চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

বাংলাদেশে হালাল সার্টিফিকেট দেবে বিএসটিআই

অনলাইন ডেস্ক

১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১ | ১১:৪৬ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশে খাদ্যপণ্য ও কসমেটিকসের হালাল সার্টিফিকেট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)।

কোনো পণ্য মান বজায় রেখে বাজারজাত করা হচ্ছে কিনা, মূলত সেটিই দেখে থাকে বিএসটিআই। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির সার্টিফিকেশন মার্কস উইংয়ের উপপরিচালক রিয়াজুল হক বলেন, দেশের বাজার এবং রপ্তানির কথা চিন্তা করে হালাল পণ্যের সার্টিফিকেটের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

বিএসটিআই বলছে, দেশের পণ্যের মান উন্নত করতে হবে, একই সঙ্গে বিদেশে পণ্য রপ্তানি করতে হবে।

রিয়াজুল হক বলেন, খাদ্যপণ্য এখন বিভিন্ন ইসলামি দেশে রপ্তানি হচ্ছে এবং ওই সব দেশে হালাল পণ্যের একটি চাহিদা থাকে। এ কথা মাথায় রেখেই তারা বিএসটিআই হালাল সনদ দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

তিনি বলেন, আমরা যেহেতু পণ্যের মান সনদ দিচ্ছি। পাশাপাশি আমরা যদি হালাল সনদ প্রণয়ন করি, তা হলে কোনো প্রতিষ্ঠান একই জায়গা থেকে দুটি সনদ পেয়ে যাবে; তাদের কাজটা অনেক সহজ হয়ে যাবে। ফলে দেশি এবং আন্তর্জাতিক উভয় বাজার সুফল পাবে। একটা পণ্য হালাল কিনা সেটি বিদেশিদের দেখার যেমন অধিকার রয়েছে আমাদেরও তেমন রয়েছে, আমরাও দেখব।

প্রাথমিকভাবে খাদ্যপণ্যের হালাল সার্টিফিকেট দেওয়ার বিষয়টিকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি কসমেটিকস পণ্যকে হালাল সনদ দেওয়া হবে। সংস্থাটি বলছে, তাদের পূর্ণাঙ্গ লোকবল, অবকাঠামো রয়েছে; অর্থাৎ কোনো সমস্যা নেই।

বিএসটিআইতে আন্তর্জাতিক মানের ল্যাবরেটরি রয়েছে। রিয়াজুল হক বলেন “আমাদের ল্যাবরেটরিগুলো এক্রিডিটেড, আমরা তাদের পণ্য পরীক্ষা করবো। এখানে যারা কাজ করবেন তারা উচ্চ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। সুতরাং আমাদের যে সনদটা দেয়া হবে সেটা অনেকটাই অথেনটিক হবে”।

“পণ্যের মানের যেমন স্ট্যার্ন্ডাড রয়েছে সেটা অনুসরণ করেই আমরা তাদের মান সনদ দিয়ে থাকি। একই রকম হালাল পণ্যেরও বাংলাদেশে কিছু মান রয়েছে। কোন প্রতিষ্ঠান যখন আমাদের কাছে আবেদন করবে তখন আমরা সেই স্ট্যান্ডার্ড অনুসরণ করে পরিদর্শন, পরীক্ষণ এবং আনুষঙ্গিক সকল কার্যক্রম সেই স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী অনুসরণ করবো। সেটা আন্তর্জাতিক স্ট্যার্ন্ডার্ডের হবে।”

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট