চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

অগ্নিকা-জনিত দুর্যোগ ঝুঁকির মুখে বন্দরনগরী চট্টগ্রাম

মো. ইকবাল সরোয়ার

৩০ অক্টোবর, ২০১৯ | ২:০৮ পূর্বাহ্ণ

প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জনসংখ্যার ঘনত্বের কারণে বাংলাদেশ বিশ্বব্যাপী পরিচিত। সাম্প্রতিক সময়ে এই দেশে বৃদ্ধি পেয়েছে কিছু মানবসৃষ্ট দুর্যোগ। যেমন- সড়কদুর্ঘটনা, জলাবদ্ধতা, পাহাড়কর্তনজনিত ভূমিধ্বস এবং অগ্নিকা-। বাংলাদেশে নগরে বসবাসকারী ৩০% মানুষ এ সমস্ত দুর্যোগ মোকাবেলায় এখনো অব্যস্থ হয়ে উঠতে পারেনি। বাংলাদেশের ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরের মতো প্রধান শহরগুলোতে অগ্নিকা-জনিত নগরদুর্যোগ ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। ২০০৭ সালের বসুন্ধরা, ২০১০ সালের নিমতলী এবং ২০১৯ সালে চকবাজার ও বনানীর মতো ঢাকা শহরের প্রাণকেন্দ্রে সংঘটিত অগ্নিকা-জনিত মৃত্যু প্রমাণ করে এই আধুনিক যুগেও আমরা এই ধরনের নগরদুর্যোগ মোকাবেলায় কতটা অসহায়। এই ধরনের অগ্নিকা-জনিত নগরদুর্যোগ যদি চট্টগ্রাম শহরে হয় তা মোকাবেলার সক্ষমতা আছে কিনা তা গভীরভাবে চিন্তার বিষয়। বাংলাদেশের অন্যান্য শহর অপেক্সা স্বতন্ত্রবৈশিষ্ট্য এবং ভৌগোলিক গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে থাকা সত্ত্বেও অপরিকল্পিত নগরায়ন, সচেতনতা ও সমন্বয়ের অভাবে এই বন্দরনগরীর ৬৫-৭০ লক্ষ মানুষ এখন মারাত্মক অগ্নিকা-জনিত দুর্যোগের হুমকিতে রয়েছে। ভৌগোলিক অবস্থান, চট্টগ্রাম বন্দরসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ও দেশের ২য় বৃহত্তম শহরের নানাবিধ সুযোগ-সুবিধার কারণে চট্টগ্রাম নগরীর প্রতি মানুষের পৃথক একটি আকর্ষণ রয়েছে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, ৬০ বর্গমাইল আয়তনের এই শহরে ৪.৫% হারে নগর জনসংখ্যা বৃদ্ধির চাপে অপরিকল্পিতভাবে ক্রমাগত গড়ে উঠছে বিভিন্ন স্থাপনা, আবাসন ও শিল্পপ্রতিষ্ঠান। কিন্ত ক্রমবর্ধমান নগরবাসীর চাহিদার সাথে মিল রেখে পর্যাপ্ত বাসস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাজার, খেলাধুলার জন্য মাঠ এবং মার্কেটের ব্যবস্থা করা সম্ভব হচ্ছে না। এ সমস্ত নাগরিকসুবিধা বৃদ্ধি করতে গিয়ে পুকুর, জলাশয়, উম্মুক্ত স্থান, খাল-বিল দখল বা ভরাট করে বিভিন্ন স্থাপনা তৈরী করতে হচ্ছে।

অন্যদিকে অপরিকল্পিত নগরায়নের ফলে ক্রমাগত যত্রতত্র বিভিন্ন স্থাপনা ও বাসস্থান গড়ে তুলতে গিয়ে আবাসিক এলাকার সড়কগুলো মারাত্মক আকারের সরু করে ফেলা হচ্ছে। এই ধরনের সরু সড়কে অগ্নিকান্ডের সময় ফায়ার সার্ভিস এর গাড়ী চলাচল মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হয়ে হতাহতের সংখ্যা যেমন বৃদ্ধি করবে, তেমনি অগ্নিকা-জনিত দুর্যোগের ঝুঁকির মাত্রাকেও উচ্চপর্যায়ে নিয়ে যাবে। চট্টগ্রাম নগরীর অনেক স্থানে এখন পুকুর, জলাশয়, খাল দখল অথবা ভরাট করে ঘরবাড়ী, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হচ্ছে। শহর এলাকার পানির প্রাকৃতিক উৎসসমূহ অগ্নিকা-জনিত দুর্যোগের সময় আগুন নিয়ন্ত্রণে গুরুত্ব¡পূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ঘনবসতিপূর্ণ আবাসিক, শিল্প ও মার্কেট এলাকায় পর্যাপ্ত পানির উৎসের অভাবে অগ্নিকা-ের ফলে চট্টগ্রাম নগর এলাকায় মারাত্মক বিপর্যয় নিয়ে আসতে পারে। ফলে পর্যাপ্ত পানির অভাবে ফায়ার সার্ভিস বাহিনীর শত প্রচেষ্টাও তখন আগুণ নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হবে। বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্টাল ল’ইয়ার্স এসোসিয়েশন (বেলা) এর এক গবেষণায় দেখা গেছে, গত ১০ বছরে সারা বাংলাদেশে ১৬ হাজার অগ্নিকাল সংঘটিত হয়েছে এবং এর ফলে প্রাণ হারিয়েছে ১৫৯০ জন। ইদানীং চট্টগ্রাম শহরে প্রচুর পরিমাণে উঁচুুু ভবন ও শপিং মল গড়ে উঠছে। কিন্তু অগ্নিকা-ের সময় এসব উঁচুু ভবনে ফায়ার সার্ভিস এর উদ্ধারতৎপরতা চালানোর সক্ষমতা আছে কিনা তা কখনো পরীক্ষা করা হয়নি। সম্প্রতি চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের উদ্যেগে চট্টগ্রাম শহরের শপিং মল এর উপর এক গবেষণায় দেখা গেছে, অধিকাংশ শপিং মলে ফায়ার সেফটি ডিজাইন এবং পর্যাপ্ত আধুনিক যন্ত্রপাতি অভাব রয়েছে। অন্যদিকে ৬১% শপিং মলে কোন ইমার্জেন্সি ফায়ার ডোর নাই এবং কিছু শপিং মলে ইমার্জেন্সি ফায়ার ডোর থাকলেও অধিকাংশ সময় অন্যান্য জিনিসপত্র দ্বারা পরিপূর্ণ থাকে। ওই গবেষণায় আরো দেখা গেছে, মাত্র ২৭% মার্কেটে ফায়ার এলার্ম রয়েছে এবং অধিকাংশ মার্কেটের দোকান মালিক আগুন নির্বাপণযন্ত্রের ব্যবহার জানেন না। বহুতল ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে নিয়ম অনুযায়ী সিড়ি ও ফায়ার স্টেয়ার ভবনের বাইরে থাকবে। এতে আগুন ও ধোয়া ভবনে ছড়িয়ে পড়লেও সিঁড়ি ও ফায়ার স্টেয়ারে পৌঁছায় না। ফায়ার ডোর দিয়ে মানুষ সিঁড়ি বেয়ে নেমে যেতে পারে। অগ্নিকা-ের সময় বেশীর ভাগ মানুষ মারা যায় বের হওয়ার পথ না পেয়ে তীব্র তপ্ত ধোঁয়ায় শ্বাস নিতে না পেরে। শহর এলাকায় উঁচুু ভবনগুলোতে জলাধার এবং ¯িপ্রংলার (পানি ছিঠানোর ব্যবস্থা) থাকার কথা থাকলেও অধিকাংশ ভবনে এগুলো অনুপস্থিত। অপরিকল্পিত নগরায়নের কারণে ভবনগুলো একটির সাথে অন্যটি এত লাগানো থাকে যে, আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষে অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়ায়, তাছাড়া একটি ভবন থেকে অন্য ভবনে আগুন ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকিও বেড়ে যায়।

এই শহরের উচ্চবিত্ত/মধ্যবিত্ত/নিন্মবিত্ত বিশেষ করে বস্তি এলাকার মানুষ সকলেই কমবেশি অগ্নিকা-ঝুঁকিতে রয়েছে। এখানের উঁচুুভবনগুলো এতই ঘনবসতি হয়ে তৈরী হচ্ছে যে লিফট ও মূল সিঁড়ি ছাড়া বিকল্প সিঁড়ি রাখাও দুঃস্কর। এর ফলে অগ্নিকা-র সময় ধোঁয়ার কারণে বের হতে না পেরে অনেক মানুষ মারা যেতে পারে। চট্টগ্রাম শহরের অনেকগুলো ভবনে অগ্নিদুর্ঘটনা মোকাবেলার জন্য যে সমস্ত নিরাপত্তাসামগ্রী দরকার এবং নির্মাণকাঠামো যে ধরনের হওয়া প্রয়োজন তার কিছুই নেই। চট্টগ্রাম শহরের স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসাগুলো অগ্নিকা-জনিত দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুত নয়। শহরের অনেক প্রাইভেট স্কুল এন্ড কলেজ আছে শুধুমাত্র একটি বিল্ডিং ভাড়া নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছে, বিল্ডিংয়ের নিচে রয়েছে দোকানসহ নানা ধরনের বাণিজ্যিক কর্মকা-। একই অবস্থা গার্মেন্টস ও শিল্পকারখানাগুলোতেও। এখানে শ্রমিকদের থাকেনা অগ্নিদুর্ঘটনা মোকাবেলার পর্যাপ্ত কোন প্রশিক্ষণ। অনেক সময় বিপদকালীন সিঁড়ি থাকলেও সেগুলো তালা দেয়া থাকে বা অন্যান্য জিনিসপত্র দ্বারা চলাচল অনুপোযোগী থাকে। এছাড়া ইমারত বিধিমালা পরিহার ও শ্রমিকদের অগ্নিনির্বাপনের যাথাযত প্রশিক্ষণের অভাবও এই অগ্নিদুর্ঘটনা ঝুঁকির মাত্রাকে বাড়িয়ে দিচ্ছে।

অগ্নিকা-জনিত দুর্যোগে আহত মানুষের উদ্ধার পরবর্তী দ্রুত হাসপাতালে প্রেরণ ও যথাযত চিকিৎসা দেয়া বিরাট এক চ্যালেঞ্জ। চট্টগ্রাম শহরের সরু সড়ক, জনসংখ্যার ঘনত্ব, পরিবহনের আধিক্য, ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতা ও সংখ্যা, পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি ইত্যাদি বিরাট এক সমস্যা অগ্নিকা-ে আহতদের দ্রুতচিকিৎসা দেয়ার ক্ষেত্রে। তাছাড়া চট্টগ্রাম শহরে অগ্নিকা-ে আহতদের চিকিৎসা দেয়ার মত ঢাকার তুলনায় লোকবল ও সুযোগ-সুবিধাও অপ্রতুল। চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতাল ও প্রাইভেট ক্লিনিকগুলো চট্টগ্রাম শহরের মোটামুটি ২/৩টি জায়গায় কেন্দ্রীভূত। চট্টগ্রাম মূলত ১টি প্রধান সড়ক (কালুর ঘাট থেকে পতেঙ্গা) নির্ভর শহর। কিন্তু শহরের বিভিন্ন প্রান্তে অগ্নিকা- সংগঠিত হলে দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে হাসপাতালে পৌঁছানো বিশাল এক চ্যালেঞ্জ। এ সকল সীমাবদ্ধতার কারণে চট্টগ্রাম অগ্নিকা-জনিত দুর্যোগের হুমকীর সম্মুখীন।

সম্প্রতি ফায়ার সার্ভিস চট্টগ্রাম এর পক্ষ থেকে শহরের ৪১টি ওয়ার্ডকে ৮টি জোনে ভাগ করে অগ্নিঝুঁকি সংক্রান্ত এক জরিপ করা হয়। এ জরিপ অনুযায়ী ৪৫টি মার্কেট, ১২টি বস্তি ও ৩০০টি বহুতল ভবনকে অগ্নিঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। চট্টগ্রাম শহরের রেয়াজউদ্দীন বাজারসংলগ্ন তামাকুমু-ি লেন, জহুর হকার মার্কেট এবং এর আশেপাশে সবগুলো মার্কেট মারাত্মক অগ্নিকা-জনিত নগরদুর্যোগের হুমকীতে রয়েছে। এখানের মার্কেট ও দোকানগুলো একটির সাথে আরেকটি লাগানো এবং পর্যাপ্ত আলো-বাতাসের ব্যবস্থা নাই। এখানে অনেক মার্কেটের অনুমোদন নেই আবার অনেকে কোন বিল্ডিং কোড না মেনেই মার্কেট তৈরী করেছে এবং এ সমস্ত মার্কেটের নিজস্ব কোন অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থাও নেই। পাশ্ববর্তী কোন পানির উৎসও নেই, যা অগ্নিকা- মোকাবেলার জন্য অপরিহার্য একটি উপাদান। শহর এলাকার মানুষের বিভিন্ন ধরনের চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠা এই সমস্ত মার্কেটগুলোর অগ্নিকা- মোকাবেলার নিজস্ব কোন প্রযুক্তি নেই। এছাড়া এসব মার্কেট ব্যবহারকারী বা ক্রেতাদেরও কোন ধারনা নেই অগ্নিকা- হলে তা কিভাবে মোকাবেলা করবে তারা। ১৮ই অক্টোবর’ ১৯ রাতে জহুর হকার্স মার্কেটে অগ্নিকা-ের কারণে ১০৫টি দোকান পুড়ে যায়। শুধুমাত্র নিকটবর্তী পানিসংকট থাকায় ও সরু সড়কের কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লাগে সাড়ে ৫ ঘণ্টা। তাছাড়া মাকের্টের সরুপথ থাকায় এখানে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ীও প্রবেশ করতে পারেনি। এই দুঘর্টনায় প্রাথমিক হিসেবে ৫০ কোটি টাকার ক্ষতি হয় বলে ধারণা করা হয়। এই দুর্ঘটনা পার্শ্ববর্তী তামাকুমু-ি মার্কেট লেনে হলে ক্ষতির পরিমাণ অনেক বৃদ্ধি পেতো। কারণ এখানে বডি ¯েপ্র, পারফিউম, লোশন, নেল পলিশ কাপড় ইত্যাদির পরিমাণ অত্যধিক যা অগ্নিকা-কে তীব্র পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট।

২০১০ সালের ৩ জুন ঢাকার নিমতলী অগ্নিকা-ে ১২৪ জনের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনা তদন্তে করে ১৭ দফা সুপারিশ করেছিল কিন্তু সুপারিশগুলো বাস্তবায়িত হয়নি। রাজধানী ঢাকার মতো বাণিজ্যিক রাজধানী বন্দরনগরী চট্টগ্রামে এই ধরনের অগ্নিকা- সংগঠিত হলে নানাবিধ নগরীয় কর্মকালের কারণে এর ফলাফল আরো ভয়াবহ হতে পারে। চট্টগ্রাম শহরের নির্মাণাধীন ভবনগুলো ভবননির্মাণ বিধিমালা ও অগ্নিনিরাপত্তায় শর্তগুলো মেনে চললে অগ্নিদুর্ঘটনায় হতাহতের পরিমাণ অনেকাংশে কমানো যাবে। এছাড়া অগ্নিকা-জনিত নগরদুর্যোগ মোকাবেলার জন্য নি¤েœাক্ত সুপারিশসমূহ অনূসরণ করা যেতে পারে – ১. অগ্নিকা- সম্পর্কিত সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এলাকাভিত্তিক উদ্ধার টিম, প্রাথমিক চিকিৎসার চর্চা ও তৎপরতা বৃদ্ধি করা, ২. ফায়ার সার্ভিস বাহিনীকে চাহিদা ও সময়োপযোগী জনবল, প্রশিক্ষণ ও আধুনিক যন্ত্রপাতি সরবরাহ, ৩. আগ্নিকা-ের সময় উৎসুক জনতার আবেগ নিয়ন্ত্রণ ও উদ্ধার কাজ নির্বিঘেœ করার সহায়তা করা, ৪. আবাসিক/শিল্প/শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বৈদ্যুতিক তারের গুণগত মান নিয়ন্ত্রণ ও নিয়মিত পরীক্ষা করা, ৫. অগ্নিনির্বাপনের জন্য স্থানীয়ভাবে পানির পৃথক লাইন ও জলাধার সংরক্ষণ করা, ৬. জাতীয় বিল্ডিং কোড এবং অগ্নিপ্রতিরোধ ও নির্বাপন আইন অনুযায়ী ভবন নির্মাণ করা, ৭. আবাসিক ও বাণিজ্যিক কর্মকা- পৃথকভাবে স্থাপন করা, ৮. বিভিন্ন পর্যায়ে অগ্নিকা- সম্পকিত শিক্ষার বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা, ৯. অগ্নিকা-ে হতাহতদের পর্যাপ্ত চিকিৎসাসেবা দেয়ার সুযোগ বৃদ্ধি করা এবং ১০. চট্টগ্রাম শহরের আবাসিক ভবন ও শপিং মল অথবা স্কুল-কলেজগুলোতে নিয়মিত ফায়ার ড্রিল বা চর্চা করা।

মো. ইকবাল সরোয়ার সহযোগী অধ্যাপক, ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট