বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ এখন অনেক শান্তিতে আছেন। তবে শেখ হাসিনা ভারতে বসে বাংলাদেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ দেশের মানুষ এখন সব বোঝে। কোনও ষড়যন্ত্রেই আর কাজ হবে না। স্বৈরাচার সরকারকে হটিয়ে দেশের মানুষ তা প্রমাণ করেছে। সেই সঙ্গে রাষ্ট্রের সকল প্রতিষ্ঠানকে আওয়ামী লীগ ধ্বংস করেছে। তিনবার একতরফা নির্বাচন করে গণতন্ত্রকে নষ্ট করেছে।’
রবিবার (২৫ আগস্ট) বিকালে সিলেটের একটি পাঁচতারকা হোটেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূস যোগ্য লোকদের নিয়ে অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার গঠন করেছেন। দেশের পরিবেশ ঠিক করে দ্রুত নির্বাচন দেবেন। অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারকে সময় দিতে চায় বিএনপি। তাদের সব ধরনের সহায়তা করা হবে। যৌক্তিক সময় দেবো, তবে তা দীর্ঘ নয়। অনেক জায়গায় সংস্কার দরকার।’
সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল জানান, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে এক লাখ ৪৫ হাজার গায়েবি মামলা দেওয়া হয়েছে। এসব মামলায় আসামি হয়েছেন ৬০ লাখ নেতাকর্মী।
চলমান বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে ফখরুল বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন জায়গায় বন্যা একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। দল হিসেবে বিএনপি বন্যাদুর্গতদের পাশে থাকবে। এ ছাড়া অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে বিএনপি ৩১ দফা সংস্কার দাবি দিয়েছে, সেগুলো দেখতে হবে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরী, তাহসিনা রুশদি লুনা, কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগর শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মিফতাহ সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী, জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ূম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরীসহ দলীয় নেতাকর্মীরা।
পূর্বকোণ/আরআর/পারভেজ