চট্টগ্রাম সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪

‘দেশে আদানির বিদ্যুৎ আমদানি শুরু’

অনলাইন ডেস্ক

৭ এপ্রিল, ২০২৩ | ১০:৪৭ অপরাহ্ণ

সর্বশেষ গতকাল ১৪ দিনের নির্ভরযোগ্যতা পরীক্ষা (রিলায়াবিলিটি টেস্ট) সফলভাবে শেষ হওয়ায় বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে ভারতের এই বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্রটিতে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয়। পরীক্ষামূলক উৎপাদন শেষে গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করেছে আদানি গ্রুপ। গত ৯ মার্চ থেকেই এই বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র থেকে দেশে বিদ্যুৎ আসছে।

 

সর্বশেষ গতকাল ১৪ দিনের নির্ভরযোগ্যতা পরীক্ষা (রিলায়াবিলিটি টেস্ট) সফলভাবে শেষ হওয়ায় বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে ভারতের এই বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্রটিতে বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয়। নাম না প্রকাশের শর্তে বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা। নির্ভরযোগ্যতা পরীক্ষা বলতে এখানে সমগ্র উৎপাদনকেন্দ্রে টানা ৭২ ঘণ্টা পূর্ণ সক্ষমতায় নিরবচ্ছিন্নভাবে উৎপাদন কার্যক্রম পরিচালনাকে বোঝানো হয়েছে।বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) কারিগরি কমিটির উপস্থিতিতে এই পরীক্ষা শেষ হয়।

 

বিদ্যুৎসচিব হাবিবুর রহমান বলেন, ‘তারা (আদানি পাওয়ার) পরীক্ষার মাধ্যমে বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে।’তবে বাণিজ্যিক উৎপাদনের তারিখ (সিওডি) আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আরও কিছু প্রক্রিয়া শেষে শিগগির তা জানানো হবে।’ পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের তথ্য অনুযায়ী, গত ১ এপ্রিল থেকে ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ঝাড়খণ্ডের গোড্ডা জেলায় বিদ্যুৎকেন্দ্র গড়ে প্রায় ৭৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে।

 

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, গোড্ডায় ৪২৫ হেক্টর জমির ওপর এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি দিনের পিক আওয়ারে ৬৮৫ মেগাওয়াট এবং সন্ধ্যায় পিক আওয়ারে ৭৪৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। ভারতীয় সীমান্ত পর্যন্ত প্রায় ১০৬ কিলোমিটারের ডেডিকেটেড সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে যে বিদ্যুৎ আসছে তা ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট আল্ট্রা-সুপারক্রিটিক্যাল প্ল্যান্টের প্রথম ইউনিট থেকে আসছে। আদানি গ্রুপের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দ্বিতীয় ইউনিটটি শিগগির উৎপাদন শুরু করতে যাচ্ছে। আদানির সঙ্গে ২৫ বছরের চুক্তির মেয়াদকালে পিডিবি প্রতি বছর এই বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে উৎপাদিত বিদ্যুতের ৩৪ শতাংশ নিতে বাধ্য।

 

আদানি গ্রুপ গত ২ এপ্রিল বিবৃতিতে জানায়, ১৪ হাজার ৮১৬ কোটি রুপি প্রাক্কলিত খরচে নির্মিত এই বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুতের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে বর্তমান কয়লার হারে প্রতি কিলোওয়াট ঘণ্টায় শূন্য দশমিক ১৩৬৩ ডলার হবে। প্রতি কিলোওয়াট-ঘণ্টায় জ্বালানি খরচ হবে ০ দশমিক ০৯৩৯ ডলার ও ক্যাপাসিটি চার্জ হবে কিলোওয়াট প্রতি শূন্য দশমিক ০৪২৪ ডলার।

 

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আদানি গোড্ডা এটা বলতে চায় যে রামপাল, মাতারবাড়ি ও এস আলম বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের তুলনায় (আদানির) উৎপাদিত বিদ্যুতের মূল্য কখনোই বেশি হবে না।’ তবে বিপিডিবির কর্মকর্তারা দামের বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি। আদানি গ্রুপ ও পিডিবির মধ্যে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি অনুসারে, ইন্দোনেশিয়ান এইচবিএ সূচক ও অস্ট্রেলিয়ান গ্লোবাল কোল নিউক্যাসল সূচকের গড় মূল্যের ভিত্তিতে গোড্ডার কয়লার দাম নির্ধারণ করা হবে।

 

পূর্বকোণ/আরআর/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট