চট্টগ্রাম নগরীতে গতকাল মঙ্গলবার থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হলেও আজ বুধবার (১৮ জুন) ভোর থেকে শুরু হয়েছে মুষলধারে বৃষ্টি। এর ফলে নগরীর জিইসি মোড়, আগ্রাবাদ, চৌমুহনী, বাকলিয়া, রাহাত্তারপুল, চকবাজার এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে এসব এলাকার বিভিন্ন সড়ক। জলাবদ্ধতার কারণে স্থানীয় বাসিন্দারাসহ কর্মস্থলের উদ্দেশে বের হওয়া মানুষ ভোগান্তিতে পড়েন।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল ও এর আশপাশের এলাকায় লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। লঘুচাপের বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় রয়েছে। এ কারণে মঙ্গল থেকে শনিবার পর্যন্ত চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা বশির আহমেদ পূর্বকোণকে বলেন, ‘গতকাল ১২ টা থেকে আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত চট্টগ্রামে ৭৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। এর মধ্যে ৬৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে আজ বুধবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। বৃষ্টিপাত আরও তিনদিন হতে পারে। চট্টগ্রামে পাহাড় ধ্বসের সর্তকর্তা জারি করা হয়েছে।’
নগরীর পাঁচলাইশ এলাকার এলাকার বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার শীল বলেন, আমার বাসা নাজির পাড়া এলাকায়। ভোর থেকে বৃষ্টিপাতের কারণে বাসা থেকে বের হয়েই দেখি বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তার একাংশ পানিতে রাস্তা তলিয়ে গেছে।
পূর্বকোণ/পিআর/এএইচ