গত ৫১ দিনে জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) ৬৫ হাজার সংশোধনের আবেদন নিষ্পত্তি করেছে নির্বাচন কমিশন। গত ৫ আগস্ট থেকে ২৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এসব আবেদন নিষ্পত্তি করা হয়। অবশ্য এখনও ইসির দফতরে ৪ লাখ ৭০ হাজার আবেদন জমে আছে।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ইসির উপ-পরিচালক মাহবুবা মমতা হেনার সই করা এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
নির্বাচন কমিশন নাগরিকদের আবেদন সাতটি ক্যাটাগরিতে নিষ্পত্তি করে থাকে। এদের মধ্যে ৫ আগস্ট ‘ক’ ক্যাটাগরির ৪০ হাজার ৭৭৮টি আবেদন জমা ছিল, ২৪ সেপ্টেম্বরে এই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ১৪০টিতে। একইভাবে ৫ আগস্টের ‘ক-১’ ক্যাটাগরির ৩৮৯টি থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর দাঁড়িয়েছে এক হাজার ২৮৪টিতে, ‘খ’ ক্যাটাগরির এক লাখ ৩ হাজার ৭১২টি আবেদন থেকে ৭৭ হাজার ৪০৩টি, ‘খ-১’ ক্যাটাগরির ৬১২টি থেকে ৬ হাজার ৪৮৭টি, ‘গ’ ক্যাটাগরির এক লাখ ৬৮ হাজার ২৭টি থেকে ১ লাখ ৬৪ হাজার ৩০৪টি, ‘গ-১’ ক্যাটাগরির ২৮১টি থেকে ৯২৭টিতে পৌঁছেছে।
এছাড়া তথ্যের ঘাটটিজনিত কারণে আবেদন সেন্ড ব্যাক টু সিটিজেন ক্যাটাগরিতে ৪০ হাজার ২৩০টি, তদন্ত হয়নি ৭৩ হাজার ৭২৫টির, শুনানির অপেক্ষায় ২২ হাজার ৬৭১টি ও অতিরিক্ত তথ্যের ঘাটতিজনিত ৩৪ হাজার ৯৫৫টি আবেদন অনিষ্পন্ন অবস্থায় পড়ে আছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনের সচিব শফিউল আজিম মিডিয়াকে বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে আমরা সেবা সহজ করার উদ্যোগ নিয়েছি। নাগরিকদের এনআইডি সেবাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি। আমি নিজেই এজন্য মাঠ প্রশাসনের সঙ্গে একাধিকবার জুম মিটিং করেছি। এনআইডি সেবাকে ত্বরান্বিত করতে মাঠ পর্যায় থেকে তথ্য নেওয়া হয়েছে। আমাদের কার্যক্রমের স্বচ্ছতার জন্য এনআইডি সংশোধনের সর্বশেষ অবস্থান জানাতে তথ্য প্রকাশ করেছি। আমরা দ্রুত আবেদন নিষ্পত্তি করার উদ্যোগ নেবো।’
পূর্বকোণ/আরআর/পারভেজ