চট্টগ্রাম শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪

ডায়ালাইসিস সক্ষমতা বাড়লো ৪ গুণ

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৩ জানুয়ারি, ২০২৩ | ১১:২১ পূর্বাহ্ণ

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের কিডনি বিভাগের ডায়ালাইসিস সক্ষমতা বেড়েছে। সপ্তাহ দু’য়েক আগেও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের কিডনি ওয়ার্ডে নিয়মিত ডায়ালাইসিস মেশিন চলতো মাত্র ৪টি। সুখবর হচ্ছে দু’সপ্তাহের ব্যবধানে মেশিনের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭টিতে। এতে করে কিডনি ওয়ার্ডের ডায়ালাইসিস সক্ষমতা বাড়লো চারগুণ।

 

 

সংশ্লিষ্টরা জানান, একসাথে চালু হওয়া ১৭টি মেশিনের সাহায্যে প্রতিদিন তিন সেশনের ৫১ জনকে ডায়ালাইসিস সেবা প্রদান করা সম্ভব হবে। এছাড়াও অতি জরুরি রোগীদের সেবা দেয়াসহ সর্বমোট গড়ে ৬০ জনকে সেবা প্রদান করা সম্ভব হবে।

 

 

এর আগে গত ৭ জানুয়ারি থেকে চমেক হাসপাতালে অবস্থিত স্যান্ডোর ডায়ালাইসিস সেন্টারে ফি বৃদ্ধি ও ভর্তুকি সুবিধা কমানোর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেন চমেক হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা কিডনি রোগী ও তাদের স্বজনরা। এরপর পরই কিডনি রোগীদের ডায়ালাইসিসের চলমান সংকট নিরসনের উদ্যোগ নেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। উদ্যোগের মধ্যেই গত ১১ জানুয়ারি সেন্ট্রাল মেডিকেল স্টোর ডিপো (সিএমএসডি) থেকে নতুন দশটি ডায়ালাইসিস মেশিন পাঠানো হয়। এরপরই এসব মেশিন স্থাপনের কাজ শুরু করে কর্তৃপক্ষ।

 

 

চমেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. অং সুই প্রু মারমা বলেন, ‘কিডনি রোগীদের ডায়ালাইসিস সেবার পরিধি বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। ইতোমধ্যে কিডনি ওয়ার্ডে ৪টি থেকে বাড়িয়ে ১৭টি ডায়ালাইসিস মেশিনে উন্নীত করা হয়েছে। এখন থেকে একসাথে ১৭টি মেশিনের সাহায্যে রোগীদের সেবা প্রদান করা হবে। যদিও আমাদের আরও মেশিন চাহিদা ছিল, সেগুলো পেলে কিডনি ওয়ার্ড আরও সম্প্রসারিত হবে।’

 

 

চট্টগ্রামে বিশেষায়িত হাসপাতাল প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকায় যেমন বিশেষায়িত হাসপাতাল আছে, তেমনি চট্টগ্রামেও এমন হাসপাতাল হওয়াটা খুবই প্রয়োজন। রোগীর তুলনায় কিডনি ওয়ার্ডের পরিধি অনেক ছোট। যেখানে কুমিল্লা থেকে টেকনাফ পর্যন্ত রোগীদের সেবা দিতে হয়।

 

 

সরেজমিনে দেখা যায়, চমেক হাসপাতালের তৃতীয় তলার কিডনি ওয়ার্ডের বর্তমান ডায়ালাইসিস রুমের সঙ্গে যুক্ত করে নতুন আরও দশটি মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। গতকাল (রবিবার) দুপুরে এসব মেশিন চালু করা হয়। প্রথম দিকে অতি জরুরি রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসকরা।

 

 

বিভাগটির চিকিৎসকরা জানান, বর্তমানে ওয়ার্ডটিতে ৬ মাসের জন্য ৪৮টা সেশন বাবদ নেয়া হয় ২০ হাজার টাকা। অথাৎ প্রতিটি সেশন বাবদ একজন রোগীকে প্রদান করতে হয় মাত্র ৪১৬ টাকা। ফলে ৪১৬ টাকা দিয়েই অন্য রোগীরাও সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।

 

 

কিডনি রোগ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. নুরুল হুদা বলেন, ‘১৭ টি মেশিনের মাধ্যমে তিন শিফটে সর্বমোট ৫১ জন নিয়মিত রোগীকে সেবা প্রদান করা যাবে। এরবাইরে ওয়ার্ডে ভর্তি মুমূর্ষু রোগীদেরও সেবা দেয়া হয়ে থাকে। সবমিলিয়ে এসব মেশিনের মাধ্যমে গড়ে ৬০ জনকে সেবা দেয়া সম্ভব হবে। এসব মেশিন চালু হওয়ার ফলে রোগীদের সেবা পাওয়ার সংখ্যাও অনেক বৃদ্ধি পাবে।’

 

 

পূর্বকোণ/আরএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট