চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ১৩ মে, ২০২৫

সর্বশেষ:

আজ পঁচিশে বৈশাখ, রবীন্দ্রনাথের ১৬৪তম জন্মবার্ষিকী
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

আজ পঁচিশে বৈশাখ, রবীন্দ্রনাথের ১৬৪তম জন্মবার্ষিকী

পূর্বকোণ ডেস্ক

৮ মে, ২০২৫ | ১১:৩৪ পূর্বাহ্ণ

আজ পঁচিশে বৈশাখ। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অন্যতম দিকপাল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪তম জন্মবার্ষিকী। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জন্মগ্রহণ করেন ৭ মে ১৮৬১, ২৫ বৈশাখ ১২৬৮ বঙ্গাব্দ। তিনি ছিলেন কবি, ঔপন্যাসিক, সংগীতস্রষ্টা, নাট্যকার, চিত্রকর, ছোটগল্পকার, প্রাবন্ধিক ও দার্শনিক। রবীন্দ্রনাথকে ‘গুরুদেব’, ‘কবিগুরু’ ও ‘বিশ্বকবি’ অভিধায় ভূষিত করা হয়।

 

রবীন্দ্রনাথের ৫২টি কাব্যগ্রন্থ, ৩৮টি নাটক, ১৩টি উপন্যাস, ৩৬টি প্রবন্ধ, অন্যান্য গদ্যসংকলন তাঁর জীবদ্দশায় এবং মৃত্যুর পরে প্রকাশিত হয়। তাঁর গল্পগুচ্ছে সর্বমোট ৯৫টি ছোটগল্প এবং ১৯১৫টি গান গীতবিতানে অন্তর্ভুক্ত। রবীন্দ্রনাথের যাবতীয় প্রকাশিত ও গ্রন্থাকারে অপ্রকাশিত রচনা ৩২ খণ্ডে রবীন্দ্র রচনাবলী নামে প্রকাশিত হয়েছে। ১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদের জন্য সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।

 

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কলকাতার এক ধনাঢ্য ও সংস্কৃতিবান ব্রাহ্ম পিরালি ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বাল্যকালে প্রথাগত বিদ্যালয়ে শিক্ষাগ্রহণ করেননি, গৃহশিক্ষক রেখে বাড়িতে তাঁর শিক্ষাব্যবস্থা করা হয়েছিল। ১৮৭৪ সালে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা’য় তাঁর ‘অভিলাষ’ কবিতাটি প্রকাশিত হয়। এটিই ছিল তাঁর প্রথম প্রকাশিত রচনা। ১৯০৫ সালে তিনি বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। ১৯১৫ সালে ব্রিটিশ সরকার তাকে ‘নাইট’ উপাধিতে ভূষিত করেন। ১৯১৯ সালে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে তিনি সেই উপাধি বর্জন করেন। তিনি দীর্ঘ রোগভোগের পর ৭ আগস্ট ১৯৪১, ২২ শ্রাবণ ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ কলকাতার পৈত্রিক বাসভবনে মৃত্যুবরণ করেন।

 

রবীন্দ্রসাহিত্যের গতি-প্রকৃতি : রবীন্দ্রনাথের কাব্যসাহিত্যের বৈশিষ্ট্য ভাবগভীরতা, গীতিধর্মিতা, চিত্ররূপময়তা, অধ্যাত্মচেতনা, ঐতিহ্যপ্রীতি, প্রকৃতিপ্রেম, মানবপ্রেম, স্বদেশপ্রেম, বিশ্বপ্রেম, রোমান্টিক সৌন্দর্যচেতনা, ভাব, ভাষা, ছন্দ ও আঙ্গিকের বৈচিত্র্য, বাস্তবচেতনা ও প্রগতিচেতনা। রবীন্দ্রনাথের গদ্যভাষাও কাব্যিক। ভারতের ধ্রুপদী ও লৌকিক সংস্কৃতি এবং পাশ্চাত্য বিজ্ঞানচেতনা ও শিল্পদর্শন তাঁর রচনায় গভীর প্রভাব বিস্তার করেছিল। কথাসাহিত্য ও প্রবন্ধের মাধ্যমে তিনি সমাজ, রাজনীতি ও রাষ্ট্রনীতি সম্পর্কে নিজ মতামত প্রকাশ করেছিলেন।

 

সমাজকল্যাণের উপায় হিসেবে তিনি গ্রামোন্নয়ন ও গ্রামের দরিদ্র মানুষকে শিক্ষিত করে তোলার পক্ষে মতপ্রকাশ করেন। এর পাশাপাশি সামাজিক ভেদাভেদ, অস্পৃশ্যতা, ধর্মীয় গোঁড়ামি ও ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধেও তিনি তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। রবীন্দ্রনাথের দর্শনচেতনায় ঈশ্বরের মূল হিসেবে মানব সংসারকেই নির্দিষ্ট করা হয়েছে। রবীন্দ্রনাথের গান তাঁর অন্যতম শ্রেষ্ঠ কীর্তি।

 

পূর্বকোণ/ইবনুর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট