চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

ডোমখালী সেতু উদ্বোধনের অপেক্ষায় এলাকাবাসী

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৯ জুলাই, ২০১৯ | ১২:৫৭ পূর্বাহ্ণ

দীর্ঘদিনের কাক্সিক্ষত সেতু নির্মাণ সম্পন্ন হওয়ায় খুশি এলাকাবাসী। ডোমখালী সেতুটিই ছিল হামিদচর ও খলিফাপাড়ার বাসিন্দাদের যাতায়াতের একমাত্র পথ। কিন্তু সেতুর উপর ভারী যানবাহন চলার কারণে সেতুটি ভেঙ্গে পড়ে। এরপর মানুষের চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে এলাকাবাসীর দাবির মুখে সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে সেতুটির কাজ শুরু হয়। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় হামিদচর ও খলিফাপাড়ার বাসিন্দাদের স্বপ্নের সেতু নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি কাজও শীঘ্রই শেষ হবে বলে জানালেন ব্রিজ র্নিমাণের দায়িত্বে থাকা কন্ট্রাক্টর মো. ইব্রাহিম। তবে এলাকাবাসীর এখন চাওয়া শীঘ্রই যাতে ব্রিজের বাকি কাজ শেষ করে দুই পাশের মানুষের যাতায়াত ব্যবস্থা সুগম করে দেওয়া হয়। খলিফাপাড়ার বাসিন্দা জসীম উদ্দীন বলেন, বর্তমানে এই সেতুর উপর দিয়ে লোকজন পারাপার হচ্ছে। চান্দগাঁও এলাকার গুরুত্বপূর্ণ সেতু এটি। সেতুটি নির্মাণের জন্য আমরা দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে এসেছি। পরবর্তীতে এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে সেতুটি নির্মিত হচ্ছে। এতে আমরা খুবই খুশি। হামিদচর, কালুরঘাট শিল্প এলাকায় যাতায়াতের অন্যতম মাধ্যমও এ ডোমখালী সেতু। হামিদচর এলাকার বাসিন্দা নুরুল হুদা, নাসির উদ্দীন ও মো. আনোয়ার বলেন, এই সেতু চালু হলে হামিদচর থেকে বহদ্দারহাট সরাসরি যাতায়াত করতে পারবে মানুষ। এতে দ্রুত কর্মস্থলে পৌঁছাতে পারবে সবাই। আর অনেক পথ ঘুরে আমাদের কষ্ট করে যেতে হবে না। ডোমখালী সেতু চালু হলে এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থায় অনেক উন্নতিও ঘটবে। আমরা এলাকাবাসীরা ডোমখালী সেতু উদ্ধোধনের অপেক্ষায় আছি। এলাকার আরেক বাসিন্দা মো. বেলাল বলেন, আমাদের এলাকাটি শহরের অনান্য এলাকার চেয়ে নিচু। এখানে প্রায় সব সড়কেই জোয়ার আসলে ও বর্ষকালে পানি জমে থাকে। কিন্তু ব্রিজ র্নিমাণের পরে আমাদের আরো কিছু সমস্যার পড়তে হবে। কারণ ব্রিজের সাথে মিলিয়ে এপ্রোস রোড নির্মাণ হলেও ড্রেন নির্মাণের বিষয় উল্লেখ ছিল না। যার কারণে এখানে কোন ড্রেন করা হচ্ছে না। আবার সংযোগ সড়কটি তৈরিতে বাসিন্দাদের নিজস্ব জায়গার সামান্য কিছু অংশ পড়ে যায়। কিন্তু তারা সেই জায়গা না ছাড়ার কারণে সড়কটির প্রস্থ বড় করা যাচ্ছে না। এতে ভবিষ্যতে ভারী যানবাহন চলাচলে বিপদের আশঙ্কা আছে। এ বিষয়টি যদি এলাকার কাউন্সিলর খেয়াল করেন ও সমস্যার সঠিক সমাধান করেন তবে ভালো হয়। এ বিষয়ে ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুদ্দীন খালেদ সাইফু বলেন, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আওতাধীন এলাকাগুলো নগরীর অন্যান্য ওয়ার্ডের চেয়ে একটু বেশি অনুন্নত। তাই আমাকে এ এলাকাটির উন্নয়নের জন্য ধীরে ধীরে কাজ করতে হচ্ছে। ইতোমধ্যে এলাকাটি আগের চেয়ে অনেক উন্নত হয়েছে। ডোমখালীর এ এলাকাটি খুবই অনুন্নত ছিল এবং এখানের ব্রিজটিও ভাঙ্গা ছিল। পরে সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে ব্রিজ নির্মাণের কাজ শুরু করি। বর্তমানে ব্রিজ নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। সামান্য কিছু বাকি আছে যেগুলো আগামী এক মাসের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। তারপরই ড্রেন নির্মাণের কাজ শুরু করবো। সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে ১২৩০ ফুট ড্রেনের একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। ব্রিজ ও এপ্রোস রোডের নির্মাণ কাজ শেষ হলে ড্রেন নির্মাণ কাজ শুরুর করার কথা আছে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট