চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১০ মে, ২০২৪

সর্বশেষ:

কান্না যে কারণে উপকারী

অনলাইন ডেস্ক

২৩ ডিসেম্বর, ২০২২ | ৮:৪৭ অপরাহ্ণ

হাসি, কান্না সবই একেকটি অনুভূতির প্রকাশ। আনন্দ হলে আমরা হাসি। দুঃখ পেলে কাঁদি। অনেক্ষেত্রেই আনন্দেও বহু মানুষ কেঁদে ফেলেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আবেগের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে নানা সময় আমরা কাঁদি। কিন্তু এই কান্নাই আমাদের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যে নানারকম প্রভাব ফেলে। কাঁদলে স্বাস্থ্যের উপর কিছু ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। যেমন-

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কাঁদলে শরীর থেকে অনেক দূষিত পদার্থ বের হয়ে যায়। চোখে যে ধুলা, ধোঁয়া, নোংরা হাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রবেশ করে, কাঁদলে তা চোখের পানির সঙ্গে বেরিয়ে চোখ পরিস্কার হয়ে যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চোখের পানিতে ৯৮ শতাংশ পানি থাকে, বাকি অংশ থাকে স্ট্রেস হরমোন এবং টক্সিন। গবেষকরা বিভিন্ন পরীক্ষা করে দেখেছেন, চোখের পানির মাধ্যমে শরীর থেকে বেশ কিছু টক্সিন নির্গত হয়ে যায়।

 

মনোবিশেষজ্ঞরা বলছেন, কাঁদলে মন অনেকটা হালকা হয়ে যায়। মেজাজেরও পরিবর্তন ঘটে। অনেক ক্ষেত্রেই কান্নার পর বহু মানুষ নতুন করে কাজের উদ্যম খুঁজে পান।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কাঁদলে চোখ শুষ্ক হয়ে যাওয়ার সমস্যাও প্রতিরোধ করা যায়। অনেকেরই ড্রাই আই বা চোখের গ্রন্থি শুষ্ক হয়ে যাওয়ার সমস্যা থাকে। কাঁদলে এই সমস্যা প্রতিরোধ করা যায়। বিভিন্ন গবেষকদের মতে, যারা অতিরিক্ত ওজন কমানোর জন্য নিয়মিত শরীরচর্চা করছেন কিংবা ডায়েট মেনে চলছেন, তাদের জন্য কান্না খুবই উপকারী। কাঁদলে শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমে যায়। তাদের মতে, কান্নার সময় শরীর থেকে ক্যালোরি নির্গত হয়। আর এই ক্যালোরি নির্গত হলেই অতিরিক্ত ওজন কমানো সম্ভব।

 

বিশেষজ্ঞদের মতে, মানসিক স্বাস্থ্যও উন্নত হয় কান্নার মাধ্যমে। কোনও বিষয়ে দুঃখ পেলে আবেগবশত বহু মানুষ কেঁদে ফেলেন। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, কাঁদলে দুঃখ অনেকটা কমে যায়। এ কারণে মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য কান্না খুবই উপকারী।

 

পূর্বকোণ/সাফা/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট