কয়েকদিন বন্ধ থাকার পর আবারও বান্দরবান সীমান্তের ওপারে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। আজ সোমবার (১০ অক্টোবর) ভোর থেকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে দেশটির সেনাবাহিনীর যুদ্ধবিমান ও গোলন্দাজ বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গুলি ও বোমাবর্ষণ শুরু হয়েছে। বোমাবার্ষণে কেঁপে উঠছে পুরো এলাকা। এতে সীমান্তে বসবাসকারী লোকজনদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। বিজিবি সীমান্তে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে আজ সোমবার দুপুরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্ত পরিদর্শন করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ।
স্থানীয়রা জানান, আজ ভোর সাড়ে চারটা থেকে তুমব্রু সীমান্তের ৩৪ নম্বর পিলারের কাছে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির রাইট ক্যাম্প থেকে গোলান্দাজ বাহিনী ব্যাপক গোলাবর্ষণ শুরু করে। এছাড়া যুদ্ধবিমান থেকেও সীমান্তে ব্যাপক গুলি ও বোমাবর্ষণ করছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। এ ঘটনার পর সীমান্তের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বিজিবি নিরাপত্তা জোরদার করেছে।
বান্দরবানের ঘুমধুম ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর আজিজ জানিয়েছেন, হঠাৎ করে বোমা ও গুলি বর্ষণে সীমান্তে বসবাসকারীরা এখন আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ দু’মাস ধরে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে বিচ্ছিন্নতাবাদী আরাকান আর্মির সাথে সে দেশের সেনাবাহিনীর ও বিজিপির মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ চলছে। এ ঘটনায় বান্দরবান সীমান্তের জিরো লাইনের রোহিঙ্গা শিবিরের এক রোহিঙ্গা নিহত ও ৬ জন আহত হয়। এছাড়া সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে একজন নিহত ও তিনজন আহত হয়েছে।
পূর্বকোণ/পিআর/এসি