চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

৫৭ সিআইপি’র ১৮ জনই চট্টগ্রামের

নিজস্ব প্রতিবেদক

১ ডিসেম্বর, ২০২১ | ১:৩০ পূর্বাহ্ণ

দেশের ৫৭ সিআইপি’র (বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) মধ্যে রাউজানের ৮ জন নির্বাচিত হয়েছেন। এর মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ৪ জন এবং ওমানের ৪ প্রবাসী। এর আগে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৯ সালের জন্য ৫৭ জন অনাবাসী বাংলাদেশিকে সিআইপি নির্বাচিত করেছে সরকার। এর মধ্যে দুই জন নারীসহ ২৬ জনই সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসী। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে ৫৭ জনকে নির্বাচিত করে প্রজ্ঞাপন জারি করে।

প্রবাসীদের মধ্যে ‘বাংলাদেশে শিল্পক্ষেত্রে সরাসরি বিনিয়োগকারী অনিবাসী বাংলাদেশি’ ক্যাটাগরিতে একজন, ‘বাংলাদেশে বৈধ চ্যানেলে সর্বাধিক বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরণকারী অনাবাসী বাংলাদেশি’ ক্যাটাগরিতে ৪৭ জন ও ‘বিদেশে বাংলাদেশি পণ্যের আমদানিকারক অনাবাসী বাংলাদেশি’ ক্যাটাগরিতে ৯ জন সিআইপি হয়েছেন।

৩ ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত সিআইপিদের মধ্যে ৩৭ জন মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসী। বাকিদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ৩ জন, যুক্তরাজ্য, জাপান, ইতালি, রাশিয়া, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডের ২ জন করে এবং কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, সিংগাপুর, মালদ্বীপ ও কম্বোডিয়ার ১ জন করে প্রবাসী বাংলাদেশি রয়েছেন।

নবনির্বাচিত এই ৫৭ জন সিআইপির মধ্যে সর্বোচ্চ ১৮ জন চট্টগ্রাম জেলার সন্তান। এর মধ্যে ৮ জনই রাউজান উপজেলার।

এরা হলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের বঙ্গবন্ধু পরিষদ আল আইনের প্রধান উপদেষ্টা ও ইয়ুথ বাংলা কালচারাল ফাউন্ডেশনের প্রধান পৃষ্টপোষক শেখ ফরিদ আহম্মদ, মো. ইউনুছ মিয়া চৌধুরী, আবদুল হালিম, ও মোরশেদুল ইসলাম এবং ওমানের মোহাম্মদ ইয়াছিন চৌধুরী, মোহাম্মদ শাহজাহান মিয়া, মোহাম্মদ আশরাফুর রহমান ও পারভেজ মোহাম্মদ আমানুল্লাহ চৌধুরী। এর মধ্যে চট্টগ্রাম সমিতি, ওমানের সভাপতি মোহাম্মদ ইয়াছিন চৌধুরী মোট ৬ বার সিআইপি নির্বাচিত হলেন।

আগামী ১৮ ডিসেম্বর ঢাকায় আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসের অনুষ্ঠানে নির্বাচিত প্রবাসী সিআইপিদের সনদ প্রদান করার কথা রয়েছে।

প্রসঙ্গত, নির্বাচিত সিআইপিরা দুই বছর পর্যন্ত (প্রজ্ঞাপন জারির তারিখ ২৪ নভেম্বর থেকে) বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবেন। সিআইপি কার্ডের মেয়াদকালীন বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য প্রবেশপত্র পাবেন ও সরকার নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট বিষয়ক নীতিনির্ধারণী কমিটিতে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হবেন।

এছাড়া সিআইপিরা দেশ ও বিদেশে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে অগ্রাধিকার পাবেন। বিজয় দিবস, স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহা, একুশে ফেব্রুয়ারি, শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ইত্যাদি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবস উপলক্ষে বিদেশের বাংলাদেশ মিশনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হবেন সিআইপিরা। সিআইপি কার্ডধারীরা ব্যবসা সংক্রান্ত ভ্রমণে বিমান, রেল, সড়ক ও জলযানে আসন সংরক্ষণের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ ‘চামেলী’ ব্যবহার এবং স্পেশাল হ্যান্ডিলিংয়ের সুবিধা পাবেন।

সিআইপি ব্যক্তিদের স্ত্রী, পুত্র, কন্যা ও নিজের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালে কেবিন সুবিধার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন।

এছাড়া বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মতো সুযোগ-সুবিধা পাবেন এবং তাদের বিনিয়োগ ‘ফরেন প্রাইভেট ইনভেস্টমেন্ট (প্রমোশন অ্যান্ড প্রটেকশন) আইন, ১৯৮০’ এর বিধান অনুযারি সংরক্ষণ করা হবে বলেও আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।

বাংলাদেশে উপস্থিত থাকলে বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠানে এবং সিটি করপোরেশন আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ পাবেন সিআইপিরা।

পূর্বকোণ/মামুন/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট