চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

দীপন হত্যায় মেজর জিয়াসহ আট আসামির মৃত্যুদণ্ড

অনলাইন ডেস্ক

১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ | ১২:৩৪ অপরাহ্ণ

জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ফয়সাল আরেফীন দীপন হত্যা মামলায় সৈয়দ জিয়াউল হকসহ আট আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান এ রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন—মইনুল হাসান শামীম, আ. সবুর, খাইরুল ইসলাম, আবু সিদ্দিক সোহেল, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, শেখ আব্দুল্লাহ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক এবং আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব।

আসামিদের মধ্যে মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক এবং আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব পলাতক রয়েছেন। কারাগারে থাকা সব আসামিই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।

রায় উপলক্ষে সকাল সাড়ে আটটার দিকে কাশিমপুর কারাগার থেকে গ্রেপ্তার ছয় আসামিকে আদালতে আনা হয়। এ সময় তাদের কোর্ট হাজতে রাখা হয় বলে জানান সিএমএম আদালতের হাজতের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম। বেলা সাড়ে ১১টার একটু আগে তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।  

আদালত সূত্র জানায়, রাজধানীর আজিজ সুপার মার্কেটের ৩য় তলায় ‘জাগৃতি’ প্রকাশনী অফিসে ঢুকে অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে ফয়সাল আরেফিন দীপনের ঘাড়ের পেছনে আঘাত করে হত্যা করে। 

ঘটনাটি ঘটে ২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর ৪টার মধ্যে। হত্যাকাণ্ড শেষে অফিসের অটোলক তালা লক করে পালিয়ে যায় জঙ্গিরা।

সেদিন বিকালে দীপনের স্ত্রী শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর সন্ত্রাসবিরোধী আইনে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি দক্ষিণের সহকারী পুলিশ কমিশনার ফজলুর রহমান। চার্জশিটে আটজনকে অভিযুক্ত ও ১১ জনকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়।

এর পর ২০১৯ সালের ১৩ অক্টোবর ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুজিবুর রহমান নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) সদস্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হকসহ আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

মামলায় আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) আইটি এক্সপার্ট খায়রুল ইসলাম, সদস্য মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, মাইনুল হাসান শামীম ওরফে সিফাত ওরফে সামির ওরফে ইমরান ও মো. আব্দুস সবুর ওরফে আবদুস সামাদ ওরফে সুজন ওরফে সাজু ওরফে সাদ আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। বর্তমানে তারা কারাগারে আছেন।

পূর্বকোণ/পিআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট