দেশের ট্যানারি বা চামড়াশিল্প খাতের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২২ হাজার ৭৭৬ টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। একই সঙ্গে মজুরিতে গ্রেডিং সিস্টেম চালু করতে বলেছে সংস্থাটি।
শনিবার ধানমন্ডিতে সিপিডি কার্যালয়ে ‘ট্যানারি শিল্পে ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ ও বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ’ বিষয়ে আয়োজিত মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলে সিপিডি। চামড়া শিল্পের শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নিয়ে গবেষণা করেছে সংস্থাটি।
সিডিপি বলছে, বর্তমানে এ খাতের শ্রমিকদের খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত খরচ অনেক বেড়েছে। সুতরাং মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় ট্যানারি শিল্পের শ্রমিকদের জন্য ২২ হাজার ৭৭৬ টাকা ন্যূনতম মজুরি হওয়া প্রয়োজন।
রপ্তানি আয় বিবেচনায় তৈরি পোশাকের পর চামড়া শিল্পের অবস্থান। অথচ এ খাতের পরিবেশ নিয়ে যতটা আলোচনা হয় ততটা গুরুত্ব পায় না মজুরি ইস্যু। সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, চামড়া খাতের পরিবেশ নিয়ে অনেক আলোচনা হলেও এ খাতের মজুরি নিয়ে আলোচনা কম হয়। সুতরাং মজুরি বৃদ্ধি পেলে এ শিল্প খাতে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।
তিনি আরও জানান, ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণে এক বছর আগে মজুরি বোর্ড গঠন করা হয়। কিন্তু তারা এখনও কিছুই করেনি। সিপিডির গবেষণায় উঠে এসেছে, ট্যানারি শ্রমিকদের ৪৩ ভাগই নুন্যতম মজুরি পান না।
তবে সিপিডির প্রস্তাবে সন্তুষ্ট নন ট্যানারি শ্রমিকরা। তাদের দাবি, ন্যূনতম মজুরি হতে হবে ২৫ হাজার টাকা। কিন্তু মালিকরা বলছেন, সম্ভব নয়।
বাংলাদেশ ট্যানার্স এসোসিয়েশনের (বিটিএ) চেয়ারম্যান মো. শাহীন আহমেদ বলেন, এই প্রস্তাব অবাস্তব। এই মজুরি বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।
তিনি আরো বলেন, শিল্পের কাঁচামালের দাম বেড়েছে, উৎপাদন খরচও বেড়ে গেছে। পাশাপাশি রপ্তানি কমেছে। তাই এই মজুরি বাস্তবায়ন কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ