আজ ৮ সেপ্টেম্বর বিশ ফিজিওথেরাপি দিবস। বিশের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালন করা হয়। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য বিষয় হল- ‘ব্যাক পেইন চিকিৎসায় ফিজিথেরাপির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা’।
ফিজিওথেরাপির সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্টরা জানান, স্টোক পরবর্তী প্যারালাইসিস, ফ্রেকচার পরবর্তী জটিলতা, স্পাইনাল কর্ড ইনজুরি, ফেসিয়াল প্যারালাইসিস, ব্যাক ও নেক পেইন, ফ্রোজেন শোল্ডার, স্পোর্টস ইনজুরি, শিশুদের জন্মগত ত্রুটি যেমন সিইটিভি, আর্বস পালসি এবং পিএলআইডির মতো জটিল রোগের প্রায় ৯৫ ভাগ সুস্থতা ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার মাধ্যমে সম্ভব হয়।
চমেক হাসপাতালের ফিজিক্যাল মেডিসিন এন্ড রিহাবিলিটেশন বিভাগের চিফ ফিজিওথেরাপিস্ট মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, চিকিৎসা বিজ্ঞানের প্রায় প্রতিটি শাখায় ফিজিওথেরাপি গুরুত্বপূর্ণ। দক্ষ ফিজিওথেরাপিস্ট পারেন সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে। কেননা একজন ফিজিওথেরাপিস্টকে মাল্টিডিসিপ্লিনারি টিমের সঙ্গে টিম মেম্বার হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে হয়। অর্থোপেডিক্স, নিউরো মেডিসিন, মেডিসিন, ফিজিক্যাল মেডিসিন, নিউরো সার্জারি, অর্থো-সার্জারি, বার্ন ইউনিট, আইসিইউ এবং কার্ডিয়াক সার্জারির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে ফিজিওথেরাপি ও পুনর্বাসনের মাধ্যমে রোগীকে সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে আনতে একজন ফিজিওথেরাপিস্টের পেশাগত যোগ্যতা ও দক্ষতার বিকল্প নেই। এ সংক্রান্ত চিকিৎসা নেওয়ার পূর্বে ফিজিথেরাপিস্ট ও থেরাপি সেন্টারের গুণগত মান সম্পর্কে যাচাই করে নিতে হবে।
দিবসটি উপলক্ষে চট্টগ্রামে র্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ সরকারি চাকরিজীবী ফিজিওথেরাপি এসোসিয়েশন (বিজিইপিএ) ও বাংলাদেশ ফিজিওথেরাপি এসোসিয়েশন (বিপিএ) কর্তৃক সচেতনতা বাড়াতে লিফলেট বিতরণ করা হবে।
পূর্বকোণ/মাহমুদ