দ্রুত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনী চূড়ান্ত করাসহ আট সুপারিশ জানিয়েছে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট। বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব সুপারিশ জানানো হয়।
তাদের সুপারিশগুলো হলো– দ্রুত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনী চূড়ান্ত করা; তামাক কোম্পানির প্রভাব থেকে নীতি সুরক্ষার এফসিটিসির অনুচ্ছেদ ৫ দশমিক ৩ অনুসারে কোড অব কন্টাক্ট গ্রহণ; জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি দ্রুত চূড়ান্ত এবং দেশব্যাপী যথাযথ কার্যক্রম গ্রহণ করা; টাস্কফোর্স কমিটিগুলো সক্রিয় করা, কমিটির ত্রৈমাসিক সভা নিয়মিতকরণ সভার সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়ন করা; আইন লঙ্ঘনের দায়ে তামাক কোম্পানি/প্রতিনিধিকে আর্থিক জরিমানার পাশাপাশি জেল দেওয়া; আইন লঙ্ঘনকারী তামাক কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া; তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন মনিটরিং কার্যক্রমের সঙ্গে বেসরকারি সংস্থাগুলোকে সম্পৃক্ত করা এবং প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুসারে একটি শক্তিশালি তামাক নীতি বাস্তবায়ন করা।
সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ পাঠ করে গ্রামবাংলা উন্নয়ন কমিটির নির্বাহী পরিচালক এ কে এম মাকসুদ বলেন, ‘দীর্ঘ দিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৫ সালে ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন প্রণয়ন এবং এর কাঙ্খিত সুফল নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট বিধি জারি করা হয়। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের ধারা-৫ এ তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন, প্রচারণা ও পৃষ্ঠপোষকতা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিন্তু দেশের তামাক কোম্পানিগুলো আইন ভঙ্গ করে নানা অপকৌশলের আশ্রয় নিয়ে তামাকজাত দ্রব্যের বিজ্ঞাপন ও প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে এবং বিক্রেতাদের উৎসাহিত করছে।’
পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের চেয়ারম্যান আবু নাসের খানের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন– সিএলপিএ ট্রাস্টের সেক্রেটারি সৈয়দ মাহবুবুল আলম, ডাসের টিম লিডার আমিনুল ইসলাম বকুল, টিসিআরসির প্রকল্প পরিচালক বজলুর রহমান, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের হেড অব প্রোগ্রাম সৈয়দা অনন্যা রহমান প্রমুখ।
পূর্বকোণ/রাজীব