চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

ফুলকপির অসাধারণ পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা

অনলাইন ডেস্ক

১৫ ডিসেম্বর, ২০২০ | ২:৫৯ অপরাহ্ণ

ফুলকপি শীতকালীন সবজিগুলোর মধ্যে অন্যতম। এটি খুবই পুষ্টিকর একটি সবজি; যা রান্না কিংবা কাঁচা যে কোন প্রকারে খাওয়া যায়।

শীতকালীন এ সবজি আমাদের দেশে প্রায় সকল অঞ্চলে উৎপাদন হয়। আর শীতের আগমনিতে চারপাশে ফুলকপির সমাহার দেখা যায়।ফুলকপিতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এ, সি ও ক্যালসিয়াম, মিনারেল, এন্টিঅক্সিডেন্ট এবং অন্যান্য ফাইটোকেমিক্যালও ।ফুলকপিতে প্রায় ৮৫% পানি, অল্প পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট ও প্রোটিন থাকে। আমাদের শরীরের নানা রোগ প্রতিরোধক হিসেবে দারুণ কাজ করে এ সবজি। ফুলকপির পুষ্টি উপাদানের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন, খনিজ উপাদান ও এন্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।এতে বুঝা যায় ফুলকপির উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ ব্যাপক।

১. ক্যান্সার প্রতিরোধ করে: মূত্রথলি ও নারীদের প্রোস্টেট, স্তন ও ডিম্বাশয় ক্যান্সার প্রতিরোধে ফুলকপির ভূমিকা অপরিসীম। এতে সালফোরাফেন নামে এমন এক উপাদান রয়েছে, যা ক্যান্সার প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এই উপাদানটি ক্যান্সারের স্টেম সেল ধ্বংস করে এবং বিভিন্ন ধরনের টিউমারের বৃদ্ধি প্রতিহত করে।

২.রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে: শীতের সুস্বাদু সবজি ফুলকপির আরো একটি অন্যতম গুণের মধ্যে একটি হল রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা। যারা ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্যায় ভুগে থাকেন, তারা নিয়মিত ফুলকপি খাওয়ার চেস্টা করুন। এক সময় দেখবেন ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে।

৩. মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখে: ফুলকপিতে আছে কলিন (এটি ভিটামিন বি কমপ্লেক্স সমৃদ্ধ এক ধরনের পানিজাতীয় পুষ্টি উপাদান) ও ভিটামিন-বি, যা মস্তিষ্কের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কলিন মস্তিষ্কের কগনিটিভ প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে থাকে।অর্থাৎ এতে স্মৃতিশক্তি বাড়াতে ও দ্রুত শিখতে সাহায্য করে। তাছাড়া বয়সের কারণে স্মৃতিবিভ্রমের সম্ভাবনা এবং শৈশবে টক্সিনের প্রভাবে মস্তিষ্ক দুর্বলতা কমায়।

৪.খনিজ ও ভিটামিনের অন্যতম উৎস: ফুলকপিতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, প্রোটিন, থায়ামিন, নিয়াসিন, রিবোফ্লাভিন,ম্যাগনেশিয়াম, ফাইবার ভিটামিন বি৬, ফলেট, ফসফরাস, পটাশিয়াম ও ম্যাঙ্গানিজ। যা কিনা মানবশরীরের পুষ্টি ঘাটতি পূরণ করতে সক্ষম। এই সব উপাদান থাকায় বুঝা যায় ফুলকপির পুষ্টি উপাদান অতুলনীয়।

৫. দহন প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে: ফুলকপিতে ‘অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি নিউট্রিয়েন্টস’ নামে এমন এক উপাদান রয়েছে; যা শরীরের দহন প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই কমে যায়।

৬. চোখের যত্নে: চোখের যত্নে ফুলকপি খুবই ভালো কাজ করে। কারণ ফুলকপিতে ভিটামিন এ বিদ্যমান যা চোখের সঠিক দেখভাল করার জন্য যথেষ্ট। তাই আমাদের অমূল্যবান চোখকে সুস্থ আর সুন্দর রাখতে ফুলকপি বেশি বেশি করে খাওয়া উচিত।

৭. বাড়তি ওজন কমাতে: ফুলকপি আমাদের শরীরের বাড়তি মেদ কমিয়ে শরীরকে একটি সুন্দর গঠনে আনতে সাহায্য করে। যারা তাদের শরীরের বাড়তি ওজন নিয়ে খুব চিন্তিত ও ডায়েট করার কথা নিয়মিত ভাবছেন তারা নির্দ্বিধায় ডায়েট লিস্টে ফুলকপির নাম অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট