চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

নিয়ন্ত্রণে রাখুন কোলেস্টেরল

২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২০ | ৬:০১ পূর্বাহ্ণ

আপনি যদি পাঁচ বছর আগে রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা দেখে থাকেন এবং তার পরিমাণ স্বাভাবিক ছিল বলে আনন্দিত হন; তাহলে কিন্তু ভুল হবে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। চিকিৎসকরা বলেন, যাদের বয়স বিশ বছর কিংবা তার চেয়ে বেশি, তাদের রক্ত প্রতি পাঁচ বছরে অন্তত একবার পরীক্ষা করে দেখা উচিত।
কাক্সিক্ষত মাত্রা ঠিক করুন : আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে আপনার শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কত এবং আপনি কতটুকু কমাতে চান। এটা অনেক উপাদানের ওপর নির্ভর করে; যেমন-পরিবারের বাবা-মায়ের হৃদরোগের ইতিহাস আছে কি-না এবং আপনার হৃদরোগ হওয়ার মতো ঝুঁকি রয়েছে কি-না; যেমন- উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, ধূমপানের অভ্যাস, অতিরিক্ত মেদ-ভুঁড়ি ইত্যাদি। যাদের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি তাদের কম ঘনত্বের কোলেস্টেরল বা ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা ৭০ মিলিগ্রাম/ডেসিলিটারের নিচে থাকা উচিত। আর যাদের হৃদরোগের কোনো ঝুঁকি উপাদান নেই, তাদের ১৬০ মিলিগ্রাম/ ডেসিলিটারের নিচে রাখা যেতে পারে।
প্রয়োজনে ওষুধ সেবন করতে হবে : যাদের কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি তাদের অবশ্যই জীবনাচরণ পদ্ধতি পরিবর্তন করতে হবে। কিন্তু যদি হৃদরোগের নমুনা থাকে তা হলে কোলেস্টেরল কমানোর ওষুধ সেবন করতে হবে। হাঁটুন এবং ব্যায়াম করুন : শারীরিক পরিশ্রম এবং ব্যায়াম শুধু রক্তের ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমায় তাই নয়, উপকারী কোলেস্টেরলের (বেশি ঘনত্বের লিপোপ্রোটিন কোলেস্টেরল) পরিমাণ ১০ শতাংশ বাড়ায়। মাঝারি পরিমাণ ব্যায়াম কিংবা জোরে জোরে হাঁটলেও এমন উপকার পাওয়া যায়।
চর্বি জাতীয় খাবার পরিহার করুন : কোলেস্টেরল কমানোর একটি সহজ উপায় হচ্ছে ডিমের কুসুম এবং অন্যান্য বেশি কোলেস্টেরলযুক্ত খাবার পরিহার করা। যেসব খাবারে সম্পৃক্ত চর্বির পরিমাণ বেশি সে সব খাবারই রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়। এজন্য সম্পৃক্ত চর্বিযুক্ত খাবার যেমন- মাখন, গরু ও খাসির চর্বিযুক্ত মাংস ইত্যাদির পরিবর্তে অসম্পৃক্ত চর্বিযুক্ত খাবার যেমন- সয়াবিন তেল, সূর্যমুখী তেল, জলপাইয়ের তেল, সামুদ্রিক মাছ ইত্যাদি বেশি খাওয়া উচিত।
আঁশযুক্ত খাবার বেশি করে খান : যে কোনো ধরনের সবজি এবং ফলমূল শরীরের জন্য উপকারী। এগুলো রক্তে কোলেস্টেরলও কমায়। বিশেষত দ্রবণীয় আঁশ পরিপাক নালি থেকে স্পঞ্জের মতো কোলেস্টেরল শুষে নেয়।
বেশি করে মাছ খান : মাছ ও মাছের তেল কোলেস্টেরল কমাতে পারে। এর ভেতর ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। এটা খুব সহজে রক্ত থেকে কোলেস্টেরল এবং অন্যান্য ক্ষতিকর চর্বি কমিয়ে ফেলে। প্রত্যেকেরই সপ্তাহে অন্তত দুই থেকে তিনবার মাছ খাওয়া উচিত। অধিকাংশ মাছেই ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। বিভিন্ন উদ্ভিদজাত খাবারেও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায়। যেমন- সয়াবিন তেল, কাঠ বাদামের তেল ইত্যাদি।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট