চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪

রাস্তার শরবত খেলে রোগ হতে পারে

অনলাইন ডেস্ক

৭ জুন, ২০২৩ | ১২:৪০ পূর্বাহ্ণ

তীব্র গরমের সময় পানিস্বল্পতা, ডায়রিয়া ও হজমে সমস্যা দেখা দেয়। তাই সুস্থ থাকতে রাস্তার পাশের পানি, পানীয় ও শরবত নির্বাচনের সময় প্রথমেই তা কতটা স্বাস্থ্যসম্মত, তা নিশ্চিত হতে হবে।

রোগাক্রান্ত করতে পারে রাস্তার পাশের পানীয়: রাস্তার পাশে তৈরি নানা ধরনের শরবত, পানীয়, পানি, জুস ইত্যাদি অস্বাস্থ্যকর খাবার থেকে নিজেকে দূরে রাখুন। ফুটপাত ও রাস্তার পাশে বানানো শরবত, আখের রস, ঔষধি শরবত, ট্যাং, লেবুপানি, স্যালাইনপানি ইত্যাদি গরম থেকে সাময়িক প্রশান্তি দিলেও এই শরবত ও পানীয় পান করে পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা কিন্তু নেহাত কম নয়।

সাধারণ ওয়াসার পানি, ওয়াসার পানির তৈরি বরফ (মাছের জন্য তৈরি বরফ), ভেজাল ও কালার দেওয়া ট্যাং, লেবু, নানা ফল, অ্যালোভেরার নির্যাস, অর্জুন, বহেড়া, হরীতকী, নানা জিনিসের সঙ্গে স্যাকারিন মিশিয়ে একসঙ্গে বা আলাদাভাবে তৈরি হওয়া এই শরবতগুলো যেমন ছড়ায় পানিবাহিত রোগ, অন্যদিকে শরীরে ছড়াচ্ছে নানা সংক্রমিত রোগ। যেমন—হেপাটাইটিস তার মধ্যে অন্যতম। লিভার ভালো রাখতে রাস্তার পাশে চিপড়ানো আখের রস খেয়ে আরো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আপনারই লিভার ও রক্ত।

শরীরের জন্য যা ভালো: তীব্র দাবদাহে সাময়িক প্রশান্তি পেতে ঘরেই বানিয়ে নিতে পারেন বরফ শীতল লেবুপানি, লেবুর শরবত, ডাবের পানি, বেলের শরবত, তরমুজের জুস, বাঙ্গির জুস, পেঁপে বা কাঁচা আমের শরবত, পাকা আমের জুস, পুদিনা-লেবুর মিন্টলেমনেড, লাচ্ছি, আখের গুড়ের শরবত ও দই-চিড়ার শরবত।

এগুলো গরমে আপনাকে প্রশান্তি তো দেবেই, পাশাপাশি শরীরে পানির ভারসাম্য ঠিক রেখে ডিহাইড্রেশন ও ইলেকট্রোলাইট ইমব্যালান্স থেকে আপনাকে রক্ষাও করবে। তবে পাতলা ক্রিস্টাল ক্লিয়ার জুসের চেয়ে খোসা বা ফাইবারসহ স্মুদি খেলে বেশি উপকার পাবে আপনার শরীর। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে বাওয়েল মুভমেন্ট ঠিক রাখতে সহায়তা করে পানি। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, মাথা ব্যথা দূর করে, ডায়রিয়া ও পেটের অসুখ হওয়ার প্রবণতা কমায়।

পানি শরীরের রক্ত পরিষ্কার রাখে ও ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়। ইউরিন ইনফেকশন রোধে পানি ও লেবুর পানির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর কিডনিকে সুস্থ-সবল রাখতে পানির ভূমিকার কথা বলাই বাহুল্য। গরমে প্রশান্তির জন্য আপনার পানীয় নির্বাচনে সাবধান হোন। অতিরিক্ত গরমে হিটস্ট্রোক হওয়ার আশঙ্কা থাকে বলে ছায়াময় ও বাতাস চলাচল করে এমন জায়গায় কাজ করার চেষ্টা করুন। সারা দিনে ১২ থেকে ১৩ গ্লাস পানি পান করুন, সুস্থ থাকুন।

পরামর্শ দিয়েছেন: শায়লা শারমিন, সিনিয়র নিউট্রিশনিস্ট, ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হসপিটাল, শাহবাগ, ঢাকা।

 

পূর্বকোণ/সাফা/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট