চট্টগ্রাম রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

গোড়ালির ত্বক ফাটলে যা করবেন

অনলাইন ডেস্ক

১৯ ডিসেম্বর, ২০২৩ | ৮:৫২ অপরাহ্ণ

শীতকালে নারী-পুরুষ উভয়ের মধ্যেই পা ফাটা সমস্যাটি দেখা দেয়। তবে বিভিন্ন কারণে নারীরাই বেশি ভোগেন। শীতের সময় বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই পুরুষরা জুতা-মোজা পরে বেরোন, নারীরা তা করেন না। তাই শীতকালে নারীদের ক্ষেত্রে পা ফাটার সমস্যাটা বেশি দেখা দেওয়ার কারণ হিসেবে এটি বিবেচ্য হতে পারে।

 

লক্ষণ: বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পায়ের গোড়ালির অংশেই ফাটল ধরে বেশি। সেখানকার ত্বক স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশি মোটা হয়ে যায়। এই মোটা চামড়ার মাঝখানে গভীর ফাটল তৈরি হয়। কারো কারো ক্ষেত্রে পায়ের গোড়ালির ত্বক বেশি মোটা না হয়েও তা ফেটে যেতে পারে।
সে ক্ষেত্রে এ রকম ফাটা পা নিয়ে চলাফেরা করলে সেখান থেকে মৃদু রক্তপাত পতে পারে।

 

পা ফাটা রোধে করণীয়: পা দুটিই বোধ করি আমাদের শরীরের সবচেয়ে অবহেলিত অঙ্গ। তবে এ সময় পায়ের প্রতি বিশেষভাবে মনোযোগী হতে হবে। সঠিকভাবে পা দুটি পরিষ্কার রাখা উচিত। অনেকে ঘরের মেঝেতে খালি পায়ে চলাফেরা করেন শীতকালে। এ কাজটি করা উচিত নয়, অবশ্যই স্যান্ডেল পরা দরকার। প্রয়োজনে পায়ে মোজা পরে থাকলেও তা পায়ের উপযুক্ত সুরক্ষা দেবে। বাইরে যেতে হলেও শুষ্ক আবহাওয়া ও ধুলাবালি থেকে পা দুটিকে রক্ষার জন্য মোজা পরা অত্যাবশ্যক, বিশেষ করে বয়স্কদের জন্য এই নির্দেশগুলো বেশি প্রযোজ্য।

 

চিকিৎসা: পায়ের চামড়া বেশি পুরু হয়ে গেলে ঘন ঘন পায়ের গোড়ালি ভালোভাবে মেজে ঘষে ত্বকের স্বাভাবিক পুরুত্ব বজায় রাখতে হবে এবং পা দুটি ভালোভাবে মুছে সেখানে উপযুক্ত ক্রিম লাগাতে হবে। শীতের শুষ্ক আবহাওয়ায় ত্বকের আর্দ্রতা রক্ষায় সবচেয়ে উপযোগী উপাদানটি হলো ইউরিয়া, এটা ১০ শতাংশ থেকে শুরু করে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত যেকোনো পরিমাপে ক্রিম হিসেবে বাজারে পাওয়া যায়। ইউরিয়ার সঙ্গে ল্যানোলিন ও গ্লিসারিন জাতীয় উপাদান যুক্ত থাকলে তা শুধু ইউরিয়া ক্রিমের চেয়ে নিঃসন্দেহে বেশি কার্যকরী। প্রতি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে পায়ের গোড়ালিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে এই প্রলেপটি ব্যবহার করলে পায়ের ফাটা অচিরেই সুস্থ ত্বকে পরিবর্তিত হবে। হাতের কাছে এ ধরনের ক্রিম বা প্রলেপ না থাকলে অনেক সময় শুধু পেট্রোলিয়াম জেলি বা সাদা প্লেইন ভ্যাসলিন লাগালেও ভালো ফল পাওয়া যাবে।

 

যে বিষয়ে সতর্ক হবেন: পায়ের আরেক ধরনের ফাটা আছে, সেটা পুরো পায়ের তলাতেই ছড়ানো অবস্থায় থাকে। এটি একজিমা জাতীয় চর্মরোগ। সাধারণ পা ফাটা থেকে ভিন্ন হলেও অনেকে রোগটিকে পা ফাটা বলে মনে করতে পারেন। যদি একজিমা জাতীয় চর্মরোগের কারণে পায়ের ত্বক ফেটে যায়, তাহলে সাধারণ ক্রিম ব্যবহারে এ সমস্যার বিশেষ উন্নতি না-ও হতে পারে। সে ক্ষেত্রে চর্ম চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়াই হবে সর্বোত্তম কাজ।

 

পরামর্শ দিয়েছেন: ডা. যাকিয়া মাহফুজা যাকারিয়া, সিনিয়র কনসালট্যান্ট, ডার্মাটোলজি, উত্তরা স্কিন কেয়ার অ্যান্ড লেজার, ঢাকা।

 

 

পূর্বকোণ/সাফা/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট