চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

পাল্টে গেছে রোহিঙ্গাদের অসহায়ত্বের চিত্র

‘করোনায় উপার্জন কমেছে ৯৬ ভাগ পরিবারের’

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৬ আগস্ট, ২০২০ | ১১:৩০ অপরাহ্ণ

করোনায়  ৯৬ ভাগ পরিবারের গড় উপার্জন কমেছে বলে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা সংস্থার (আইসিডিডিআরবি) প্রতিবেদনে দেখা গিয়েছে।আজ বুধবার গণমাধ্যমে গবেষণার ফল সরবরাহ করে আইসিডিডিআরবি। আইসিডিডিআরবি এবং ওয়াল্টার এলিজা হল ইনস্টিটিউট অস্ট্রেলিয়া যৌথভাবে গ্রামীণ মহিলা ও তাদের পরিবারের ওপর করোনার প্রভাব নিয়ে এই গবেষণাটি করেছে।

গবেষণাটির অর্থায়ন করেছে অস্ট্রেলিয়া ন্যাশনাল হেলথ অ্যান্ড মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল। এটি পরিচালিত হয়েছে দোহার্টি ইনস্টিটিউট ও মোনাস ইউনিভার্সিটি অস্ট্রেলিয়ার অংশীদারত্বে ।

গবেষণায় দেখা গেছে, কভিড-১৯ এর জন্য দেয়া ঘরে থাকার নির্দেশের (লকডাউনের) কারণে বাংলাদেশের নিম্ন আয়ের পরিবারগুলো বিশেষত মহিলারা অর্থনৈতিক দুরবস্থা, খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা,পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এবং তাদের মানসিক স্বাস্থ্য হুমকির সম্মুখীন হয়েছে।

মার্চের শেষ দিক থেকে মে পর্যন্ত প্রায় দুই মাসের ঘরে থাকার নির্দেশের কারণে বাংলাদেশের নিম্ন আর্থসামাজিক অবস্থায় থাকা পরিবারগুলোতে অর্থনৈতিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ব্যাহত হয়েছে এবং মহিলাদের ওপর স্বামী ও ঘনিষ্ঠ সঙ্গী দ্বারা নির্যাতনের মাত্রা বেড়েছে।

বিশ্বের অনেক দেশের মতোই কেভিড-১৯ প্রতিরোধকল্পে বাংলাদেশে প্রায় দুই মাস ঘরে থাকার নির্দেশ জারি করা হয়েছিল। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার রূপগঞ্জ, ভূলতা ও গোলাকান্দাইল ইউনিয়নে চলমান গবেষণা নেটওয়ার্কের আওতায় গবেষক দল ২,৪২৪ পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থা, খাদ্য নিরাপত্তা, মানসিক স্বাস্থ্য এবং পারিবারিক নির্যাতনের ওপর লকডাউনের প্রভাব দেখেছেন।

গবেষণায় দেখা গেছে, ৯৬ শতাংশ পরিবারের গড় মাসিক উপার্জন হ্রাস পেয়েছে এবং ৯১ শতাংশ নিজেদেরকে অর্থনৈতিকভাবে অস্থিতিশীল মনে করেছেন।

প্রকৃতপক্ষে, ৪৭ শতাংশ পরিবারের আয় আন্তর্জাতিক দারিদ্র্যসীমার নিচে (১৬০ টাকা অথবা ১.৯০ ইউএস ডলার/প্রতিজন/ প্রতিদিন) চলে গিয়েছিল। অধিকন্তু, পরিবারগুলোর ৭০ শতাংশ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা এবং ১৫ শতাংশ খাদ্য সংকট, অভুক্ত অবস্থায় অথবা কোনো এক বেলা আহার না করে ছিলেন ।

গবেষণা ফল অনুযায়ী, মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর লকডাউনের বিশেষ প্রভাব দেখা গেছে।

পূর্বকোণ/ আরআর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট