চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

নগরীতে ৪১টি এবং উপজেলায় ৩০৫

৩৪৬ ঝুঁকিপূর্ণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চলছে পাঠদান

ইমরান বিন ছবুর

৯ মে, ২০১৯ | ১০:১১ অপরাহ্ণ

নগরী ও উপজেলায় ৩৪৬টি ঝুঁকিপূর্ণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান চলছে। ২০টি থানা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা সরেজমিনে পরিদর্শন করে ৩৪৬টি ঝুঁকিপূর্ণ প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন চিহ্নিত করেছে। থানা ও উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তরা পরিদর্শন করে জেলা শিক্ষা অফিসকে এই তথ্য পাঠিয়েছেন। চট্টগ্রামের নগরী ও উপজেলা মিলে ২ হাজার ২৬৯ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এরমধ্যে নগরীতে ৪১টি এবং উপজেলায় ৩০৫টি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস দৈনিক পূর্বকোণকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
চট্টগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্র জানায়, চট্টগ্রামের ২০টি শিক্ষা থানা ও উপজেলা কর্মকর্তরা পরিদর্শন করে তাদের ঝুঁকিপূর্ণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তালিকা জমা দিয়েছে। এরমধ্যে বাঁশখালী উপজেলায় ঝুঁকিপূর্ণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। সেখানে ঝুঁকিপূর্ণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৪৯টি। এরপর মিরসরাই উপজেলায় ঝুঁকিপূর্ণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৪৮টি। রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় ৩৫টি, আনোয়ারা উপজেলায় ৩২টি, বোয়ালখালী উপজেলায় ২৮টি, সাতকানিয়া উপজেলায় ২১টি, লোহাগাড়া উপজেলায় ২০টি, পটিয়া উপজেলায় ১৭টি, ফটিকছড়ি উপজেলায় ১৪টি এবং হাটহাজারী উপজেলায় ১২টি ঝুঁকিপূর্ণ প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এছাড়া, সন্দ্বীপ ও রাউজান উপজেলায় ৯টি করে ঝুঁকিপূর্ণ প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। সীতাকু- উপজেলায় ৬টি এবং চন্দনাইশ উপজেলায় ৫টি ঝুঁকিপূর্ণ প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।
এছাড়া, নগরীর সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে বন্দর থানায়। সেখানে পরিদর্শন করে ১২টি ঝুঁকিপূর্ণ প্রাথমিক বিদ্যালয় পাওয়া যায়। পাঁচলাইশ থানায় ৯টি ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয় রয়েছে, চান্দগাঁও থানায় ৭টি, পাহাড়তলীতে ৬টি, ডবলমুরিং এ ৫টি এবং কোতোয়ালী থানাায় ২টি ঝুঁকিপূর্ণ প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।
এসম্পর্কে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নাসরিন সুলতানা বলেন, চট্টগ্রামে আমাদের মোট ২ হাজার ২৬৯ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এরমধ্যে চট্টগ্রামে ২০টি থানা ও উপজেলায় ৩৪৬টি ঝুঁকিপূর্ণ প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন চিহ্নিত করেছে উপজেলা ও থানা শিক্ষা কর্মকর্তা। যেখানে উপজেলায় হচ্ছে ৩০৫টি এবং নগরীতে ৪১টি ঝুঁকিপূর্ণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন চিহ্নিত করে প্রতিবেদন দিয়েছে। আগামী রবিবার এই তথ্য আমরা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি।
তিনি আরো বলেন, গত এপ্রিল মাসে বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষের পলেস্তারা ধসে পড়ে তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রী নিহত হয়। এ ঘটনার পর দেশব্যাপী ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয় ভবন চিহ্নিত করার নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
উল্লেখ্য, গত ৬ এপ্রিল বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলার ছোটবগি ইউনিয়নের পি কে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষের পলেস্তারা ধসে পড়ে তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রী নিহত ও কয়েকজন আহত হয়। এ ঘটনার পর ৭ এপ্রিল দেশব্যাপী ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয় ভবন চিহ্নিত করার নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো সরেজমিন পরিদর্শন করে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয় ভবনগুলো চিহ্নিত করে ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে মন্ত্রণালয়কে জানাতে সব জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ ভবন চিহ্নিতকরণে শিক্ষা কর্মকর্তারা প্রয়োজনে উপজেলা প্রকৌশলী এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের সহযোগিতা নিতে পারবেন বলেও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া ওই আদেশে বলা হয়।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট