এয়ার এগ্রিমেন্ট অনুযায়ী চলতি বছরের অক্টোবরে কানাডার টরেন্টো ও জাপানের টোকিওতে মিনিমাম তিনটি ফ্লাইট চালু করতে যাচ্ছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। চলতি বছর আরও কয়েকটি গন্তব্যে ডানা মেলতে কাজ করছে রাষ্ট্রায়ত্ত এ উড়োজাহাজ সংস্থা।
বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোকাব্বির হোসেন বলেন, বাংলাদেশ থেকে কোনো যাত্রী নিউইয়র্ক বা আমেরিকার যেকোনো জায়গায় যেতে চাইলে টরেন্টো হয়ে যেতে পারবে। আমরা শুধু ঢাকা থেকে টরেন্টো পর্যন্ত যাত্রী পৌঁছে দেবো। তাই আমরা যাত্রীর কাছ থেকে নিউইয়র্ক বা আমেরিকার অন্য ডেস্টিনেশনের টাকা নেবো। তারপর এয়ার কানাডার চুক্তি অনুসারে টরেন্টো থেকে নিউইয়র্ক বা আমেরিকার যেকোনো ডেস্টিনেশনে নিয়ে যাওয়া হবে।
উল্লেখ্য, প্রাণঘাতী করোনা মহামারির কারণে গত ৩০ মার্চ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স আন্তর্জাতিক নিয়মিত রুটে সর্বশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করে। এরপর গত ২১ জুন থেকে ঢাকা–লন্ডন–ঢাকা রুটে পুনরায় আন্তর্জাতিক সিডিউল ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করে বিমান। এরপর আগামী ৬ ও ৭ জুলাই থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স আন্তর্জাতিক আরও দু’টি দুবাই ও আবুধাবি রুটে সিডিউল ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করবে বলে জানা যায়।
এদিকে, ঢাকা থেকে জাপানেও খুব শিগগিরই বিমানের ফ্লাইট চালু করা হবে জানিয়ে মো. মোকাব্বির বলেন, ‘এ বিষয়ে জাপান সরকারের সঙ্গে আমাদের চুক্তি রয়েছে। জাপান সরকার যখন ইন্টারন্যাশনাল রুট চালু করবে তখনই আমরা ফ্লাইট চালু করবো।’
এছাড়া, ভারত অনুমতি দিলে চেন্নাইতেও ফ্লাইট চালু করা হবে জানান তিনি। এ বিষয়ে চেন্নাইতেও জিএসএ নিয়োগ দেয়া হবে। এছাড়া চীনের গুয়াংজু ও মালদ্বীপের মালেতে ফ্লাইট চালুর কাজ চলছে বলেও জানান বিমানের এ শীর্ষ কর্মকর্তা।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মুহিবুল হক বলেন, ঢাকা–কানাডা হয়ে নিউইয়র্ক ফ্লাইট আগামী ১৫ অক্টোবরের পর থেকে শুরু করা হবে। এছাড়া জাপানেও ফ্লাইট চালু করা হবে। এ বিষয়ে প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
পূর্বকোণ/এএ