চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪

সর্বশেষ:

স্বজনদের বুকফাটা কান্না, ছনুয়াজুড়ে শোকের ছায়া

নিজস্ব সংবাদদাতা হ বাঁশখালী

১৮ অক্টোবর, ২০১৯ | ২:৩৭ পূর্বাহ্ণ

ছনুয়া ইউনিয়নের কাজী পাড়ার বৃদ্ধ মফিজুর রহমানকে চিকিৎসা শেষে ফেরার পথে এম্বুুুলেন্সের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে গৃহকর্তা, ২ পুত্রবধূসহ ৩ জন নিহত ও ২ ছেলে গুরুতর আহতের ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

গতকাল (বৃহস্পতিবার) দুপুর আড়াইটার গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহতের খবর এলাকায় পৌঁছলে স্বজনদের বুক ফাটা কান্নায় পরিবেশ ভারী হয়ে উঠে। অনেক আত্মীয় স্বজন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ছুটে যায়। একই পরিবারের ৩জন নিহত হওয়ার ঘটনায় পুরো বাঁশখালীজুড়ে চায়ের দোকান, যানবাহন, অফিস আদালতে আলোচনা চলে গ্যাস সিলিন্ডার বিষ্ফোরণ খবর নিয়ে। জানা যায়, বাঁশখালী উপজেলায় ছনুয়া ইউনিয়নে ৩ নং ওয়ার্ডের কাজী পাড়ার মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে মফিজুর রহমান (৭২) ৮ বছর পূর্বে পিছলে পথে আছাড় খেয়ে মেরুদ-ে মারাত্মক আঘাত পান। বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা করে একটু সুস্থ থাকলেও বয়োবৃদ্ধের কারণে আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন। গত সপ্তাহে ছেলে পিতার উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়। চিকিৎসা শেষে গতকাল (বৃহস্পতিবার) বাঁশখালী ছনুয়া বাড়ি ফেরার পথে আনোয়ারা উপজেলার চাতুরী চৌহমুনী শশী কমিউনিটি সেন্টারের সামনে প্রধান সড়কে দুপুর আড়াইটার দিকে এম্বুুুলেন্সের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলে অসুস্থ বৃদ্ধ মফিজুর রহমান ও ছেলে কামাল উদ্দিনের স্ত্রী জয়নাব বেগম (২৮) ঘটনাস্থলে নিহত হন। গুরুতর আহত ছেলে সাহাব উদ্দিনের স্ত্রী বুলবুলি আক্তার (২৫) চট্টগ্রাম মেডিকেলে চিকিৎসারত অবস্থায় মারা যান। এই ঘটনায় নিহত মফিজুর রহমানের ছেলে সাহাব উদ্দিন ও নেজাম উদ্দিন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।

ছনুয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম জানান, মফিজুর রহমান জন্ম সাধারণ পরিবারে। তার ৬ সন্তান হলো কামাল উদ্দিন, সাহাব উদ্দিন, নেজাম উদ্দিন, জসিম উদ্দিন, নাছির উদ্দিন ও মো. জয়নাল ও ১ মেয়ে ছেনুয়ারা রয়েছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে নেজাম উদ্দিন ও সাহাব উদ্দিন পিতার সাথে চিকিৎসার সময়ে ছিলেন। তাদের স্ত্রীসহ চিকিৎসা শেষে ফেরার পথে এই সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফোরণে নিহতদের শরীর খ-িত হয়ে যায়। কাছ থেকে নিহতদের চেহেরা চেনার উপায় ছিল না। তাদের ৩ ভাই সাতকানিয়ায় রড়, সিমেন্টের দোকানে শ্রমিক হিসাবে কাজ করতেন।

ছনুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান হারুনুর রশিদ জানান, ছনুয়া ইউনিয়নে মানুষদের মধ্যে এই দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে শোকের ছায়া নেমে আসে। পরিবারের সদস্যরা খুবই দরিদ্র। নিজের আর্থিক সহায়তা ছাড়াও তাদের সরকারিভাবে সহায়তার জন্য ব্যবস্থা করা হবে। নিহত পরিবারের সদস্যদের লাশের ময়না তদন্ত ছাড়া দাফনের ব্যবস্থা চলছে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট