চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

স্মার্ট শিক্ষার্থীরাই স্মার্ট বাংলাদেশের পাথেয় : জেলা প্রশাসক

নিজস্ব প্রতিবেদক

৩০ মার্চ, ২০২৩ | ৪:৫৬ অপরাহ্ণ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে সরকারি ও এমপিওভুক্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং সমমানের মাদ্রাসার ৯ম ও ১০ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২১ প্রকল্পের ট্যাবলেট বিতরণ করা হয়েছে।

 

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ ট্যাবলেট বিতরণ করা হয়। এসময় সরকারি মুসলিম হাইস্কুলের মোট ১৮ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ট্যাবলেট বিতরণ করা হয়। এর ধারাবাহিকতায় সমগ্র চট্টগ্রাম জেলায় মোট ৯৮৬৭ জন শিক্ষার্থীকে ট্যাবলেট বিতরণ করা হবে।

 

জেলা প্রশাসন ও জেলা পরিসংখ্যান অফিস আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক চট্টগ্রাম আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।

 

এ সময় জেলা প্রশাসক বলেন, স্মার্ট জেনারেশন তথা স্মার্ট সিটিজেন তৈরির অন্যতম মূল কারিগর আজকের শিক্ষার্থীরা। তাই তাদেরকে তথ্য প্রযুক্তিতে উন্নত করার বিকল্প নেই। স্মার্ট শিক্ষার্থীরাই স্মার্ট বাংলাদেশের পাথেয়। গ্রাম থেকে শহর সকল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের তথ্য প্রযুক্তির জ্ঞান বৃদ্ধির লক্ষ্যেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে এই ট্যাবলেট বিতরণ করা হচ্ছে। এই কার্যক্রম স্মার্ট চট্টগ্রাম বিনির্মাণে অগ্রবর্তী ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

 

তিনি আরও বলেন, ২০৪১ সালে যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা, তার কর্ণধার হতে যাচ্ছে আজকের শিক্ষার্থীরা। তাই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রয়োজন স্মার্ট জেনারেশন। যারা রাষ্ট্রীয় সম্পদ যেমন গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি ইত্যাদি ব্যবহারের ক্ষেত্রে হবে মিতব্যয়ী, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার ক্ষেত্রে হবে দৃঢ প্রত্যয়ী। তারা প্রচলিত শিক্ষার পাশাপাশি অংশগ্রহণ করবে বিজ্ঞান ক্লাব, রোবোটিকস, স্কাউটিং, ডিবেটিংসহ বিভিন্ন ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে। যারা রুচিশীল ও মার্জিত আচরণের মাধ্যমে গড়ে তুলবে বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক চেতনার সোনার বাংলাদেশ। যে স্মার্ট জেনারেশনকে তথ্য প্রযুক্তি বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে হতে হবে আরও সচেতন।

 

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইসিটি মো. আবদুল মালেক, জেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মোহাম্মদ ওয়াহিদুর রহমান ও শিক্ষক শিক্ষার্থীরা।

পূর্বকোণ/পিআর/এএইচ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট