চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

অর্থপাচারকারী দ্বৈত নাগরিক ও দুই পাসপোর্টধারীদের তালিকা চেয়েছে হাইকোর্ট

অনলাইন ডেস্ক

২১ ডিসেম্বর, ২০২০ | ৪:৪৮ অপরাহ্ণ

বাংলাদেশে বসবাসরত যেসব নাগরিক অর্থ পাচার ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিদেশে বাড়ি নির্মাণ করেছে অথবা কিনেছে সেসব বাংলাদেশি দ্বৈত নাগরিক ও দুই পাসপোর্টধারীদের তালিকা চেয়েছে হাইকোর্ট।

আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পুলিশের বিশেষ শাখার সুপারকে (ইমিগ্রেশন) তালিকা দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

আজ সোমবার (২১ ডিসেম্বর) কানাডাসহ বিভিন্ন দেশে অর্থ পাচারকারীদের নাম, ঠিকানাসহ অর্থ পাচারের যাবতীয় তথ্য জানতে চাওয়ার ধারাবাহিকতায় বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।

এদিন দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে আদালতে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।

দুদকের আইনজীবী এদিন আদালতে দ্বৈত নাগরিক ও দুই পাসপোর্টধারীদের তালিকা চাওয়ার নির্দেশ দিতে আরজি জানান। তখন বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারক বলেন, “দ্বৈত নাগরিক ও পাসপোর্টধারী কারা, সেটা আমরাও জানতে চাই।”

উল্লেখ্য, গত ১৮ নভেম্বর ডিআরইউর মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে এসে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বাংলাদেশ থেকে কানাডায় টাকা পাচারের সত্যতা পাওয়ার কথা জানান।

প্রাথমিকভাবে অর্থপাচারে জড়িত যাদের তথ্য পাওয়া গেছে তার মধ্যে সরকারি কর্মচারীই বেশি বলে জানান তিনি।

এছাড়া রাজনীতিবিদ এবং ব্যবসায়ীও রয়েছেন বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেলেন। তবে সেদিন কারও নাম তিনি প্রকাশ করেননি।

সে বক্তব্যের বরাত দিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বাঙালি অধ্যুষিত কানাডার কথিত ‘বেগম পাড়ার’ প্রসঙ্গ উঠে আসে।

এর প্রেক্ষিতে গত ২২ নভেম্বর কানাডাসহ দেশের বাইরে অর্থ পাচারকারীদের নাম-ঠিকানাসহ যাবতীয় তথ্য চেয়ে আদেশ দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ বিষয়ে রুল জারি করেন আদালত। ওই রুলের ধারাবাহিকতায় সোমবার মামলাটি কার্যতালিকায় ওঠে। এরপর শুনানির শুরুতে দুদকের আইনজীবী আদালতের কাছে দ্বৈত নাগরিক ও দ্বৈত পাসপোর্টধারীদের তালিকা চেয়ে আদেশ প্রার্থনা করেন।

নির্দেশ অনুযায়ী গত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), দুর্নীতি দমন কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করা হয়।

এসব প্রতিবেদনের উপর শুনানির পর আদালত আবার অর্থ পাচারকারীদের নাম ঠিকানাসহ যাবতীয় তথ্য চেয়ে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী তারিখ রেখেছে। ওই সময়ের মধ্যে বিবাদীদের প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের জানান, অর্থপাচার সংক্রান্ত মামলায় মাননীয় বিচারপতি বিশেষ শাখার পুলিশ সুপারকে (ইমিগ্রেশন) পক্ষ করেছেন।

এছাড়া ঢাকা চট্ট্রগ্রাম ও সিলেট বিমানবন্দর দিয়ে যারা নির্বিঘ্নে আসা যাওয়া করে, তাদের তালিকা চেয়েছে। এই তালিকাটি ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে হাই কোর্টে দাখিল করার জন্য পুলিশের বিশেষ শাখার সুপারকে একটা নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

পূর্বকোণ/

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট