চট্টগ্রাম শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

শিশুর জন্ম ও মৃত্যুর তথ্য জানাতে আইন চান সিইসি

২১ অক্টোবর, ২০১৯ | ২:০৫ পূর্বাহ্ণ

কোনো শিশুর জন্মের পর কিংবা কেউ মারা গেলে, সে তথ্য থানা নির্বাচন কর্মকর্তাকে জানাতে হবে- এমন একটি আইন চাইলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা। তিনি বলেছেন, জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) সঠিক বয়স লিপিবদ্ধ করা এবং মৃত ভোটার তালিকা থেকে কর্তন করা একটা সমস্যা। এই সমস্যা থেকে উত্তোরণের জন্য শিশুর জন্মের পর এবং কেউ মারা গেলে সে তথ্য থানা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে মৌখিক বিবৃতি আকারে জানানোর বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে। নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) আয়োজিত আগারগাঁওয়ে এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিইসি এসব কথা বলেন।-বাংলানিউজ

কেএম নূরুল হুদা বলেন, মৃত ভোটার একটা সমস্যা। ব্রিটিশ আমলে একটা নিয়ম ছিল, কেউ মারা গেলে থানায় ভারবাল স্টেটমেন্ট দিতে হতো। কোনো বাড়িতে কোনো বাচ্চা জন্ম নিলে বা মারা গেলে থানায় মৌখিক তথ্য দিতে হতো। চকিদার যেয়ে বলত যে, ওই বাড়িতে অমুকের একটা সন্তান জন্ম নিয়েছে। কিংবা ওই গ্রামের ওই বাড়ি অমুক মৃত্যুবরণ করেছে। ‘থানায় এখন সেটা বলা সম্ভব কিনা, তবে চকিদার থানা নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে এ তথ্য দিতে পারে কিনা ভাবা দরকার।’ তিনি বলেন, মৃত ভোটার বাদ দেওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। জীবিত ভোটারও অনেক সময় মৃত হয়ে যায়। এটা কিভাবে হয়? এটা হলে নির্ভুল ভোটার তালিকায় নির্বাচন করা অসম্ভব।

সিইসি বলেন, এনআইডি প্রাপ্তিও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কেননা, এটা না হলে কোনো সেবাই পাওয়া যায় না। প্রবাসীদের তো আরও বেশি প্রয়োজন। ভোটার তালিকার মাধ্যমে এনআইডি দেওয়া হচ্ছে। তাই ভোটার তালিকা করার সময় বয়সের সঠিকতা যাচাই সঠিক হতে হবে। সঠিক সত্য তথ্য না দিলো অনেক সমস্যা হয়ে যায়। ‘দুঃখজনক যে জন্মনিবন্ধন কার্যকর নয়। যে কারণে ৪২ বছর বয়সের লোক ২৪, ২৪ বছর বয়সের লোক ৪২ হতে চায়। অনেকে বিএ পাস করার পর বলে পাসই করে নাই। নানা কারণে এটা করে থাকেন। এতে দেখা যায় ছেলের বয়সের চেয়েও ছোট হয়ে যায় বাবা।’

প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যে সিইসি কেএম নূরুল হুদা বলেন, প্রাইমারি পরীক্ষার সনদ দিলেও বয়স ঠিক করা সম্ভব। একেবারে সঠিক বয়স দিয়ে, পিতা-মাতার নাম দিয়ে, ঠিকানা দিয়ে ভোটার তালিকা করার এখনও সময় বোধহয় আসেনি। আপনারা তবু চেষ্টা করছেন। ‘বয়স ঠিক মতো নেওয়া একটি জটিল সমস্যা। এই সমস্যা আপনাদের মোকাবেলা করার পথ বের করতে হবে। সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। ভোটার তালিকা ও এনআইডি মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। একটার কারণে আরেকটার গুরুত্ব অনেক বেড়ে গেছে।’

কেএম নূরুল হুদা বলেন, এক সময় কোনো তালিকাই ছিল না। ভোটার যেয়ে বলতো ভোট দিবো। তখনও নির্বাচন হতো, ভোট দিত। স্থানীয় নির্বাচনগুলোতে এমন হতো। ‘ভারতবর্ষে ভোট দেওয়া শুরু হয়। পাকিস্তান আমলে ভোটাধিকারই ছিল না। প্রতিনিধিরা ভোট দিত। সে অবস্থার উন্নতি হয়েছে। ভবিষ্যতে আরও হবে।’
ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম যুযোগপযোগী করা এবং ভোটার নিবন্ধন সংক্রান্ত ফরমসমূহ পুনর্বিন্যাসকরণ শীর্ষক কর্মশালায় ইসির অতিরিক্ত সচিব মো. মোখলেছুর রহমান সভাপতিত্ব করেন। এতে অন্য নির্বাচন কমিশনাররাও উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট