চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ০৭ নভেম্বর, ২০২৪

ফলাফল প্রত্যাখ্যান প্রতিদ্বন্দ্বী মাকসুদ-মাসুদ প্যানেলের

যুক্তরাষ্ট্রে চট্টগ্রাম সমিতির সভাপতি তাহের, সম্পাদক আরিফ

অনলাইন ডেস্ক

২৮ অক্টোবর, ২০২৪ | ৪:১৬ অপরাহ্ণ

নিউইয়র্কে চট্টগ্রাম এসোসিয়েশন অব নর্থ আমেরিকা ইনকের (চট্টগ্রাম সমিতি) দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন-২০২৪ এর চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) নির্বাচন কমিশন সর্বসম্মতভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করে। তবে এই ফল প্রত্যাখ্যান করেছে প্রতিদ্বন্দ্বী মাকসুদ-মাসুদ প্যানেল।

 

চূড়ান্ত ফলাফলে দেখা যায়, ২ ভোট বেশি পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন তাহের-আরিফ প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী মোহাম্মদ আবু তাহের। এছাড়া সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী একই প্যানেলের মো. আরিফুল ইসলাম ২৯ ভোট বেশি পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।

 

সভাপতি প্রার্থী মোহাম্মদ আবু তাহের পেয়েছেন ১০৩০ ভোট, তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মাকসুদ-মাসুদ প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী মাকসুদুল হক চৌধুরী পেয়েছেন ১০২৮ ভোট। সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মো. আরিফুল ইসলাম পেয়েছেন ৯৬২ ভোট, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মোহাম্মদ মাসুদ এইচ সিরাজী পেয়েছেন ৯৩৩ ভোট।

 

সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে মাকসুদ-মাসুদ পরিষদের মোহাম্মদ মুক্তাদির বিল্লাহ ১১০৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। সহ-সভাপতি পদে মাকসুদ-মাসুদ প্যানেলের আলী আকবর বাপ্পী ১০৬৮ ভোট, মোহাম্মদ আইয়ুব আনছারী ১০২৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।

 

যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদে মাকসুদ-মাসুদ প্যানেলের ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া ১০৬৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে মাকসুদ-মাসুদ প্যানেলের মো. হারুন মিয়া ১০৩৪  ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। কোষাধ্যক্ষ পদে তাহের-আরিফ প্যানেলের মো. শফিকুল আলম ১০১৪ ভোট বেশি পেয়ে নির্বাহিত হয়েছেন। সহকারী কোষাধ্যক্ষ পদে তাহের-আরিফ প্যানেলের মোহাম্মদ নুরুল আমিন বিজয়ী হয়েছেন, তিনি পেয়েছেন ১০৩১ ভোট।

 

সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মাকসুদ-মাসুদ পরিষদের মোহাম্মদ ফরহাদ বিজয়ী হয়েছেন, তার প্রাপ্ত ভোট ১০৩২। দপ্তর সম্পাদক পদে নির্বাচিত তাহের-আরিফ প্যানেলের অজয় প্রসাদ তালুকদারের প্রাপ্ত ভোট ১০০৪। সহকারী দপ্তর সম্পাদক পদে তাহের-আরিফ প্যানেলের ইমরুল কায়সা ১০২২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে ১০২১ ভোট পেয়ে তাহের-আরিফ প্যানেলের এনামুল হক চৌধুরী নির্বাচিত হয়েছেন।

 

প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে তাহের-আরিফ প্যানেলের মোহাম্মদ জাবের শফি নির্বাচিত হয়েছেন, তিনি পেয়েছেন ১০২২ ভোট। সমাজকল্যাণ সম্পাদক পদে মাকসুদ-মাসুদ প্যানেলের আকতার উল আজম নির্বাচিত হয়েছেন, তার প্রাপ্ত ভোট ১০৩৪। ক্রীড়া সম্পাদক পদে তাহের-আরিফ প্যানেলের মোহাম্মদ বিজয়ী হয়েছেন, তার প্রাপ্ত ভোট ১০১৩।

 

কার্যকরী সদস্য পদে মাকসুদ-মাসুদ প্যানেলের তিনজন নির্বাচিত হয়েছেন। তারা হলেন- মোহাম্মদ শওকত আলী (১০৪৮ ভোট), মোহাম্মদ শাহ আলম (১০২১ ভোট), নুরুস সোফা (১০১৯ ভোট)। এছাড়া তাহের-আরিফ প্যানেলে তিনজন কার্যকরী সদস্য মোহাম্মদ নাসির চৌধুরী পেয়েছেন ৯৯৬ ভোট, পল্লব রায় পেয়েছেন ৯৬৫ ভোট এবং মোহাম্মদ মহিম উদ্দিন পেয়েছেন ৯৬০ ভোট।

 

এর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ইঞ্জিনিয়ার শেখ মোহাম্মদ খালেদ, নির্বাচন কমিশনার বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন প্রকাশ মোহাম্মদ হোসেন, ব্যবসায়ী মোহাম্মদ সেলিম প্রকাশ হারুন, সাংবাদিক শাহাব উদ্দিন সাগর, ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আবদুল হান্নান চৌধুরী বৈঠক করেন। ইলেকশন সার্ভিসেস ইউনাইটেডের কাছ থেকে চ্যালেঞ্জ ভোট গণনাসহ চূড়ান্ত ফলাফল পাওয়ার পর নির্বাচন কমিশন এ বৈঠকে বসে। বৈঠক শেষে কমিশনের পাঁচ সদস্য স্বাক্ষর করে নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করেন। এ ফলাফল নির্বাচনে অংশ নেয়া প্যানেল, প্যানেলের প্রতিনিধি, অর্ন্তবর্তীকালীন কমিটি এবং গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।

 

রবিবার (২৭ অক্টোবর) নির্বাচন কমিশন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, গত ২০ অক্টোবর রবিবার চট্টগ্রাম এসোসিয়েশন অব নর্থ আমেরিকা ইনকের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নিউইয়র্কের জ্যামাইকা, ব্রুকলিন ও কানেকটিকাটের স্ট্যামফোর্ড এবং পেনসেলভেনিয়ার আপার ডারবি কেন্দ্রে নির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হয়।

 

এদিকে, নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করে মাকসুদ-মাসুদ প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী মাকসুদুল এইচ চৌধুরী এক বিবৃতি প্রকাশ করেছেন। বিবৃতিতে তিনি বলেন, প্রবাসের বৃহত্তম সংগঠন চট্টগ্রাম সমিতি আজ আবারও কিছু গ্রাম্য মোড়লের ছোবলে পড়েছে। এই ছোবল থেকে রক্ষা করতে হলে সকল প্রবাসীর সহযোগিতা দরকার।

 

তিনি আরও বলেন, গত রবিবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আমি সভাপতি নির্বাচিত হয়েছি। কিন্তু নির্বাচনের ছয়দিনের মাথায় নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে নির্বাচনের দিন ঘোষিত ফলাফল পরিবর্তন করে গোপন জায়গায় বসে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে একতরফা একটি ফলাফল ঘোষণা করেছে। এই ফলাফলে আমাকে ২ ভোটে বিজিত ঘোষণা করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ বেআইনি, অনৈতিক, গঠনতন্ত্র পরিপন্থী এবং সংগঠনের ভবিষ্যতের জন্য বিপজ্জনক।

 

পূর্বকোণ/মাহমুদ

শেয়ার করুন