ছাত্রশিবির শুধুই রাজনৈতিক সংগঠন নয়, এটি একটি স্বতন্ত্রধর্মী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এখানে রাজনীতির পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের নৈতিকতার শিক্ষা দেওয়া হয়। ছাত্রশিবির অতিমাত্রায় রাজনীতি পছন্দ করে না। রাজনীতির বাইরে শিক্ষার্থীদের দক্ষ ও নৈতিকতা সম্পন্ন করে গড়ে তুলতে কাজ করে।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে শাখা ছাত্রশিবিরের দাওয়া সংগঠন মিনারের উদ্যোগে আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম। এছাড়াও ইফতার মাহফিলে দারস পেশ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর ড. মো. এনায়েত উল্যা পাটোওয়ারী, মুনাজাত পরিচালনা করেন মিনারের চেয়ারম্যান ও শাখা ছাত্রশিবির সভাপতি মুহাম্মদ ইব্রাহিম।
নুরুল ইসলাম সাদ্দাম আরও বলেন, ব্যক্তিজীবনের ব্যস্ততা নয় যৌবনে আধাত্মিক ইবাদতের প্রয়োজন। আমাদের যৌবন বয়সে কুরআন নিয়ে রিসার্চ করতে হবে। ছাত্রশিবির নিজের ঘাম শ্রম দিয়ে কালেকশন করে ইফতারের আয়োজন করে। এসব আয়োজন আমাদের নিত্যদিনের প্রোগ্রাম।
তিনি বলেন, আমরা কোন দলাদলি, মারামারি করি না। বরং শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্টিভ কাজ করি। পলিটিক্স আমাদের জন্য শুধুমাত্র একটি পাঠ। আমরা একজন শিক্ষার্থীকে নৈতিকতা, জ্ঞান, সততা এবং দেশপ্রেমিক করে গড় তোলে দেশ ও জাতির কল্যাণে নিয়োজিত করি।
ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা সভাপতি এবং মিনারের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ইব্রাহীম গণইফতার সম্পর্কে জানান, রমজানের তাৎপর্য ও কুরআনের শিক্ষাকে ছাত্রসমাজের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে এবং ইসলামের সুমহান বার্তা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে এই গণইফতারের আয়োজন করা হয়। ইসলামী জ্ঞানের আলোকে একজন শিক্ষার্থী যেন নিজেকে গড়ে তুলতে পারে, সে লক্ষ্যেই এই দারসুল কুরআন আয়োজন করা হয়েছে। পাশাপাশি, সম্মিলিত ইফতারের মাধ্যমে ক্যাম্পাসে ভ্রাতৃত্ববোধ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, প্রথম রমজান থেকেই ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে গণইফতারের আয়োজন করা হয় যা চলবে ২০ রমজান পর্যন্ত। এই আয়োজনে প্রতিদিন প্রায় আড়াই হাজার শিক্ষার্থীর জন্য ইফতারির ব্যবস্থা করা হয়। ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদের হলেও শিবিরের পক্ষ থেকে প্রতিদিন ৫০০-৭০০ ছাত্রীর ইফতারের আয়োজন করা হয়।
পূর্বকোণ/জুনায়েদ/জেইউ/পারভেজ