চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

৬ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে মিনিস্টার-মাইওয়ান কারখানার আগুন

১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ | ২:৩২ পূর্বাহ্ণ

ফায়ার সার্ভিসের ১৫টি ইউনিটের চেষ্টায় ৬ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে এসেছে গাজীপুরের ধীরাশ্রম এলাকায় মিনিস্টার-মাইওয়ান ইলেকট্রনিক্স কারখানায় লাগা আগুন। এর আগে, সকাল ৭টার দিকে কারখানাটিতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বেলা ১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয় বলে জানান গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক দিলীপ কুমার ঘোষ। তিনি বলেন, দুপুর ১২টা ৫৪ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। তবে কিভাবে আগুন লাগল তা জানা যায়নি। এ বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তবে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে বলে সন্দেহ করেন তিনি। এখনো জানা যায়নি ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ। আগুনের খবর পেয়ে ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক এস এম তরিকুল ইসলামসহ প্রশাসনের

কর্মকর্তারা। জেলা প্রশাসক সাংবাদিকদের বলেন, কারখানায় অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল কি না তা তদন্ত করে দেখা হবে। যদি না থাকে তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।-ফোকাস বাংলা

এদিকে আগুনের ঘটনায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শাহিনুর ইসলামকে প্রধান করে ৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী সাত কার্য দিবসের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এই তথ্য নিশ্চিত করে গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ জানান, কারখানা ভবনটি ছয় তলা। ষষ্ঠ তলাতেই আগুনের সূত্রপাত হয়। কিন্তু আগুন লাগার কারণ আমরা এখনই বলতে পারছি না। কারখানা ভবনের ষষ্ঠ তলা ও পঞ্চম তলা পুড়ে গেছে। দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে বেগ পেতে হয়েছে। এছাড়া আগুন নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নেই কারখানাটিতে। পাশের মার্কওয়্যার লিমিটেডের ডোবা থেকে পানি সংগ্রহ করে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়েছে। কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এখন ডাম্পিং এর কাজ শুরু হয়েছে।

এদিকে টঙ্গী কলকারখানা অধিদফতরের সহকারী মহা-পরিদর্শক মোতালিব মিয়া জানান, এই কারখানায় নিয়মিত অগ্নি নির্বাপন মহড়ার আয়োজন করা হতো না। ছয় তলার ওপরে গুদাম রাখারও নিয়ম নেই। কারখানায় ফায়ার এলার্ম ও অগ্নি নির্বাপনের পর্যাপ্ত সরঞ্জাম ছিল না। এ ব্যাপারে প্রায় তিন সপ্তাহ (আনুমানিক ২০/২২দিন) আগেও আমরা নোটিশ দিয়েছিলাম। নোটিশের বিপরীতে কারখানা কর্তৃপক্ষ কোনও জবাব দেয়নি। এ কারণে কলকারখানা অধিদফতর তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।
কোম্পানির হেড অব মিডিয়া কে এম জি কিবরিয়া জানান, কারখানায় তৈরি বিভিন্ন ইলেকট্রনিক হোম অ্যাপায়েন্স প্রোডাক্ট ষষ্ঠ তলায় মজুদ করে রাখা ছিল। তবে সেখানে কত টাকার পণ্য সামগ্রী ছিল সে বিষয়ে কোনও ধারণা দিতে পারেননি তিনি।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট