চট্টগ্রাম রবিবার, ১৫ জুন, ২০২৫

সর্বশেষ:

ভারত-পাকিস্তানের আকস্মিক যুদ্ধবিরতির ভবিষ্যৎ কী
ফাইল ছবি

ভারত-পাকিস্তানের আকস্মিক যুদ্ধবিরতির ভবিষ্যৎ কী

আবসার মাহফুজ

১৩ মে, ২০২৫ | ৩:০০ অপরাহ্ণ

২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন পর্যটকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সপ্তাহখানেক ‘চিরবৈরী- হিসেবে পরিচিত দুই পরমাণু শক্তিধর দেশ ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে বাগ্যুদ্ধ চলছিল। একদিকে ভারত কোনো অকাট্য প্রমাণ ছাড়াই বলে আসছিল- পাকিস্তানি মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীরাই এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। এর চরম মাসুল দিতে হবে পাকিস্তানকে। অন্যদিকে পাকিস্তান এই অভিযোগ অস্বীকার করে স্বাধীন আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি জানিয়ে আসছে। একইসঙ্গে ভারতের সামরিকসহ যে কোনো পদক্ষেপের দাঁতভাঙা জবাব দেওয়ার অঙ্গিকার ব্যক্ত করে। কিন্তু ভারত পেহেলগাম হত্যাকাণ্ডের আন্তর্জাতিক তদেন্তের ব্যাপারটি এড়িয়ে যায়। উপরন্তু পাকিস্তানকে শাস্তি দিতে সিন্ধুনদের পানিচুক্তি স্থগিতসহ ১০টি শাস্তিমূলক পদক্ষেপ ঘোষণা করে।

পাকিস্তানও সিমলাচুক্তি বাতিলসহ কয়েকটি পদক্ষেপ নেয় ভারতের বিরুদ্ধে। এভাবে সপ্তাহখানেক চললেও ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নিতে তার সশস্ত্র বাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেয়। এই ঘোষণার পর পাকিস্তানও তৎপর হয়ে ওঠে নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে। একপর্যায়ে ৬ মে মধ্যরাতের পর ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামে এক অভিযান চালায় পাকিস্তান ও পাকিস্তানশাসিত কাশ্মীরে। ভারতের দাবি, ২৫ মিনিটের এই অভিযানে ৯টি স্থানে হামলা চালানো হয়েছে, তবে কোনো পাকিস্তানি বেসামরিক, অর্থনৈতিক বা সামরিক স্থাপনায় আঘাত করা হয়নি। তাদের মতে, দুটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর লস্কর-ই-তাইয়েবা এবং জইশ-ই-মুহাম্মদ ‘সন্ত্রাসবাদী অবকাঠামো’ লক্ষ্য করে চালানো হয়। এতে ৩১ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়।

 

পাকিস্তান দাবি করেছে, তারা ভারতের পাঁচটি বিমান ও দুটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। এই উত্তেজনা দুই দেশকে যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যায়। হামলার জবাবে পরের দিন পাকিস্তানও ‘অপারেশন বুনইয়ানুম মারসুস’ (সুদৃঢ় প্রাচীর) নামে ভারতের বিরুদ্ধে বড় সামরিক অভিযান শুরু করে। এতে ভারতের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এভাবে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা চরম পরিণতির দিকে এগোতে থাকলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দু’দেশকে যুদ্ধবিরতিতে রাজি করান। তবে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার পরও দু’দেশ পরস্পরের বিরুদ্ধে হামলা অব্যাহত রাখার অভিযোগ করছে। তাছাড়া সবচেয়ে স্পর্শকাতর বিষয় সিন্ধুর পানিচুক্তি স্থগিতের সিদ্ধান্ত থেকে ভারত সরে আসেনি এখনো। ফলে ভারত-পাকিস্তানের আকস্মিক যুদ্ধবিরতির ভবিষ্যৎ নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।

 

উল্লেখ্য, পারমাণবিক শক্তিধর ভারত-পাকিস্তান দুই প্রতিবেশীর মধ্যে এটিই ছিল বিগত কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ সংঘাত। কাশ্মীর নিয়ে এর আগের তিনটি যুদ্ধও রক্তক্ষয়ী ছিল। ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দের সর্বশেষ যুদ্ধে পাকিস্তান ও ভারতের কয়েক হাজার সৈন্য হতাহত হয়েছিলো। স্বল্প সময়ে সেটি একটি তীব্র সংঘাত ছিল। এরপর ২০১৯ খ্রিস্টাব্দে একটি আত্মঘাতী গাড়িবোমা হামলার পর ভারত পাকিস্তানে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করে। তবে এসব সংঘর্ষ পূর্ণমাত্রার যুদ্ধে রূপ নেয়নি। উভয় দেশই এর ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন ছিল। তবে ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দের পর থেকে দুই দেশই পারমাণবিক অস্ত্রসহ বিভিন্ন মারণাস্ত্রের উৎপাদন ও আমদানি করে সামরিক শক্তি বাড়িয়েছে।

 

আন্তর্জাতিক সামরিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এবার ভারত খুবই আত্মবিশ্বাসী ছিল যে, তারা পাকিস্তানকে ঘায়েল করতে পারবে। সে জন্যেই একটি ফলস্ অভিযোগ এনে পাকিস্তানে হামলার পায়তারা করে। তবে পাকিস্তানও নানাভাবে নিজের সামরিক শক্তি বাড়িয়েছে। ফলে দেশটি এবার ভারতের আক্রমণই শুধু ঠেকাইনি, ভারতের সামরিক অহংকারও চূর্ণ করে দিয়েছে ‘অপারেশ বুনইয়ানুম মারসুস’ এর মাধ্যমে।

 

প্রভাবশালী আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন বলেছে, মূলত ভারতের হামলার জবাবে পাকিস্তান দেশটিতে পাল্টা হামলা চালায়। আর পাকিস্তানি সেই হামলার মাত্রা দেখে ভারত হতবাক হয়ে পড়ে। প্রসঙ্গত, মাত্র ৮৭ ঘণ্টায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘটিত হয় ভয়াবহ ও বহুমাত্রিক যুদ্ধ। ৭ মে রাত ১টা ৫ মিনিটে ভারতের বিমান বাহিনী শুরু করে আকস্মিক হামলা, যার কোডনেম ছিল ‘অপারেশন সিন্ধুর’। এই অভিযানে অংশ নেয় রাফায়েল যুদ্ধবিমান, যেগুলো থেকে ছোড়া হয় স্টর্ম শ্যাডো মিসাইল ও হ্যামার বোমা। একইসঙ্গে ভারত ড্রোন ব্যবহার করে পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা যাচাইয়ের চেষ্টা করে। জবাবে পাকিস্তানও খুব দ্রুত পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলে। জে-১০সি যুদ্ধবিমান ও কোরাল ইলেকট্রনিক জ্যামার ব্যবহার করে পাকিস্তান আকাশে প্রতিরক্ষা গড়ে তোলে।

 

পাকিস্তান দাবি করে, তারা ভারতের তিনটি রাফায়েল যুদ্ধবিমানসহ ৫টি বিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছে এবং ১২টি ভারতীয় ড্রোন ধ্বংস করেছে ইলেকট্রনিক ব্যবস্থা, অ্যান্টি-এয়ারক্রাফট গান এবং শর্ট রেঞ্জ ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে। তবে এই যুদ্ধ শুধু আকাশে হয়নি। সব চেয়ে বড় ধাক্কা এসেছে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে। মাত্র ৮৭ ঘণ্টা ২৫ মিনিটের এই সংঘাতে ভারতের অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৮৩ বিলিয়ন ডলার। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় ভারতের শেয়ারবাজার- নিফটি ও সেনসেক্স মিলিয়ে উবে যায় প্রায় ৮২ বিলিয়ন ডলার। উত্তর ভারতের আকাশসীমা বন্ধ থাকায় প্রতিদিন ৮ মিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছে বিমান চলাচলে। আইপিএল বন্ধ হওয়ায় আর্থিক ক্ষতি হয় ৫০ মিলিয়ন ডলার। সামরিক ব্যয়ে যোগ হয় আরও ১০০ মিলিয়ন ডলার এবং যুদ্ধবিমান হারিয়ে ক্ষতি হয় ৪০০ মিলিয়ন ডলার। লজিস্টিক ও বাণিজ্য খাতে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে ২ বিলিয়ন ডলার।

 

অন্যদিকে পাকিস্তানের মোট ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ৪ বিলিয়ন ডলার। করাচি শেয়ারবাজারে সূচক পড়ে গিয়ে ক্ষতি হয় ২.৫ বিলিয়ন ডলার। পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) বন্ধ থাকায় ক্ষতি হয় আরও ১০ মিলিয়ন ডলার। আকাশসীমা বন্ধ থাকায় ক্ষতি হয়েছে ২০ মিলিয়ন ডলার, আর সামরিক খাতে প্রতিদিন ২৫ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ের পাশাপাশি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যয় হয় ৩০০ মিলিয়ন ডলার। এই যুদ্ধ দেখিয়ে দিয়েছে, আধুনিক যুগে যুদ্ধ মানে শুধু বোমা, ট্যাংক আর যুদ্ধবিমান নয়। এখন যুদ্ধ মানেই শেয়ারবাজারে ধস, বিনিয়োগকারীদের আস্থা হারানো, বৈদেশিক বিনিয়োগে স্থবিরতা, এবং সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক দুর্দশা। ঘণ্টায় এক বিলিয়ন ডলার ক্ষতি- এটি প্রমাণ করে, সীমিত সময়েও সংঘর্ষ দুই দেশের অর্থনীতিকে কতটা ঝাঁকুনি দিতে পারে। বিশ্লেষকদের মতে, যুদ্ধের আসল শক্তি এখন আর শুধু সামরিক নয়; বরং অর্থনীতি, প্রযুক্তি ও মনস্তত্তে¡র উপর নির্ভরশীল। এই সংঘর্ষের মূল বার্তা- প্রতিরোধই প্রকৃত কৌশল।

 

উল্লেখ্য, পাকিস্তানকে ‘উচিত শিক্ষা’ দিতে ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদী নেতৃত্ব ‘পেহেলগাম হত্যাকাণ্ডের নাটক’ সাজিয়েছে বলে অনেক আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক দাবি করেছেন। তাদের মতে, পেহেলগাম হত্যাকাণ্ডে পাকিস্তানের হাত থাকার অকাট্য প্রমাণ থাকলে ভারত আন্তর্জাতিক তদন্তে আগ্রহ দেখাচ্ছে না কেন? সামরিক গবেষক ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিশ্লেষক কুলম্যান বলেছেন- ভারত দীর্ঘদিন ধরেই পাকিস্তানে হামলার পরিকল্পনা সাজিয়েছে। ভারতের কংগ্রেস সভাপতি ও রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জন খড়গে ৫ মে দাবি করেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জম্মু-কাশ্মীরে সম্ভাব্য হামলার বিষযে একটি গোয়েন্দা রিপোর্ট পেয়েছিলেন, যার ভিত্তিতে ১৯ এপ্রিলের কাশ্মীর সফর বাতিল করেন মোদী।

 

কিন্তু তারপরও মোদী হামলা ঠেকাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেননি কেনো? কয়েকটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও বলা হয়েছে, হামলার সময় ভারতীয় সেনাবাহিনী নিষ্ক্রিয় ছিল। ডিউটিরত এক ভারতীয় সেনাও বলেছেন- ভারতীয় সেনাসদস্যরা সক্রিয় হলে হামলা ঠেকানো যেতো এবং সন্ত্রাসীদের আটক করা যেতো। কিন্তু তা করা হয়নি। ফলে পেহেলগাম হামলাকে মোদীর একটি ‘সাজানো নাটক’ বলছে বিভিন্ন বিশ্লেষক। কিন্তু মোদী এটিকে অজুহাত ধরেই পাকিস্তানে ‘অপারেশ সিঁদুর’ অভিযান চালিয়েছেন। ভারত মনে করেছিল, এর মাধ্যমে পাকিস্তানকে ঘায়েল করতে পারবে। ভারতের বিরোধীদলগুলোও এই ইস্যুতে এককাতারে সামিল হয়েছিল। তবে এতে হিতে বিপরীত ফল হয়েছে।

 

পাকিস্তান ভারত কর্তৃক রাতের আধারে পরিচালিত হামলাকে শুধু ঠেকিয়েই দেয়নি, ভারতের সামরিক অহংকার হিসেবে পরিচিত কয়েকটি অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমানকেও ভূপাতিত করেছে। শুধু তাই নয়, পরের দিন প্রকাশ্য দিবালোকে ‘অপারেশ বুনইয়ানুম মারসুস’ নামের অভিযান পরিচালনা করে ভারতের আকাশ প্রতিরক্ষা এবং কয়েকটি সামরিক ঘাটি গুড়িয়ে দিয়েছে। সাইবার হামলা চালিয়ে ভারতের বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থাসহ নানাক্ষেত্রেও ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে। ড্রোন হামলাও অব্যাহত রাখে দেশটি। ভারত এর জবাবে পাকিস্তানে কিছু ইসরায়েলি ড্রোন দিয়ে হামলা চালালেও তাতে সফল হতে পারেনি। প্রসঙ্গত, পারমাণবিক অস্ত্রে সজ্জিত প্রতিবেশী দুই দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে ড্রোন হামলা। সাম্প্রতিক এই সংঘাতে দুই পক্ষই ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে- যা বিশ্বের প্রথম ‘ড্রোন যুদ্ধ’ হিসেবে অভিহিত করছেন বিশ্লেষকরা। ভারতের অভিযোগ, পাকিস্তান তাদের ভূখণ্ড এবং ভারত-শাসিত কাশ্মীরের অন্তত তিনটি সামরিক ঘাঁটিতে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। যদিও ইসলামাবাদ দ্রুতই এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

 

অন্যদিকে, পাকিস্তান দাবি করেছে, তারা কয়েক ঘণ্টায় অন্তত ২৫টি ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত করেছে, যেগুলো ইসরায়েলের তৈরি ‘হ্যারোপ’ মডেলের বলে জানিয়েছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। বিশ্লেষকদের মতে, দুই দেশের দীর্ঘদিনের সংঘাত এবার এমন এক পর্বে পৌঁছেছে, যেখানে ড্রোন ও মানববিহীন প্রযুক্তি কেন্দ্রীয় ভূমিকা নিয়েছে। তবে এ যুদ্ধে শেষপর্যন্ত পাকিস্তানই জিতেছে বলে বলছেন- আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকগণ। ব্রিটিশ নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক অধ্যাপক মাইকেল ক্লার্ক বলেছেন, পাকিস্তান তাদের সামরিক সরঞ্জাম ও প্রযুক্তিগত সক্ষমতা দিয়ে ভারতকে অবাক করে দিতে পেরেছে। পাকিস্তানের সক্ষমতার সামনে ভারত অনেকটাই অপ্রস্তুত অবস্থায় পড়ে গিয়েছিল বলে মনে করেন তিনি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এই কথা বলেন।

 

ক্লার্ক বলেন, ভারত সম্ভবত পাকিস্তানের এই শক্তি প্রদর্শনকে ঝুঁকি নেওয়ার লক্ষণ হিসেবে দেখবে। পাকিস্তান প্রাথমিকপর্যায়ে কাক্সিক্ষত সাফল্যের পর ভারতে আরো বড়ধরনের হামলার প্রস্তুতিও নেয়। এতে দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে একটি বড়ধরনের সংঘর্ষ শুরু হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়, যা পারমাণবিক যুদ্ধে রূপ নেওয়ার শঙ্কাও ছিল। এমন প্রেক্ষাপটে একটি গোপন, কিন্তু ভয়াবহ গোয়েন্দা তথ্য পেয়ে যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ থামাতে দ্রুত সক্রিয় হয়ে ওঠে। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর কৌশলী ও ত্বরিত ক‚টনৈতিক প্রচেষ্টায় দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। এই পদক্ষেপের পেছনে ছিল মার্কিন প্রশাসনের কৌশলগত চাপ এবং শান্তিপূর্ণ বিকল্প পথের প্রতি আহ্বান। যুক্তরাষ্ট্রের এই কৌশলী ভূমিকা দুই পক্ষকে যুদ্ধের মাঠ থেকে আপাতত আলোচনায় ফিরিয়ে আনার পথ সুগম করেছে। এটি স্বস্থিদায়ক। তবে জাতিসংঘ প্রস্তাবের আলোকে গণভোট আয়োজনের মাধ্যমে পাক-ভারত বৈরিতা ও উত্তেজনার মূল কেন্দ্রবিন্দু কাশ্মীরের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে পদক্ষেপ না নিলে ও পাকিস্তানের ‘লাইফ লাইন’ খ্যাত সিন্ধুনদের পানিতে পাকিস্তানের ন্যায্য হিস্যা না থাকলে যুদ্ধবিরতি টেকসই হবে না।

 

পূর্বকোণ/ইব

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট