চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

ছেলে-মেয়েরা সারাক্ষণ ফোনে ডুবে থাকে, চিন্তার কোন কারণ নেই

পূর্বকোণ ডেস্ক

২৯ ডিসেম্বর, ২০২০ | ২:৪২ অপরাহ্ণ

করোনা আর দীর্ঘ লকডাউনে জীবনযাত্রার ধরনই বদলে গেছে। আর এই পরিস্থিতির শিকার ঘরের ছোটো সদস্যরাও। এই পুরো বছরটাই প্রায় ভার্চুয়াল ক্লাস আর ইনডোর গেমে কেটে গেল তাদের। আর এই সূত্রে টেক-গেজেটসগুলির সঙ্গেও তাদের সখ্যতা বেড়েছে। মোবাইল, ভিডিও গেম বা ল্যাপটপ-ডেস্কটপের স্ক্রিনেই অধিকাংশ সময় কাটছে তাদের। যা নিয়ে রীতিমতো চিন্তায় বাবা-মায়েরা। তবে এই পরিস্থিতি সহজে বদলে যাবে বলে বলছে এক সমীক্ষা।

ছেলে-মেয়েরা যদি একটু বেশি সময় ফোন বা কম্পিউটারে কাটায়, তা নিয়ে বেশি ভেবে লাভ নেই। কারণ ছেলে-মেয়েদের এই আকর্ষণ দীর্ঘস্থায়ী নয়। সময়ের সঙ্গে এটিও বদলে যাবে। সামগ্রিক পরিস্থিতিকে খুবই সহজভাবে সামালানো যাবে। সম্প্রতি এমনই জানাচ্ছে এক সমীক্ষা।

মহামারির সময় তথ্য সংগ্রহ করার পর দেখা যায়, নানা ধরনের টেক গেজেটের ব্যবহার বেড়েছে । বেড়েছে ব্যবহার কারীর সংখ্যাও। স্কুল, কলেজ, টিউশন, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা সব বন্ধ হওয়ার জেরে আপাতত ভার্চুয়াল দুনিয়াতেই বাড়ির ছেলে-মেয়েদের গোটা একটা বছর কেটেছে। এক্ষেত্রে অনেকেই ছেলে-মেয়েদের জন্য একটা টাইম লিমিট বেঁধে দেন। অনেকে খুব বকাবকি করেন। ফোন কেড়ে নেন। কিন্তু প্যানডেমিকে শিশু থেকে শুরু করে যুবকদের এই টেক অ্যাডিকশনের মধ্যেও একটা আশার আলো দেখাচ্ছে এই সমীক্ষা। গবেষকদের দাবি, বাবা-মায়েরা যতটা চিন্তায় রয়েছেন বা যতটা গভীরে ভাবছেন, ততটাও খারাপ প্রভাব পড়েনি তাদের ছেলে-মেয়েদের উপর। অধিকাংশক্ষেত্রেই এই ভয় ভিত্তিহীন।

সমীক্ষার সঙ্গে যুক্ত গবেষকদের কথায়, কমিক বুক, সাইলেন্ট মুভি থেকে শুরু করে রেডিও টিভি কিংবা এই স্মার্ট ফোন। প্রযুক্তির উদ্ভাবন আর ক্রমবিকাশ প্রতিবারই পুরোনো প্রজন্মের মধ্যে একটা ভীতির সঞ্চার করেছে, যা বাস্তবে ততটাও গুরুতর নয়। প্রতিবারই সবাই মনে করেছে, একটি নির্দিষ্ট টেক ডিভাইজের প্রতি সবাই আকৃষ্ট হচ্ছে। এর জেরে যুবকরা শেষ হয়ে যাবে বা ভুল পথে চলে যাবে। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে সব বদলে গেছে।

 

পূর্বকোণ/পি-মামুন

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট