বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সকালে একবার সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেন। বিকেলে একবার করেন। মাঝেমধ্যে সন্ধ্যাবেলায়ও করেন। তাদের নেতারা সারাদেশ ঘুরে ঘুরে সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ করছে। তারা রাজনৈতিক স্বাধীনতা এর চেয়ে বেশি আর কি চান? তারা কি অবাধে গাড়ি ও মানুষের সম্পত্তি পোড়ানোর অধিকার চান?

 শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের উদ্যোগে নির্মিতব্য পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘দামপাড়া’ এর শুভ মহরত অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ পাল্টা এ প্রশ্ন করেন। তিনি বলেন, বিএনপি কি দিনের পর দিন হরতাল ডেকে মানুষকে অবরুদ্ধ করে রাখতে চায়? যেটি ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে বিএনপি করেছে। যেগুলো মানুষ প্রত্যাখ্যান করেছে।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি যদি রাজপথেই বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চান, তাহলে সরকারের কাছে কেন তারা আবেদন জানান তাকে বিদেশ পাঠানোর জন্য। এই দ্বি-চারিতা তো পরিহার করা উচিত তাদের। গাড়ি পোড়ানো এবং মানুষকে জিম্মি করে বোমা নিক্ষেপের হুকুমের মামলার আসামি হওয়া সত্বেও তারা রাজনৈতিক স্বাধীনতা ভোগ করছেন। সরকার এবং আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক বিষোদগার করে এরকম সুবিধা অন্য কোন দেশে পেতেন কিনা সেটি নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া একজন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। প্রধানমন্ত্রী মহানুভবতা দেখিয়ে তার দণ্ড স্থগিত রেখে তাকে মুক্ত রেখেছেন। তিনি তার মতো করেই, তার পরিবার এবং দলের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন। সরকারের অধীনে তিনি চিকিৎসাসেবা নিচ্ছেন না। সুতরাং বেগম খালেদা জিয়ার যদি এখন স্বাস্থ্যের কোন হানি হয়, এটির জন্য দায়ী হবে বিএনপি। তার পরিবারের যারা চিকিৎসক এবং যারা তার স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছেন তারা।

পূর্বকোণ/রাজীব/পারভেজ