চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ০৯ মে, ২০২৪

সর্বশেষ:

জুয়ার হাতেখড়ি : মেলা এবং খেলায় নজরদারি প্রয়োজন

২ নভেম্বর, ২০১৯ | ১:২৭ পূর্বাহ্ণ

সকল প্রকার জুয়া, অবৈধভাবে সম্পদশালী এবং দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যুদ্ধ ঘোষণা এবং অপরাধীদের গ্রেফতারের মাধ্যমে বিচারের মুখোমুখি করায় জনমনে স্বস্তির নিঃশ্বাস। অবৈধভাবে সম্পদশালী হওয়ার সহজ মাধ্যম দুর্নীতি আর জুয়া। জুয়ায় সব হারিয়ে মাত্র কয়েক মাসের মধ্যেই পৈত্রিক ভিটেমাটি পর্যন্ত বিক্রি করে নিঃস্ব হওয়ার বহু ঘটনা আমাদের সমাজে বিদ্যমান, তেমনি জুয়ায় আর্থিকভাবে লাভবান হয়ে অল্প সময়েই কোটি টাকার মালিক হয়ে যাওয়ার ঘটনাও কম নয়। জুয়া ধর্মীয় ও রাষ্ট্রীয় ভাবে নিষিদ্ধ হলেও দ্রুত সম্পদশালী হওয়ার নেশায় মানুষ জুয়ায় মত্ত হয়।
ধর্মীয় এবং সামাজিক ভাবেও জুয়ার অনুমোদন নেই।

আমার দেখা বৈশাখী মেলাগুলোতে গ্রাম থেকে শুরু করে শহরের মেলাগুলোতেও জুয়ার আসর বসে, যেখানে কোমলমতী শিশুরা মুহূর্তেই অনেক টাকা পাবার লোভ সংবরণ করতে ব্যর্থ হয় এবং ভাগ্য পরীক্ষার নামে জুয়ায় লিপ্ত হয়। শুরু থেকে টাকা জিতলে আরো জেতার নেশা তৈরি হয় এবং হারলেও, জিততেই হবে সে জেদ তৈরি হয় এবং এভাবেই জুয়ার নেশায় মত্ত হয় কোমলমতী শিশু থেকে সব বয়সীরা। পাড়ার ক্রিকেট-ফুটবল ম্যাচ কিংবা যেকোন পর্যায়ের খেলাধূলাতেও একই অবস্থা।

পাড়ার খেলাধূলায় বা আন্তর্জাতিক পর্যায়ের খেলাধূলাতে গ্রামগঞ্জ থেকে শুরু করে সারাদেশব্যাপী চায়ের দোকানে কিংবা নিজেদের মধ্যে জুয়ায় লিপ্ত হলেও এসব ঘটনায় পুলিশী নজরদারি কম থাকার কারণে অনাসায়েই চলে জুয়ার আসর। শহরে এসব জুয়ার আসরগুলোতে পুলিশের নজরধারির ফলে জুয়ার আড্ডা ভেঙে দিলেও ভিন্নপথ অবলম্বন করে জুয়ারীরা। গ্রামীণ মেলাতেও একই অবস্থা। প্রত্যেকটি অপরাধের মূলে প্রবেশ করা জরুরি। জুয়ারীদের দমন করার পাশাপাশি ভবিষ্যতে কেউ যেনো জুয়ারী না হতে পারে, তার জন্য বৈশাখী মেলাসহ সবধরনের মেলা এবং খেলায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি বাড়ানো এবং জুয়ার আসরের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার কোন বিকল্প নেই। সচেতন নাগরিকরা নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে জুয়ার বিরুদ্ধে নানা প্রকার সামাজিক কার্যক্রম গ্রহণ করলে কোমলমতী শিশুরা জুয়ার প্রভাব থেকে দূরে থাকবে এবং সুস্থ স্বাভাবিক সুনাগরিক তৈরি হবে বলেই আমার বিশ্বাস।

জুবায়ের আহমেদ
শিক্ষার্থী, ডিপ্লোমা ইন জার্নালিজম, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব জার্নালিজম অ্যান্ড ইলেকট্রনিক মিডিয়া (বিজেম)।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট