শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের আন্দোলনের মুখে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) চারুকলা ইনস্টিটিউটকে ক্যম্পাসে ফেরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে শিক্ষার্থীদের অনশন চলাকালে বিষয়টি জানান চবি উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. শামীম উদ্দিন খান।
চারুকলা ক্যাম্পাসে ফেরানোর দাবিতে কয়েকদিন থেকেই টানা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছিলো অনুষদটির শিক্ষার্থীরা। সর্বশেষ আজকে কয়েকজন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বিল্ডিং এর সামনে অনশনে বসেন। শিক্ষার্থীদের দাবিকে যৌক্তিক দাবি মনে করে সংহতি জানায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল। এর আগে ২০১২ সালে চারুকলা ইনস্টিটিউটকে নগরে স্থানান্তর করা হয়। এরপর থেকে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময় চারুকলাকে ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে আনার দাবিতে আন্দোলন করেন। ২০২৩ সাল টানা ১০০ দিনের বেশি ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ রেখে আন্দোলন করে শিক্ষার্থীরা। তবে ছাত্রলীগের হামলায় সেই আন্দোলন পন্ড হয়ে যায়। প্রশাসন চারুকলা ক্যাম্পাসে না এনে বিভিন্ন সংস্কারের আশ্বাস দেন। যদিও কোন আশ্বাস পূরণ হয়নি।
চবি উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. শামীম উদ্দিন খান বলেন, বর্তমান প্রশাসন শিক্ষার্থীবান্ধব হিসেবে সব কার্যক্রম পরিচালনা করছে। শিক্ষার্থীদের যাতে কোনো আন্দোলনে যেতে না হয়, সেজন্য সকল প্রচেষ্টা আমরা অব্যাহত রেখেছি। শিক্ষার্থীদের চাওয়া মানে আমাদেরই চাওয়া। আমরা ইতোমধ্যে ক্যাম্পাসে চারুকলা ইনস্টিটিউটকে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, চারুকলার পরবর্তী একাডেমিক কমিটির মিটিংয়ে আমরা থাকবো। ইতিমধ্যে আমরা কার্যক্রম শুরু করেছি। আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে চবির কলা ভবনে চারুকলা ইনস্টিটিউটকে পুনরায় স্থানান্তর করবো। এর আগ পর্যন্ত আপনারা (আন্দোলনকারীরা) আমাদের সময় দিন। সর্বোচ্চ ১ এপ্রিলের মধ্যে আপনারা মূল ক্যাম্পাসে ফিরে আসবেন।
পূর্বকোণ/আরআর/পারভেজ