কক্সবাজারের রামুতে মিয়ানমারের অবৈধ গরু পাচারে বাঁধা দেওয়ায় গভীর রাতে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আবুল কাশেম (৪০) নামের এক কৃষককে গুলি করে হত্যা করেছে পাচারকারীরা। নিহত আবুল কাশেম গর্জনিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের বড়বিল এলাকার মৃত আলী আহমদের ছেলে।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) উউপজেলার পাহাড়ি জনপদ গর্জনিয়া ইউনিয়নে গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে।

সকাল ৬টার দিকে স্থানীয় কাঠুরিয়ারা লাশ দেখতে পেয়ে পরিবারকে খবর দিলে তারা পুলিশকে জানায়। রামু থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছেন।

আবুল কাশেমের ছোট ভাই মো. শহীদুল্লাহ কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গের সামনে সাংবাদিকদের জানান, ডাকাত শাহীন গ্রুপের প্রায় ৩০/ ৪০ জন সদস্য বিভিন্ন অস্ত্র নিয়ে তার ভাইকে বাড়ি থেকে ডেকে পাহাড়ের দিকে নিয়ে যায় এবং পরে গুলি করে হত্যা করে। নিহত আবুল কাশেমের ৪ বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে, তার স্ত্রী বর্তমানে গর্ভবতী।

স্থানীয়রা জানায়, আবুল কাশেম কৃষিকাজের পাশাপাশি মোটরসাইকেলে ভাড়া মারেন। সম্প্রতি সে মিয়ানমার থেকে চোরাই পথে অবৈধ গরু পাচারে বাঁধা দেয়। সেকারণেই তাকে হত্যা করা হয়েছে। তারা জানান, ডাকাত শাহীন বাহিনী ও আবছার বাহিনীর চোরাচালানের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে একের পর এক খুনের ঘটনা ঘটছে। এ নিয়ে গত এক মাসে গর্জনিয়ায় গরু পাচারসহ চোরাকারবারকে কেন্দ্র করে চারটি হত্যার ঘটনা ঘটেছে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর-সার্কেল) মো. মিজানুর রহমান জানান, ঘটনার পর পরই লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে নেয়া হয়েছে। অপরাধীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের প্রচেষ্টা চলমান আছে।

রামু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু তাহের দেওয়ান জানান, খবর পেয়ে রামু থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। সকাল থেকেই অপরাধীদের ধরার জন্য আমরা পাহাড়ের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালাচ্ছি। কারা এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে এখনো সঠিক বলা যাচ্ছে না। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পূর্বকোণ/পিআর/এএইচ