মারামারির মামলায় আদালতে সাক্ষী দিতে এসে আবারো মার খেলেন মামলার বাদি, বাদির ভাই এবং সাক্ষী। গতকাল চট্টগ্রাম আদালত ভবন চত্বরে এই ঘটনা ঘটে। হামলায় গুরুতর আহত বাদির ভাই দিদারকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হামলার শিকার
পটিয়ার ১ নম্বর বরুলিয়া ইউনিয়নের বেলখাইন এলাকার বাসিন্দা দিদার পূর্বকোণকে জানান, ২০১৭ সালের ২৪ নভেম্বর তার ভাই মনছুরকে কুপিয়ে জখম করে স্থানীয় জসিমসহ একাধিক ব্যক্তি। এই ঘটনার পর মনছুর মামলা করেন। মামলার করার পর থেকেই আসামিরা তাদেরকে হুমকি-ধমকি দিচ্ছিল। এক পর্যায়ে তারা এলাকাছাড়া হতে বাধ্য হন। গতকাল বৃহস্পতিবার ছিল সাক্ষীর হাজিরা। হাজিরা দিতে তারা তাদের মামীকে আদালতে নিয়ে আসেন। তারা আদালতে এসেই সাক্ষী দেয়ার জন্য কোর্টের সামনে অপেক্ষা করেন। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর বেলা যখন ৫টা পার হয়ে যায়, তখন আসামিরা মামলার বাদি মনছুর এবং সাক্ষীকে মারধর করবে তাদের এমন আলোচনা কানে আসতেই তাদের পক্ষের আইনজীবীকে বিষয়টি জানিয়ে পরের দিন সাক্ষীর সময় নিয়ে সন্ধ্যার আগেই আদালত ভবন ত্যাগ করার প্রস্তুতি নেন। আদালতও তাদের সাক্ষীর পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করে দেন। কিন্তু তারা আদালত ভবন থেকে নিচে নামতেই জসিমসহ অন্তত ছয়জন বাদি মনছুর এবং সাক্ষী তার মামীর উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। তাদেরকে বাঁচাতে দিদার এগিয়ে এলে তারা দিদারকে মাটিতে ফেলে উপর্যুপরি পেটাতে থাকেন। হামলার ঘটনায় দিদার মাথায় এবং চোখসহ সারাশরীরে প্রচ- আঘাত পান। বিষয়টি আইনজীবীর মাধ্যমে সাথে সাথে আদালতকে অবহিত করলে আদালত লোক পাঠিয়ে আহত দিদারের ছবি তুলে প্রমাণ হিসেবে নিয়ে যান। খবর পেয়ে কোতোয়ালী থানার পুলিশ এসে জসিমকে গ্রেপ্তার করে। বাকি হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। আহত দিদার বর্তমানে চমেক হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন আছেন। এই ঘটনায় মামলা করা হবে বলে তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।