চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ০৭ মে, ২০২৪

বন্যা নেই, বৃষ্টি নেই তবু গোড়ালি থেকে হাঁটু পানি

নিজস্ব প্রতিবেদক

১২ আগস্ট, ২০২২ | ১২:৩২ অপরাহ্ণ

সারাদিন কাঠফাটা রোদ। প্রখর রোদ এবং বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে যখন মানুষ হাঁসফাঁস করছে, তখন পানিতে ডুবেছে বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকার রাস্তাঘাট ও অলিগলি। কয়েক ঘণ্টার জলাবদ্ধতার দুর্ভোগে ছিলেন এসব এলাকার বাসিন্দারা। মূলত কর্ণফুলী নদীর জোয়ারে গোড়ালি থেকে হাঁটু পানিতে তলিয়ে যায় এসব এলাকা।

 

গতকাল (বৃহস্পতিবার) নগরীর আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকা, চকবাজার, চাক্তাইয়ের সোবহান সওদাগর সড়ক ও মকবুল সওদাগর সড়ক, খাতুনগঞ্জ, রাজাখালী, ডিসি রোড, ফুলতলা, বাকলিয়া, পাথরঘাটার আশরাফ আলী সড়কসহ নিচু এলাকা জোয়ারের পানিতে ডুবে যায়। এসব এলাকার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত খালগুলো যুক্ত হয়েছে কর্ণফুলী নদীর সঙ্গে। এসব খাল দিয়ে পানি কর্ণফুলী নদীর পানি নিচু এলাকায় প্রবেশ করে। খাল-নালা উপচে মানুষের বাসা-বাড়ি, দোকান, পণ্যের গুদামসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তলিয়ে যায়। দুপুর থেকে পানি ওঠা শুরু হয়। বিকালে নেমে যায়। বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ থাকায় পানির উচ্চতা ছিল বেশি।

 

এলাকাবাসীর অভিযোগ, নালা-নর্দমা ও খাল পরিষ্কার না থাকার কারণে এই জলাবদ্ধতা হচ্ছে। আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকার বাসিন্দা নুরুল আলম বলেন, এই শহরে জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ চলছে। একসময় বৃষ্টিতে ডুবতো। এখন অমাবস্যা-পূর্ণিমায়ও ডুবছে। তিনি বলেন, ২০, ২১ ও ২৩ নম্বর সড়ক এসময়ে বেশি ডুবে যায়। এলাকায় নিয়মিত জোয়ারজনিত জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। পানি মাড়িয়ে চলাচল করতে হচ্ছে কর্মজীবী ও শিক্ষার্থীদের। জোয়ারের পানি কমপক্ষে তিন ঘণ্টা থাকে। বেশি নিচু এলাকা থেকে পানি সরতে সময় লাগে ৫-৬ ঘণ্টা।

 

নগরীর চকবাজার মুহাম্মদ আলী শাহ দরগাহ লেইনের একাধিক বাসিন্দা জানান, বৃষ্টি পড়লে পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। তখন কর্তৃপক্ষগুলো বৃষ্টির দোহায় দিয়ে থাকে। এখন তপ্ত রোদেও সড়কে পানি জমছে। খোলা নালায় পড়ে যেকোন সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।

 

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, সাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ ও পূর্ণিমার কারণে জোয়ারের পানির উচ্চতা বেড়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। কখনও জোয়ারের পানির সর্বোচ্চ উচ্চতা দাঁড়ায় ৫ দশমিক ৪০ মিটারের বেশি। সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বলেন, চট্টগ্রামে জোয়ারজনিত জলাবদ্ধতা নিরসনে কর্ণফুলী নদীর সঙ্গে খালগুলোর মুখে  ইস গেট নির্মাণের কাজ চলছে। এগুলো চালু হয়ে গেলে আর এই দুর্ভোগ থাকবে না।

 

পূর্বকোণ/আর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট