চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

লোডশেডিংয়ে পরীক্ষার্থীদের দুর্ভোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

১০ মে, ২০২৩ | ১২:২৮ অপরাহ্ণ

ঘণ্টায় ঘণ্টায় লোডশেডিং হওয়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে চলমান এসএসসি ও আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের। শুধু গ্রাম নয়-কয়েক দিন ধরে শহরের পরীক্ষার্থীরাও পড়েছে ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের কবলে। তীব্র গরমের মধ্যে লোডশেডিং বাড়ায় পড়ালেখায় মনোযোগ হারাচ্ছে তারা। তবে শিক্ষার্থীসহ নগরবাসীর জন্য আপাতত কোনো সুখবর দিতে পারেননি বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে অন্তত ১৫ দিন লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন তারা।

বিদ্যুৎ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন- গতকাল (মঙ্গলবার) দিনে (অফ পিক আওয়ারে) চট্টগ্রামে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১ হাজার ১০০ মেগাওয়াটের কাছাকাছি। তবে চাহিদার বিপরীতে বিদ্যুৎ মিলছে ২০০-২৫০ মেগাওয়াট কম। মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর (পিক আওয়ারে) চট্টগ্রামে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াটের বেশি। তবে চাহিদার বিপরীতে বিদ্যুৎ পাওয়া গেছে ৯৫০ মেগাওয়াটের কাছাকাছি। এই হিসাবে ঘাটতির পরিমাণ ২৫০ মেগাওয়াট।

তীব্র গরমের মধ্যে লোডশেডিং অসহনীয় পর্যায়ে চলে যাওয়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে সবখানে। ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন নগরীর অনেক বাসিন্দা। তাদের একজন চান্দগাঁও আবাসিক বি ব্লকের বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী। তিনি বলেন- একদিকে গরম, অন্যদিকে ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের কারণে জীবনযাপন করা দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। মেয়ের এসএসসি পরীক্ষা চলছে। সে পড়তে পারছে না। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে পরীক্ষায়। এতো এতো বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। সেগুলো যাচ্ছে কোথায়?

চট্টগ্রামে চলমান লোডশেডিং পরিস্থিতি আরও ১৫ দিন থাকতে পারে বলে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। তারা জানান- কয়লা ও তেল সঙ্কটের কারণে বেশ কিছু বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র চালানো যাচ্ছে না। গরমের কারণে গ্যাসের চাপ কমে যাওয়ায় গ্যাসচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রেও উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। ফলে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে গেছে। বিপরীতে গরমের কারণে বেড়ে গেছে চাহিদা। এতে লোডশেডিং বেড়েছে।

দ্রুত জ্বালানি পেলে বন্ধ থাকা বিদ্যুৎকেন্দ্র ফের চালু করা যাবে। বৃষ্টি হলে চাহিদাও কিছুটা কমবে। তখন লোডশেডিং পরিস্থিতিও স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা। জানতে চাইলে পিডিবির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী অশোক চৌধুরী বলেন, মঙ্গলবার (গতকাল) ২০০-২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কম পেয়েছি আমরা। বিদ্যুৎ ব্যবহারে কৃচ্ছ সাধন এই ঘাটতি কমিয়ে আনতে পারে। বৃষ্টি হলেও বিদ্যুৎ চাহিদা কমে আসবে।

পূর্বকোণ/এ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট