চট্টগ্রাম শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪

ঘরে বসেই বার্ষিক পরীক্ষার ফল পাবে ৩৫ হাজার শিক্ষার্থী

ইমরান বিন ছবুর 

৯ ডিসেম্বর, ২০২১ | ১:৩৩ অপরাহ্ণ

বার্ষিক পরীক্ষার রেজাল্ট (ফলাফল) পেতে বিদ্যালয়ে গিয়ে ভিড় করতে হবে না। ঘরে বসেই কিংবা বিদ্যালয়ে না গিয়ে শিক্ষার্থীরা তাদের বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল জানতে পারবে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কথা বিবেচনায় নিয়ে এমন উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) শিক্ষা শাখা।

প্লে স্টোর থেকে এডু এক্সপার্ট (Edu Expert) নামের অ্যাপস ডাউনলোড করে শিক্ষার্থীরা তাদের বার্ষিক পরীক্ষার ফল জানতে পারবে। আজ বৃহস্পতিবার চসিক পরিচালিত ৪৮টি বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির প্রায় ৩৫ হাজার শিক্ষার্থী অনলাইনে তাদের বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল পাবে। চসিক শিক্ষা শাখার এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ।   চসিকের শিক্ষা শাখা সূত্রে জানায়, চসিক পরিচালিত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় ৩৫ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। ইতোমধ্যে চসিকের শিক্ষা শাখা থেকে এসব শিক্ষার্থীদের নির্ধারিত ফোন নম্বরে একটি ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ডসহ একটি মেসেজ পাঠানো হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার সাড়ে ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে ফলাফল জানতে পারবে। এছাড়াও, চসিকের ওয়েব সাইটে গিয়েও শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা ফলাফল জানতে পারবেন। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চসিকের মেয়র, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা অনলাইন ফলাফল উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।

জানতে চাইলে চসিকের প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার বলেন, চসিক পরিচালিত ৪৮টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় ৩৫ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। এ বছর মাধ্যমিকের সব শিক্ষার্থী তাদের ফল অনলাইনে পাবে। করোনাভাইরাসের মধ্যে তাদের বিদ্যালয়ে যেতে হবে না।

চসিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষা কমিটির সদস্য ও কৃষ্ণ কুমারী সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আকতার হোসেন বলেন, সিটি কর্পোরেশনের শিক্ষা শাখা প্রথমবারের মত একইসাথে মাধ্যমিকের সব শিক্ষার্থীর ফল প্রকাশ করবে। অনলাইনে ফল পেতে শিক্ষার্থীদের প্লে স্টোর থেকে এডু এক্সপাট (ঊফঁ ঊীঢ়বৎঃ) নামের অ্যাপস ডাউনলোড করতে হবে। এছাড়াও, সিটি কর্পোরেশনের ওয়েব সাইটেও শিক্ষার্থীরা তাদের বার্ষিক পরীক্ষার ফল জানতে পারবেন।

বলুয়ারদিঘী সিটি কর্পোরেশন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাসনিম আক্তারের পিতা মো. সেলিম চৌধুরী বলেন, করোনার মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দেড় বছরের বেশি সময় বন্ধ থাকার পর খোলা হলেও সপ্তাহে মাত্র দুই থেকে তিন দিন ক্লাস হতো। সব শিক্ষার্থী একত্রে শ্রেণিকক্ষে না যাওয়ার জন্য সরকারের এমন সিদ্ধান্ত। যা নিঃসন্দেহে ভালো ছিল। কিন্তু রেজাল্টের সময় একত্রে সব শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গেলে করোনার ঝুঁকি ছিল। এখন ঘরে বসে অনলাইনে ফল পাওয়ায় এই ঝুঁকি আর থাকবে না। এজন্য সিটি কর্পোরেশনের শিক্ষা শাখাকে ধন্যবাদ।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট