এইদিক থেকে ‘তিনশূন্য’ ধারণাটি এসডিজি অর্জনের সাথে গভীরভাবে সম্পর্কিত। যেহেতু ‘তিনশূন্য’ এবং ‘সামাজিক ব্যবসা’ পরস্পর সম্পর্কযুক্ত তাই নির্ধিধায় বলা যায় যে ‘তিনশূন্য’, ‘সামাজিক ব্যবসা’ এবং এসডিজি ধারণাত্রয় পরস্পর অঙ্গাঙ্গীভাবে সম্পর্কিত। নিম্নে তিনশূন্য, সামাজিক ব্যবসা এবং এসডিজি এর মধ্যে সম্পর্ক আলোচনা করা হল।
‘শূন্য দারিদ্র’ এবং ‘শূন্য বেকারত্ব’ ধারণাদ্বয় সরাসরি এসডিজি-১ (দারিদ্র্য কমানো) এবং এসডিজি-২ (খাদ্য নিরাপত্তা) -র সাথে সরাসরি সম্পর্কিত। কারণ বেকারত্ব ও দারিদ্র্য বিমোচন হলে মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব। অন্যদিকে সামাজিক ব্যবসা কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দারিদ্র্যের শেকল ভেঙে মানুষের খাদ্য এবং পুষ্টি নিশ্চিত করতে সহায়ক হতে পারে। আবার ‘শূন্য দারিদ্র’ এবং ‘শূন্য বেকারত্ব’ ধারণাদ্বয় এসডিজি-৩ তথা মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা ও কল্যাণের সাথেও সম্পর্কিত। সামাজিক ব্যবসা দরিদ্রদের জন্য উন্নত স্বাস্থ্যসেবা এবং পুষ্টি পরিসেবা উন্নত করার উপর জোর প্রদান করে। তাই বেকারত্ব ও দারিদ্র্যবিমোচন হলে মানুষের স্বাস্থ্য সেবার অধিকার অর্জন সহজ হবে। উক্ত ধারণাদ্বয় এসডিজি-৪ তথা গুণগত শিক্ষার সাথেও সম্পর্কিত। কারণ, দরিদ্র্যতা না থাকলে মানুষ গুণগত শিক্ষার সুযোগ অর্জন করতে পারে। অন্যদিকে গুণগত শিক্ষা মানুষকে সার্বিক উন্নয়নে সহায়তা করে। আবার, সামাজিক ব্যবসা মানুষের জন্য ব্যাপক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের সুযোগ তৈরি করে। এই ধারণাদ্বয় এসডিজি-৫ তথা নারী ক্ষমতায়ন এর সাথেও সম্পর্কিত। কারণ সামাজিক ব্যবসার মাধ্যমে নারী অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়, যা নারীদের বেকারত্ব ও দারিদ্র ঘুচিয়ে তাদের জীবনমান উন্নত এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণে সমান সুযোগ সৃষ্টি করে ও লিঙ্গ সমতা নিশ্চিত করে। সর্বোপরি, ‘শূন্য দারিদ্র’ এবং ‘শূন্য বেকারত্ব’ ধারণাদ্বয় এসডিজি-৮ তথা মানসম্মত কাজ ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, এসডিজি-৯ শিল্প, উদ্ভাবন, এবং অবকাঠামো উন্নয়ন, এবং এসডিজি-১০ তথা বৈষম্য হ্রাস এর সাথেও সম্পর্কিত। কারণ সামাজিক ব্যবসা সমাজের নিম্ন আয়ের মানুষকে মানসম্মত কাজের সুযোগ করে দেয়ার মাধ্যমে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আনতে সহায়তা করে। তাছাড়া মানুষের উদ্ভাবনী ক্ষমতাকে কাজে লাগানোর জন্য অনুন্নত অঞ্চলে শিল্প এবং অবকাঠামো উন্নয়ন হলে, সবার জন্য যোগ্যতা অনুযায়ী ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে ফলে বেকারত্ব হ্রাস পাবে, দারিদ্র্য কমবে এবং দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত জনগণের মধ্যে অর্থনৈতিক বৈষম্য কমবে। এইভাবে অনেক এসডিজি’র সাথে ‘শূন্য দারিদ্র’ এবং ‘শূন্য বেকারত্ব’ ধারণাদ্বয় গভীরভাবে সম্পর্কযুক্ত।
অন্যদিকে, শূন্য কার্বন নিঃসরণ ধারণাটি পরিবেশের ক্ষতি করে না এমন টেকসই ব্যবসায়িক অনুশীলনের গুরুত্বের ওপর জোর দেয়, যা সরাসরি এসডিজি-৭ (তথা টেকসই প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে শক্তির উৎস থেকে নবায়নযোগ্য জ্বালানী তৈরী); এসডিজি-১২ (তথা টেকসই এবং পরিবেশ-বান্ধব উৎপাদন, এর অনুশীলন ও এমন ব্যবসার প্রসার; এবং টেকসই ব্যবসায়িক অনুশীলন এবং কার্বন নিঃসরণ হ্রাস করার মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমন) অর্জনে সরাসরি অবদান রাখতে পারে। অতএব আমরা বলতে পারি যে, ‘তিনশূন্য’ ও ‘সামাজিক ব্যবসা’র ধারণা এসডিজি অর্জনে সহায়ক।
উপসংহার : ‘তিনশূন্য’ ও ‘সামাজিক ব্যবসা’র ধারণা মূলত এসডিজি অর্জনের জন্য একটি সামগ্রিক কাঠামো প্রদান করে। এই মডেলটি আজ মানবতার মুখোমুখি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ তথা ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও পরিবেশের ক্ষতি মোকাবেলায় উদ্যোক্তা সৃষ্টি, সামাজিক উদ্ভাবন এবং টেকসই অনুশীলনের শক্তির উপর জোর দেয়। অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং পরিবেশগত উদ্দেশ্যগুলিকে একত্রিত করে ড. ইউনূস একটি অধিকতর ন্যায়সঙ্গত এবং টেকসই বিশ্বের দিকে বিস্তৃত পথ দেখিয়েছেন, যা বাংলাদেশ তথা তৃতীয় বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশের জন্য একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হতে পারে।
ড. আমির মুহাম্মদ নসরুল্লাহ অধ্যাপক, লোকপ্রশাসন বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও স্থানীয় সরকার, সুশাসন ও টেকসই উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ।
পূর্বকোণ/পিআর