চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

১১ জন নিরক্ষরের গল্প : গল্পের চরিত্ররাই যখন গল্পকার

১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ | ১০:৪০ অপরাহ্ণ

রাজীব রাহুল : ফজলে শেখের চোখ নেই, আবার অক্ষরই তো চিনেন না, বই লিখবেন কি করে? ফজলে শেখের মতো মানুষরা আজীবন গল্পের চরিত্র হয়ে থেকেছেন, অথচ তারও অনেক গল্প বলার ছিল। সুখ- দুঃখের, আনন্দ-বেদনার ও হাসি-কান্নার গল্প। যে গল্প গুলো তিনি বলতে চান, শোনাতে চান। এমন এগারোজন নিরক্ষর ব্যক্তি লেখক হিসেবে বিদ্যানন্দ প্রকাশনের উদ্যোগে আত্মপ্রকাশ করছেন এবারের বই মেলায়। যারা কোনদিন লেখকের সম্মান পাননি।
দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় মাঠে, বাজারে কিংবা চায়ের আড্ডায় গল্পকারের খোঁজে ছুটছে বিদ্যানন্দের টিম। নিরক্ষর ব্যক্তিদের মুখে শোনা গল্পগুলো শ্রুতিলেখক হিসেবে লিখে নিচ্ছে তারা। এসব গল্প থেকে বাছাইকৃত সেরা ১১ জন নিরক্ষর ব্যক্তির গল্প নিয়ে অমর একুশের বইমেলায় বিদ্যানন্দ থেকে প্রকাশিত হয়েছে ‘নিরক্ষরের গল্পগুচ্ছ’। এমন সব অসাধারণ কাজের জন্য ইতোমধ্যে ২০২৩ সালের একুশে পদকের ঘোষিত তালিকায় বিদ্যানন্দের নাম ঠাঁই পেয়েছে। চট্টগ্রামের অমর একুশের বইমেলায় বিদ্যানন্দ স্টলের সামনে নিরক্ষর লেখক ফজলে শেখের প্রতীকী মূর্তি শোভা পাচ্ছে।
স্টলটির তত্ত্বাবধায়ক ওমর ফারুক পূর্বকোণ অনলাইনকে বলেন, চট্টগ্রামের বইমেলায় আমরা বইটি এখনো পাইনি। আশা করছি কয়েকদিনের মধ্যে পাবো। তবে ঢাকায়  বাংলা একাডেমি  ৩৫০ নম্বর স্টলে বইটি পাওয়া যাবে।  চট্টগ্রামে আমাদের স্টল নম্বর ১৯। আমরা আসলে আজীবন গল্পের চরিত্র হয়ে থাকা মানুষগুলোর গল্প শোনাতে চাই পাঠকদের। প্রতিটি মানুষের এমন কিছু গল্প থাকে যা আমাদের মনে দাগ কাটে। আমাদের ভাবায়, কষ্ট পাই আবার  আনন্দও দেয়।
চট্টগ্রামের বইমেলায় আয়োজক কমিটির আহবায়ক কাউন্সিলর ড. নিছার উদ্দিন আহমেদ (মঞ্জু) পূর্বকোণ অনলাইনকে বলেন, বিদ্যানন্দ মানুষের কল্যাণে যেসব কাজ করে তাতে আমি অভিভূত। সংগঠনটির নাম শুনলেই মন থেকে শ্রদ্ধা চলে আসে। তাদের ব্যতিক্রমী কাজ আপামর মানুষের কাছে সমাদৃত হয়েছে। আমি ব্যক্তিগতভাবেই চাই চট্টগ্রামের বইমেলায় বিদ্যানন্দের স্টল থাকুক। মেলাকে তারা আলোকিত করুক। গতবারও তারা চট্টগ্রামের বইমেলায় সিআরবির সবুজ বাঁচাতে ব্যতিক্রম স্টল সাজিয়েছিল। যেটা মেলায় উপস্থিত লেখক পাঠক ও প্রকাশকদের নজর কেড়েছে।
পূর্বকোণ/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট